ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঈদ সামনে-বেড়ে গেছে ব্রয়লার মুরগি ও পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত: ০৯:৫৯, ১ জুন ২০১৯

ঈদ সামনে-বেড়ে গেছে ব্রয়লার মুরগি ও পেঁয়াজের দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঈদ সামনে রেখে বেড়ে গেছে ব্রয়লার মুরগি ও পেঁয়াজের দাম। চড়া মাছের বাজার। শাক-সবজির বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। দাম কমেছে মোটা চালের। এছাড়া চিনি, ডাল, ভোজ্যতেল, আটা ও ছোলার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর ভোগ্য ও নিত্যপণ্যের বাজারে ছিল উপচেপড়া ভিড়। ঢাকায় যারা ঈদ করবেন তাদের বেশির মানুষ শুক্রবার ঈদের বাজার সেরে ফেলেছেন। মাছ-মাংসের সঙ্গে কেনাকাটা করেছেন, সেমাই, চিনি ও দুধের মতো পণ্যের। কারণ চলতি সপ্তাহের বুধ অথবা বৃহস্পতিবারের (চাঁদ দেখার পর) মধ্যে হতে যাচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ফলে শুক্রবারই ঈদের কেনাকাটা হয়েছে বাজারগুলোতে। পুরাণ ঢাকার কাপ্তান বাজারে ঈদের কেনাকাটা করছিলেন আসলাম হাজী। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, এখন ত সব কেনাকাটাই ঈদের। এ কারণে মুরগি ও মাছের সঙ্গে সেমাই-চিনি কেনা হয়েছে। তিনি বলেন, ঈদ সামনে রেখে কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। বিশেষ করে মুরগি ও মাছের বাজার চড়া। এদিকে, বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে-কেজিতে ১৫-২০ টাকা দাম বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫৫ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি পেঁয়াজ ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। যদিও গত সপ্তায় পেঁয়াজ ও ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছিল। কিন্তু এবার ঈদ সামনে রেখে এ দুটি পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এদিকে, ঈদ সামনে রেখে বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সেমাই উঠেছে। পাশাপাশি পুরাণ ঢাকার ঐতিহ্য খোলা সেমাই বিক্রি হচ্ছে মুদি দোকানগুলোতে। মান ও কোম্পানি ভেদে প্রতি ৫০০ গ্রাম ওজনের প্যাকেট লাচ্ছা সেমাই ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে মৌসুমী ফল বিশেষ করে আম ও লিচুতে ভরে গেছে। সরবরাহ রয়েছে পর্যাপ্ত বিদেশী ফলের। কিন্তু সেই তুলনায় দাম কমছে না। জাত ও মানভেদে প্রতিকেজি হিমসাগর আম ৮০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি শ’ লিচু ২৫০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপণ্যের বাজারে শাক-সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। নাড়ির টানে ইতোমধ্যে গ্রামের দিকে ছুটতে শুরু করেছেন মানুষ। ঈদের ছুটি শুরু হলে বাজারের উপর চাপ কমে আসবে বলে জানালেন বিক্রেতারা। ওই সময় অনেক বিক্রেতাও ঈদের ছুটি উপভোগ করতে গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাবেন। এদিকে, মাংসের বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫২৫-৫৫০ টাকা। এছাড়া খাসির মাংস ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত দাম দু’একটি বাজারে কার্যকর হলেও বেশির ভাগ ব্যবসায়ীরা মূল্য বেশি নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও বাজারে মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে বলে জানা গেছে। অপরিবতির্ত রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মাছের দাম। রুই কাতলা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০, আইড় ৮০০ টাকা, মেনি মাছ ৫০০, গলদা চিংড়ি ৮০০ টাকা, পুঁটি ২৫০ টাকা, পোয়া ৬০০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ টাকা, শিং ৮০০, দেশি মাগুর ৬০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ১৮০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। এছাড়া মুদিপণ্যের মধ্যে প্রতিকেজি চিনি ৫২-৫৫, মশুর ডাল ৫৫-১২০, সয়াবিন তেল প্রতিলিটার ৭৮-৮৪, প্রতিকেজি ছোলা ৭৫-৮৫, সরু চাল ৪৮-৫৬, মোটা চাল ৩৪-৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।
×