ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘রশিদকে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়’

প্রকাশিত: ১০:২৮, ২ জুন ২০১৯

 ‘রশিদকে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ টিইএসএল ইংলিশ ভার্সন স্কুলের দশম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র আবু বিন রশিদের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছে তার পরিবার। জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে তার পরিবার অভিযোগ করেন- অত্যন্ত ঠাণ্ঠা মাথায় রশিদকে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয় লাশ। এখন বলা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। রশিদের বড় বোন নুপুর এক লিখিত বক্তৃতায় অভিযোগ করেন- কুষ্টিয়ার ওই স্কুলের হোস্টেলেই থাকত রশিদ। গত ২৪ মে সে একটি নতুন মোবাইল ফোন কিনে যা সেহেরির সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার কাছ থেকে কেড়ে নেয়। পরদিন স্কুল থেকে রশিদের বাবাকে ফোনে জানায়, সে আত্মহত্যা করেছে। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে গিয়ে আমরা দেখতে পাই রশিদের লাশ। তিনি বলেন, অত্যন্ত সুকৌশলে স্কুল কর্তৃপক্ষ রশিদের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করতে থাকে। অথচ স্কুলের ফার্স্টবয় হিসেবে রশিদ ছিল যথেষ্ট জীবনমুখী ও বাস্তববাদী। মোবাইল ফোন কেনার পরবর্তী চব্বিশ ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তা দেখাতে ব্যর্থ হয়ে অজুহাত দেখায় রাতে বিদ্যুত ছিল না। কিন্তু বিদ্যুত বিভাগ বলছে সে রাতেই বিদ্যুত ছিল। এ ধরনের অসংখ্য অস্বাভাবিক ঘটনাবলীতে আমরা বেশ জোর দিয়ে বলতে চাই এটা হত্যাকান্ড। অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত করে এ মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করা হোক।
×