ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিরঞ্জন রায়

উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত ॥ প্রেসক্রিপশন ব্যতিরেকে ওষুধ বিক্রয়...

প্রকাশিত: ০৯:০৫, ৩১ মে ২০১৯

উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত ॥ প্রেসক্রিপশন ব্যতিরেকে ওষুধ বিক্রয়...

সম্প্রতি দেশের উচ্চ আদালত নিবন্ধিত চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ব্যতিরেকে এন্টিবায়োটিক বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানে মানুষের জীবন রক্ষার্থে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার বলা যায় অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, তা না হলে হিতেবিপরীত হতে বাধ্য। কোন রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক এবং এর যথাযথ মাত্রা একমাত্র নিবন্ধিত চিকিৎসকরাই নিশ্চিত করে বলতে পারেন, অন্য কেউ নয়। এমনকি সব ডাক্তারও সব ধরনের এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করার সক্ষমতা রাখেন না। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় কোন বিশেষ ধরনের এবং একটি নির্দিষ্ট মাত্রার অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক একজন সাধারণ ডাক্তার প্রয়োগ না করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে প্রেরণ করেন। কোন এন্টিবায়োটিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিবন্ধিত চিকিৎসককেই যেখানে নানারকম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে হয়, সেখানে এই ওষুধ আমাদের দেশে যত্রতত্র ফার্মেসি থেকে বিক্রি করা হয়। আমাদের দেশে নির্বিচারে এন্টিবায়োটিক বিক্রির ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এ বিষয়ে মাঝেমধ্যে বিশেষজ্ঞরা নানারকম মন্তব্য করলেও এই ব্যবস্থা বন্ধে তেমন কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। সেই বিবেচনায় অনেক দেরিতে হলেও দেশের উচ্চ আদালত একটি খুবই ভাল সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এখন সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত হবে উচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর করা। প্রেসক্রিপশন ব্যতিরেকে এন্টিবায়োটিক বিক্রি উন্নত বিশ্বে তো বটেই, অনেক উন্নয়নশীল দেশেও কল্পনা করা যায় না। শুধু এন্টিবায়োটিক নয়, কোনরকম জীবনরক্ষাকারী ওষুধই নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ব্যতিরেকে বিক্রির বিধান নেই। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, কলেস্টেরল, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ওষুধ প্রেসক্রিপশন ব্যতিরেকে বিক্রি করা হয় না। এমনকি প্রেসক্রিপশন থাকলেও, দীর্ঘ সময়ের জন্য বিশেষ করে তিন মাসের অতিরিক্ত ওষুধ অগ্রিম বিক্রি করার বিধান নেই। মানুষের জীবনরক্ষাকারী ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে এই কঠোর নিয়ম মেলে চলা হয় সকল উন্নত দেশসহ অনেক উন্নয়নশীল দেশে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ ব্যতিরেকে ভারতেও এই নিয়মনীতি মেনে চলা হয়। গত বছর আমার এক নিকটাত্মীয়ের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের জন্য ভেলোরে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানকার হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার শেষে ছয় মাসের অনেক ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় এবং ছয় মাস পর আবার দেখা করতে বলেন। সেখানকার ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ আমাদের দেশে নাও পাওয়া যেতে পারে ভেবে আমি ছয় মাসের জন্য প্রয়োজনীয় সমুদয় ওষুধ একবারে কিনে আনার উদ্যোগ নেই। কিন্তু সেখানকার ফার্মেসি আমার কাছে তিন মাসের অতিরিক্ত ওষুধ বিক্রি করতে মোটেই রাজি হয়নি। বিষয়টি সেই ডাক্তারের দৃষ্টিগোচর করা মাত্র তারা আমাকে জানান যে- বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী ফার্মেসি তিন মাসের অধিক সময়ের ওষুধ বিক্রি করতে পারে না। সেক্ষেত্রে তারা আমাকে বিকল্প কিছু পন্থা বাতলে দিয়ে কারও মাধ্যমে বা ডাকযোগে বাকি তিন মাসের ওষুধ সংগ্রহ করার পরামর্শ দিলেন। আমাদের দেশেও শুধু এন্টিবায়োটিক নয়, সব ধরনের জীবনরক্ষাকারী ওষুধ অবলীলায় বিক্রি হয় কোনরকম প্রেসক্রিপশন ব্যতিরেকেই। ফার্মেসিতে এসে রক্তচাপ পরীক্ষা করে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ ক্রয় করে সেবন করতে শুরু করে দেয়। দেশের আনাচে-কানাচে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা প্যাথলজিতে রক্ত পরীক্ষা করে উচ্চমাত্রার কলেস্টেরল বা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ ক্রয় করে সেবন করতে থাকেন। কোন চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন না এবং ফার্মেসিও কোন রকম প্রেসক্রিপশনের তোয়াক্কা না করেই নির্বিচারে সেসব ওষুধ বিক্রি করে থাকেন- যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরাও এক ধরনের ভূমিকা রেখে চলেছে। তারা ওষুধ বিক্রির লক্ষ্যে ফার্মেসির মালিক বা কর্মচারীদের সেই ওষুধের গুণাগুণ ও কার্যকারিতা সম্পর্কে যে ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন, তার ওপর ভিত্তি করেই ফার্মেসি থেকে রোগীদের কাছে ওষুধ বিক্রি করা হয় এবং সেজন্য নিবন্ধিত কোন চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নেয়ার প্রয়োজন বোধ করেন না। সুতরাং ফার্মেসি থেকে প্রেসক্রিপশন ব্যতিরেকে ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা যাতে ফার্মেসির মালিক বা কর্মচারীদের ওষুধের ব্যাখ্যাদান করতে না পারে সেই উদ্যোগও গ্রহণ করতে হবে। যা কিছু বলার বা বোঝানোর প্রয়োজন তা একমাত্র নিবন্ধিত ডাক্তারকেই করতে হবে, অন্য কাউকে নয়। তাছাড়া আমাদের দেশের ডাক্তারদেরও এন্টিবায়োটিকসহ অন্যান্য জীবনরক্ষাকারী ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে। যেনতেন অসুখে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা আমাদের দেশের অনেক ডাক্তারের স্বাভাবিক প্রবণতা। অথচ উন্নত বিশ্বে খুব সহজে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে চায় না। আমি বাংলাদেশে থাকতে আমার মেয়েকে ঠা-া লাগার পর যতবার শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখিয়েছে ততবারই তারা এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করেছে। কানাডা আসার পর এখানকার ডাক্তার এটি জানার পর হতবাক হয়ে যান। শুধু তাই নয়, আমাদের দেশের অনেক ডাক্তার কোন ফার্মেসিতে বসে রোগী দেখার কারণে সেই ফার্মেসিতে যেসব ওষুধ বিক্রির জন্য রাখা হয় সেখান থেকেই রোগীদের জন্য প্রেসক্রিপশন করে থাকেন, তাতে সেটি রোগীর জন্য কতটা অত্যাবশ্যিক তা খুব কমই ভেবে দেখা হয়। এ কারণে রোগীরা ডাক্তার দেখিয়ে সেই ফার্মেসি থেকে ওষুধ ক্রয় করেন ফলে সেই ফার্মেসির বিক্রি বেশি হয়। আমার পরিচিত এক ফার্মেসি মালিক শহরের হাসপাতালে নতুন ডাক্তার আসা মাত্র তাকে তার ফার্মেসিতে বসে নির্দিষ্ট একটি সময় ব্যক্তিগত রোগী দেখার ব্যবস্থা করে দেন। আর এ কারণে তার ফার্মেসিতে বেচা-বিক্রি তুলনামূলক অনেক বেশি হয়। একবার নতুন ডাক্তার আসার পর রোগীদের প্রেসক্রিপশনে যেসব ওষুধ লিখেন তার অধিকাংশই সেই ফার্মেসিতে না থাকায় তারা অন্য ফার্মেসি থেকে ওষুধ ক্রয় করতে থাকেন। এতে সেই ফার্মেসির মালিক অসন্তুষ্ট হয়ে ডাক্তারকে তার দোকানে যেসব ওষুধ আছে তার মধ্য থেকে প্রেসক্রিপশন করার অনুরোধ জানান। কিন্তু সেই ডাক্তার ফার্মেসি মালিকের এমন অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। পক্ষান্তরে তিনি সাধারণত যে সকল ওষুধ প্রেসক্রিপশন হিসেবে দিয়ে থাকেন তার একটি তালিকা সেই ফার্মেসি মালিককে দিয়ে সেগুলো ফার্মেসিতে রাখা যায় কি-না তা ভেবে দেখতে বলেন। বলাবাহুল্য, আমার সেই পরিচিত ফার্মেসি মালিক সেটিই করতে বাধ্য হন। দুঃখের বিষয় খুব কম সংখ্যক চিকিৎসকই এমনটা করে থাকেন। উচ্চ আদালতের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত কিভাবে কার্যকর করা হবে সেটিই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের দেশে যেভাবে বিশৃঙ্খলতার মধ্য দিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রসারিত হয়েছে তাতে এই ধরনের মানসম্পন্ন একটি পদ্ধতি কার্যকর করা খুবই কঠিন। জনসংখ্যার অনুপাতে ডাক্তারের সংখ্যা খুবই কম। অনেক গ্রাম আছে যেখানে নিবন্ধিত ডাক্তার নিয়মিত বসেন না। ফলে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও খুব সহজেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে প্রেসক্রিপশন সংগ্রহ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ মানুষ প্রতিনিয়ত অসুস্থ হচ্ছেন যাদের কাছে তখন ওষুধটাই মুখ্য হয়ে দেখা দেয়, তা সে প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে বা খোলাবাজার থেকেই সংগ্রহ করা হোক না কেন। কোনরকম বিকল্প ব্যবস্থা না করে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে গেলে এই অসহায় মানুষগুলো হঠাৎ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। সবার আগে প্রতিটা গ্রামে ন্যূনতম দুই/একজন ডাক্তার যাতে সর্বক্ষণিক অবস্থান করে সেখানকার রোগী দেখেন এবং তাদের ব্যবস্থাপত্র দেন তার নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। কোন ডাক্তারের কাছে রোগী এলে যত বিলম্বেই হোক না কেন সেই রোগী দেখে ন্যূনতম ব্যবস্থাপত্র দেয়া প্রতিটা ডাক্তারের জন্য বাধ্যতামূলক করতে হবে। আরও একটি বিষয় এখানে উল্লেখ্য যে, ফার্মেসি ব্যবসা আমাদের দেশে একটি বৃহৎ আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ। শুধু তাই নয়, ওষুধের দোকান একটি পরিশীলিত এবং মার্জিত ব্যবসা হিসেবে আমাদের সমাজে পরিচিতি লাভ করেছে। অনেক শিক্ষিত যুবক এবং অভিজাত পরিবারের সদস্য আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ হিসেবে এই ব্যবসাকে বেছে নিয়েছে। তাই উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তকে কার্যকর করতে গিয়ে এই আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগটি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটিও বিবেচনায় নিতে হবে। প্রয়োজনে উপযুক্ত শিক্ষিত ফার্মেসি মালিক বা কর্মচারীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং সনদ প্রদানের মাধ্যমে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও তদারকির মধ্য নিয়ে এসে সীমিত আকারে কিছু কিছু ওষুধ বিক্রির সুযোগ দেয়া যায় কিনা তাও ভেবে দেখা যেতে পারে। বর্তমান সময়ে ই-চিকিৎসা খুবই জনপ্রিয় এবং কার্যকর একটি ব্যবস্থা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। রোগীদের অনেক সাধারণ চিকিৎসার জন্য এখন সশরীরে ডাক্তারের কাছে উপস্থিত হতে হয় না। জটিল রোগ ব্যতিরেকে সাধারণ রোগের ব্যবস্থাপত্র অনলাইনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা যায় খুব অনায়াসে। আমাদের দেশে যত ফার্মেসি আছে বিশেষ করে যেগুলোতে কোন নিবন্ধিত চিকিৎসক বসে রোগী দেখেন না, সেগুলোকে অনলাইনের মাধ্যমে কোন না কোন নিবন্ধিত চিকিৎসকের দায়িত্বে নিয়ে আসা যেতে পারে। সেই সঙ্গে এটিও নিশ্চিত করতে হবে যে- একজন ডাক্তার সর্বোচ্চ কতগুলো ফার্মেসির দায়িত্ব নিতে পারবেন। এই ব্যবস্থার অধীনে কোন রোগী ফার্মেসিতে এলে তার রোগের বিবরণ শুনে ফার্মেসির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি অনলাইনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের নিকট প্রেরণ করবেন। ডাক্তার সেই বিবরণ দেখে যদি কোন ওষুধ প্রেসক্রিপশন করা উপযুক্ত মনে করেন তবে তিনি সেটি করবেন এবং সেই প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ফার্মেসি রোগীর কাছে ওষুধ বিক্রি করবেন। এতে করে ফার্মেসির আর প্রেসক্রিপশন ব্যতিরেকে ওষুধ বিক্রির প্রয়োজন হবে না। অনলাইনে প্রদত্ত অসুখের বিবরণ শুনে যদি কোন ওষুধ প্রেসক্রিপশন করা সম্ভব না হয় এবং যদি সরাসরি রোগীর সাক্ষাতের প্রয়োজন হয় তাহলে সেই সুযোগটিও ফার্মেসির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি করে দেবেন। এই ই-চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রবর্তন করা গেলে নির্বিচারে সব প্রকার রোগীকে আর সশরীরে ডাক্তারের কাছে উপস্থিত হয়ে অহেতুক ভিড় জমাতে হবে না। ই-চিকিৎসা সুবিধা নেয়ার বিনিময়ে রোগীকে যেমন একটি নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে, তেমনি প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে বিক্রীত ওষুধের মূল্যের নির্দিষ্ট একটি অংশও যেন সেই ফার্মেসির দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক পেতে পারেন, তার ব্যবস্থাও রাখতে হবে। বর্তমানে আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে গেছে। তাই একটি প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করে খুব সহজেই ই-চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রচলন করা যায়, যা প্রকারান্তরে কোন পক্ষকেই ক্ষতিগ্রস্ত না করে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। মোটকথা একটি গ্রহণযোগ্য বিকল্প ব্যবস্থা প্রবর্তন করেই প্রেসক্রিপশন ব্যতিরেকে এন্টিবায়োটিক বা যে কোন জীবনরক্ষাকারী ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধ করার মতো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব। জোরপূর্বক এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলে সমাজে নানারকম সমস্যার সৃষ্টি হবে যা মূল উদ্দেশ্যকেই ব্যাহত করবে। লেখক : ব্যাংকার, টরনটো, কানাডা [email protected]
×