ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কারও মানহানি ঘটিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধান দেয়নি

প্রকাশিত: ০৯:৩৩, ৩০ মে ২০১৯

  কারও মানহানি ঘটিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধান দেয়নি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুপ্রীমকোর্টের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, কারও মানহানি ঘটিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধান দেয়নি। বিচারাধীন মামলার সংবাদ পরিবেশনে সাংবাদিকদের দায়িত্ব রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, খেয়াল রাখতে হবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে যেন মিডিয়া ট্রায়াল, বিচার প্রভাবিত ও আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ না হয়। মঙ্গলবার পাক্ষিক ওলামাকণ্ঠ আয়োজিত ‘বিচারাধীন মামলার সংবাদ পরিবেশনে সতর্কতা’ শীর্ষক এক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল তিনি বক্তৃতা করছিলেন। তিনি বলেন, বিচারালয় হচ্ছে সাংবাদিক, রাজনীতিকসহ সকল মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। এই আশ্রয়স্থলটি যেন কলঙ্কিত না হয় সেটি সাংবাদিকদের খেয়াল রাখতে হবে। এটা সংবিধানেরও কথা। সংবিধান যেমন মত প্রকাশের স্বাধীনতার গ্যারান্টি দিয়েছে, একইভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর কতগুলো বিধিনিষেধও দিয়েছে। আমরা সাংবাদিক হই বা অন্য যেই হই না কেন, এমন কোন কথা কিন্তু আমাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে আসবে না, যার ফলে আরেক ব্যক্তির মানহানি ঘটে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে এমন কোন কথা বলা যাবে না যার ফলে দেশে বিশৃঙ্খলা-নৈরাজ্যের সৃষ্টি হতে পারে, ধর্মের ওপর আঘাত আসতে পারে বা ধর্মীয় হানাহানির সৃষ্টি হতে পারে। ওলামাকণ্ঠের সম্পাদক আখতার হোসাইন ফারুকীর সঞ্চালনায় এবং উপদেষ্টা মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়, কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সাবেক সাধারণ সম্পাদক- কুদ্দুস আফ্রাদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নির্বাহী পরিষদ সদস্য- খায়রুজ্জামান কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম বিলু ও শেখ মামুনুর রশিদ প্রমুখ। বিচারাধীন বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন নিয়ে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘সংবিধানই বলেছে, এমন কোন কথা বলা যাবে না, যার ফলে আদালত অবমাননা ঘটতে পারে। সাংবাদিক বলি আর অন্য যেই বলি নিজেদের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। এমন কিছু কথা বা এমন কিছু ঘটনা আমরা প্রচার-প্রকাশ করব না, যার ফলে আমাদের আদালতের মান ক্ষুণ্ণ হয়। আদালতের ওপর জনগণের যে আস্থা, সে আস্থা নিয়ে যেন কটাক্ষ করা না হয় বা অন্য কোনভাবে আইনের শাসনের ওপর যেন বাধা না আসে। এটা সাংবাদিকদের বুদ্ধি-বিবেচনার মধ্যে এনেই চলতে হবে।’ সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিচারপতি মানিক বলেন, ‘পরবর্তী বিজ্ঞপ্তিতে সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সুতরাং আমার মনে হয়, এ নিয়ে আর মতবিরোধের সুযোগ নেই।
×