ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার সঙ্কট ॥ হয়রানি

প্রকাশিত: ০৮:৪৬, ৩১ মে ২০১৯

 টাঙ্গাইলে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার  সঙ্কট ॥ হয়রানি

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৩০ মে ॥ টাঙ্গাইলে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) প্রি-পেইড মিটারের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে প্রি-পেইড মিটার না পেয়ে বিপুলসংখ্যক গ্রাহক প্রতিমাসে গড় বিলের শিকার হয়ে হয়রানি পোহাচ্ছে। জানা গেছে, জেলায় সাতটি নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতর থেকে বিদ্যুত বিতরণ ও সরবরাহ করা হয়। সাতটি দফতরের মোট গ্রাহক সংখ্যা দুই লাখ ৪২ হাজার ৯৪ জন। এরমধ্যে সিঙ্গেল ফেজ গ্রাহক দুই লাখ ৩৩ হাজার ২৫৫ এবং থ্রি-ফেজ গ্রাহক ৮ হাজার ৮৩৯ জন। বিগত ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত এক লাখ ২৫ হাজার ৯৬০ জন গ্রাহকের প্রচলিত ডিজিটাল মিটার পরিবর্তন করে প্রি-পেইড ডিজিটাল মিটার স্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে এক লাখ ২৪ হাজার ২৫৯টি থ্রি-ফেজ ও থ্রি-ফেজ এক হাজার ৭০১টি। সে হিসেবে এখনও এক লাখ ১৬ হাজার ১৩৪টি প্রি-পেইড ডিজিটাল মিটারের চাহিদা রয়েছে। প্রি-পেইড ডিজিটাল মিটার না পাওয়ায় অধিকাংশ গ্রাহক গড় বিলের শিকার হয়ে হয়রানি পোহাচ্ছেন। জানা যায়, প্রচলিত ডিজিটাল মিটারের গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুত বিভাগ ৩-৪ মাসের বিল প্রায় সব সময় বকেয়া রেখে হঠাৎ করে নিয়মিত বিলের কয়েকগুণ বেশি বিল করছে। এমনিতেই একত্রে বিল করলে পরিশোধে গ্রাহকরা সমস্যায় পড়েন। তার ওপর অতিরিক্ত বিলের বোঝা তাদের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে। বিল পরিশোধ না করলেই গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ মামলা-মোকদ্দমায় জড়ানো হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই প্রচলিত ডিজিটাল মিটারের গ্রাহকরা তাদের মিটার প্রি-পেইডে পরিবর্তনের জন্য বিদ্যুত অফিসে ভির করেও কোন সুফল পাচ্ছেন না। প্রচলিত ডিজিটাল মিটারের গ্রাহক জেসমিন আক্তার, জামাল মিয়া, রওশন সিদ্দিকী, আবু সায়েম, মনিরুজ্জামানসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, তারা মিটার পরিবর্তনের জন্য বিদ্যুত অফিসে আবেদন-নিবেদন করেও প্রি-পেইড মিটার পাচ্ছেন না। বিদ্যুত অফিসের পক্ষ থেকে একটি বেসরকারী কোম্পানিকে মিটার দেখে বিল করা ও বিলের কাগজ গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু ওই কোম্পানির লোকজন মিটারের রিডিং না দেখে ৩-৪ মাস পর পর ইচ্ছে মাফিক গড় বিল এবং কোন কোন ক্ষেত্রে মোট বিলের ৪-৫ গুণ বিল করছে। ফলে প্রচলিত ডিজিটাল মিটারের গ্রাহকরা বিদ্যুত বিল পরিশোধে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। একই সঙ্গে অতিরিক্ত বিলের টাকা গুণতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা আরও জানান, বিদ্যুত বিভাগ তাদের কাছ থেকে এক প্রকার ‘ডাকাতি’ করে টাকা নিচ্ছে। এ বিষয়ে বার বার অভিযোগ করেও বিদ্যুত অফিস থেকে তারা কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। টাঙ্গাইল বিদ্যুত বিভাগের পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন প্রামাণিক জানান, জামালপুরে দুইটি ও টাঙ্গাইলের সাতটি বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ (নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতর) নিয়ে বিদ্যুত বিভাগের টাঙ্গাইল সার্কেল। টাঙ্গাইলের সাতটি বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের মধ্যে শুধুমাত্র বিবিবি-২ (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) এর ৪২ হাজার ৪১৬ জন গ্রাহকের কাউকেই প্রি-পেইড মিটার দেয়া সম্ভব হয়নি।
×