ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় চার্জ শুনানি ২৩ জুন

প্রকাশিত: ০১:২৯, ৩০ মে ২০১৯

খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় চার্জ শুনানি ২৩ জুন

অনলাইন রিপোর্টার ॥ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতির মামলায় চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৩ জুন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জের কারা ভবনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে হাজির করেননি কারা কর্তৃপক্ষ। এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ কয়েকজন আইনজীবী চার্জ শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। শুনানিতে তারা বলেন, ‘খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই অবস্থায় শুনানিতে হাজির হওয়া তার পক্ষে সম্ভব না। তিনি সুস্থ হয়ে আদালতে আসবেন। তার উপস্থিতিতে আমরা চার্জশুনানি করব। এখন আমরা শুনানি পেছানোর আবেদন করছি।’ শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির পরবর্তী তারিখ ২৩ জুন ধার্য করেন। ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটির তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলার অপর আসামিরা হলেন- তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, প্রাক্তন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও প্রাক্তন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, ঢাকা ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বাপেক্সের প্রাক্তন মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক। চার্জশিটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিসচার্জ করে স্থাগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়।
×