ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লাইলাতুল কদর পালিত

প্রকাশিত: ১০:২৫, ২ জুন ২০১৯

 লাইলাতুল কদর পালিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যথাযথ মর্যাদা আর ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে পবিত্র লাইলাতুল কদর। দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা শনিবার রাতে ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে অতিবাহিত করেছে। আল্লাহর নৈকট্য লাভ, গুনাহ্ মাফের জন্য এবং অধিক সওয়াব হাসিলের আশায় মুসল্লিরা রাতভর নফল নামাজ, জিকির আসগর ও নফল ইবাদত পালন করে। মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে এ রাতে মসজিদে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। পাপমোচন, অতীতের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা, অনুতাপ ও মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত লাভের আশায় মুসল্লিরা আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন। কদরের রাতে অনেকেই কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। আল্লাহ তায়ালার করুণা লাভের আশায় কেউ আবার গরিব দুঃখীদের মধ্যে দান খয়রাত করেন। এ রাতে মসজিদের মসজিদে কোরানখানি, মিলাদ মাহফিল দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের রাতকে ইসলামে অধিক মর্যাদাপূর্ণ রাত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে এই রাতেই পবিত্র গ্রন্থ কোরআন নাজিল হয়েছে। এ কারণে বছরের যে ক’টি দিন ও রাত বিশেষভাবে মহিমান্বিত, তার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ও ফজিলতপূর্ণ এই শবে কদর। পবিত্র রমজানের এ রাতে লাওহে মাহফুজ থেকে নিম্ন আকাশে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন অবতীর্ণ হয়। কুরআন নাজিলের মাস হিসেবে রমজান যেমন বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত, তেমনি কোরআন নাজিলের কারণেই শবে কদর অতি ফজিলত ও তাৎপর্য বহন করে। শনিবার দিন শেষেই শুরু হয় এই রাতের ফজিলত। তারাবির নামাজের পর থেকে শুরু হয় ইবাদত বন্দেগী। তা সেহ্রির আগ পর্যন্ত চলে। এ রাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য এবং ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ওয়াজ মাহফিলের পর বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। সাধারণত রমজান মাসে ২৬ তারিখে দিবাগত রাতে আসে এ রাতটি। তবে অন্যত্র বলা হয়েছে রমজান মাসে শেষ দশদিনে কোন এক বেজোড় রাতে এ রজনীর আবির্ভাব ঘটে। বিশ্বের মুসলমানরা প্রধানত ২৬ রমজানের রাতকে লাইলাতুল কদর হিসেবে সবাই পালন করে থাকে। মুসলমানদের কাছে লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। পবিত্র কোরআন শরীফে সূরা কদরে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন, লাইলাতুল কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এ রাতে আল্লাহ তায়ালা সূর্যাস্তের পর বান্দাদের জন্য রহমতের দরজা খুলে দেন। সারাবিশ্বের মুসলমানদের কাছে এ রাতে গুরুত্ব হলো সওয়াব হাসিল আর গুনাহ মাফের রাত।
×