ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের জিএসপি সুবিধা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ১০:৫০, ২ জুন ২০১৯

 ভারতের জিএসপি সুবিধা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

ভারতের জিএসপি সুবিধা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র। ৫ জুনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া বিশেষ আর্থিক মর্যাদা পাবে না ভারত। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এতদিন ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ বিশেষ মর্যাদা পেত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানালেন, ৫ জুন এই মর্যাদা হারাচ্ছে ভারত। ভারতের দিক থেকে মার্কিন স্বার্থ রক্ষায় কোন নীতি গ্রহণ করা হয়নি বলেই যে এমন সিদ্ধান্ত সে কথাও জানান ট্রাম্প। খবর এনডিটিভির। এক ঘোষণায় ট্রাম্প বলেন, ‘ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেনি যে, তাদের বাজারে মার্কিন পণ্যের যৌক্তিক প্রবেশাধিকার দেবে। তাই ভারতের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত যুক্তিসঙ্গত, যা ৫ জুন, ২০১৯ থেকে কার্যকর হবে।’ শীর্ষ কয়েকজন আইনপ্রণেতার অনুরোধ উপেক্ষা করে ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। এর আগে গত ৪ মার্চ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জিএসপি কর্মসূচীর আওতায় ভারতের বিশেষ সুবিধা বাতিলের অভিপ্রায়ের কথা ঘোষণা করেন। ৬০ দিনের ওই নোটিস সময়সূচী গত ৩ মে শেষ হয়েছে। জিএসপির (জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স) মধ্যে যে সব দেশ সে সব দেশ যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য পাঠাতে বিশেষ ধরনের শুল্ক সুবিধা পেয়ে থাকে। এতদিন ভারতও সেই সুবিধা পেত। কিন্তু এবার থেকে তা আর পাবে না। এই ব্যবস্থার সুবিধা যে কয়েকটি দেশ পেত, তার মধ্যে ভারতের উপকার হতো সব থেকে বেশি। শুধু ২০১৭ সালে ৫.৬ বিলিয়ন (৫৬০ কোটি) ডলার মূল্যের জিনিসপত্র যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায় ভারত। কিন্তু এবার শুল্ক সুবিধা বন্ধ হচ্ছে। নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, আমরা যে ধরনের বাণিজ্যিক সুবিধা ভারতকে দিয়ে থাকি তার সমতুল্য এবং গ্রহণযোগ্য কোন কিছু দেয়ার বিষয়ে পাল্টা আশ্বাস পাইনি। তাই ৫ জুন থেকে এই বিশেষ মর্যাদা ভারত পাবে না। গত মার্চ মাসে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা এই বিশেষ মর্যাদার সমাপ্তি টানার পক্ষে। কিন্তু কূটনৈতিক মহলের একাংশ মনে করেছিল নরেন্দ্র মোদি আবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের সুসম্পর্কের কথা সকলেই জানেন। এমতাবস্থায় এমন কোন সিদ্ধান্ত হবে না। তবে শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো। মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বলেন, নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয়বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন এতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। কিন্তু মার্চ মাসে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল তা পরিবর্তনে তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। আমার মনে হয়, বিষয়টি ইতোমধ্যেই নির্ধারণ হয়ে গেছে। এখন শুধু এটাই দেখার অপেক্ষা যে, আগামীতে বিষয়টি কিভাবে করা হয়। ওই কর্মকর্তা জানান, মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে এমন কোনভাবে বিষয়টিকে শেষ করতে, যাতে মোদি সরকার দ্বিতীয়বার কোন না কোনভাবে এই সুবিধা পেতে পারে। তিনি মনে করেন, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার অনেক দিক রয়েছে। অনেক সম্ভাবনার সামনেই দাঁড়িয়ে এই দুই দেশের সম্পর্ক। ভারতের পাশাপাশি তুরস্কের কাছ থেকেও এই বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়ার পথে হাঁটছে ওয়াশিংটন। কারণ যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, তুরস্ক এই মুহূর্তে আর উন্নয়নশীল দেশ নয়। -এনডিটিভি
×