ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঈদ যাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া নিলেই ব্যবস্থা : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত: ০৯:৪৪, ২৯ মে ২০১৯

ঈদ যাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া নিলেই ব্যবস্থা : ডিএমপি কমিশনার

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া জানিয়েছেন, ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে সেই যানবাহনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বুধবার দুপুরে গাবতলী টার্মিনালে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। ঈদের সময় বাস টার্মিনালে যাত্রীদের বাড়তি চাপ থাকে। বাসগুলো নির্বিঘ্নে ঢাকা ছাড়তে এবং ঢাকায় প্রবেশ করতে টার্মিনালের মুখগুলো ফাঁকা রাখতে হবে। যাত্রী উঠা-নামা হবে টার্মিনালের ভেতরে। কোনও অবস্থাতেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠা-নামা করা যাবে না। আমরা টার্মিনালের সীমানাচিহ্ন হলুদ রেখা নির্ধারণ করে দিয়েছি। ঈদের সময় মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন নামতে পারবে না বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, পুলিশ-বাস মালিকদের অংশগ্রহণে একটি সমন্বিত কমিটি করে দেয়া হয়েছে। বাস ছাড়ার আগেই ওই কমিটির সদস্যরা চালকের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করবেন, যাতে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া ফিটনেসবিহীন কোনও গাড়ি রাস্তায় নামতে না পারে। অজ্ঞান পার্টির বিরুদ্ধে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাস-মালিক সমিতি ও টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ বাস টার্মিনাল এলাকায় খাবার বিক্রি করে এমন হকারদের তালিকা তৈরি করুন। এতে হকার বেশে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা এসে, ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সবকিছু লুট করে নিবে তা হতে পারবে না। টার্মিনালে যাত্রীদের ব্যাগ ধরে টানাটানি নিষেধ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এটা এক ধরনের জন হয়রানি। যাত্রী কোন বাসে যাবেন সে সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নেবেন। এ ধরনের হয়রানিসহ যে কোনও হয়রানি রোধে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, নানাবিধ কলাকৌশলের মধ্য দিয়ে আমরা নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করে যাচ্ছি। শপিংমলগুলো সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে, প্রবেশপথে আর্চওয়ে বসানো হয়েছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ফলে রমজানে নগরীতে উল্লেখযোগ্য ছিনতাই, ডাকাতি, অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা নেই। ঈদের লম্বা ছুটিতে বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা নিজেদের প্রাথমিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে যাবেন। বাকিটা আমরা সমন্বয় করে নিরাপত্তা দেব।
×