ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহীতে শিশু হত্যা ॥ সৎবাবা আটক

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ৩০ মে ২০১৯

 রাজশাহীতে শিশু হত্যা ॥ সৎবাবা আটক

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ পুঠিয়া উপজেলায় সাত বছরের এক শিশুকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির সৎ বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার সেনভাগ এলাকায় নির্মম এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর নাম রিফাত হোসেন। তার সৎ বাবার নাম মোহাম্মদ আলী। তার বাড়ি নাটোরের একডালা এলাকায়। পুঠিয়ার সেনভাগ এলাকায় এনে রিফাতকে নেইল কাটারের চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিল আহমেদ জানান, মোহাম্মদ আলী সাত বছর আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি হিন্দু ছিলেন। গত সাত মাস আগে তিনি বুলবুলি খাতুন নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। বুলবুলি খাতুনের প্রথম স্বামীর সন্তান রিফাত। প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে নব মুসলিম মোহাম্মদ আলীকে বিয়ে করেছিলেন বুলবুলি। মোহাম্মদ আলী পুলিশকে জানিয়েছেন, তার স্ত্রী বুলবুলি নতুন করে সন্তান নিতে না চাওয়ায় সৎ সন্তান রিফাতকে তিনি হত্যা করেছেন। হত্যার আগে রিফাতকে তরমুজ কিনে দেয়ার নাম করে নাটোর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরানো হয়। পরে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পুঠিয়ার সেনভাগ এলাকায় রিফাতকে এনে হত্যা করা হয়। এরপর বাসায় চলে যান মোহাম্মদ আলী। তবে বাসায় গিয়ে পরিবারের লোকজন রিফাতের কথা জানতে চাইলে তিনি রিফাতকে দেখেননি বলে দাবি করেন। পরে রিফাত সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে বলেও দাবি করে। এরই মধ্যে নাটোর থানা পুলিশ পুুুুঠিয়া থানায় খবর দেয়। ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রিফাতের জবাই করা লাশ উদ্ধার করে। পরে ঘাতক মোহাম্মদ আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। . মাদারীপুরে যুবক নিজস্ব সংবাদদাতা মাদারীপুর থেকে জানান, মঙ্গলবার রাতে শিবচরের কাঁঠালবাড়ির পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাটসংলগ্ন বুড়ার খেয়াঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় জেলেরা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে শিবচর থানার পুলিশ অজ্ঞাত (৩২) যুবকের লাশ উদ্ধার করে। . জয়পুরহাটে ছোট ভাই নিজস্ব সংবাদদাতা জয়পুরহাট থেকে জানান, সদর উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামে খড় রাখাকে কেন্দ্র করে বড় ভাই ও ভাতিজার ছুরিকাঘাতে হারুনুর রশীদ নামে এক ব্যক্তি বুধবার নিহত হয়েছেন। এই হত্যাকা-ের ঘটনায় নিহতের ভাই ও ভাতিজাসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত হারুনুর রশীদ সদর উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামের মৃত মাছের আলীর ছেলে। জয়পুরহাট সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোমিনুল হক জানান, বুধবার হারুনুর রশীদ তার বাড়ির সামনের উঠানে খড় শুকানোর কাজ করছিলেন। এ সময় ওই খড়গুলো উঠানের পাশে রাখাকে কেন্দ্র তার বড় ভাই ছলিম উদ্দিন ও ভাতিজা তৌহিদ উদ্দিনের সঙ্গে হারুনুর রশীদের কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে তারা হারুনুর রশীদের শরীরের বিভিন্নস্থানে ছুরিকাঘাত করে। এই সময় পাশের বাড়ির লোকজন গুরুতর আহত হারুনুর রশীদকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্য ঘোষণা করেন। . ফরিদপুরে গৃহবধূ নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, ফরিদপুরের সালথায় স্বামীর বাড়ি থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে আরিফা বেগমের (২১) লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করেন সালথা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আরিফা বেগম উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের চান্দাখোলা গ্রামের শামীম মোল্লার স্ত্রী এবং একই উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম শেখের মেয়ে। আরিফার সাত মাস বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। জানা গেছে, সোনাপুর ইউনিয়নের চান্দাখোলা গ্রামের মান্নান মোল্লার ছেলে শামীম মোল্লার সঙ্গে আরিফার বিয়ে হওয়ার পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল আরিফার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই আরিফাকে মারপিট করত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আরিফার পিতা নুরুল ইসলাম শেখ বলেন, যৌতুকের জন্য মাঝে মধ্যেই ওরা আমার মেয়েকে মারধর করত। তবে বারবার যৌতুক চাওয়ায়, আমরা দিতে রাজি না হওয়ায় ওরা আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই। এ ঘটনার পর আরিফার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকরা পালিয়ে গেছে। . সোনারগাঁয়ে যুবক স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, সোনারগাঁ উপজেলার মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের বাবরুকপুর গ্রামে আমপাড়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় রতন মিয়া (৩৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। বুধবার বেলা এগারোটায় এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের বাবরুকপুর এলাকার রতন মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার আরিফ হোসেন জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার বেলা ১১টার দিকে ওই বিরোধপূর্ণ জমির গাছ থেকে আম পাড়া নিয়ে উভয়ের মধ্যে প্রথমে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আরিফ হোসেন ও তার দলবল নিয়ে রতন মিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় রতন মিয়াকে তার আত্মীয় স্বজনরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে দুপুর ২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রতন মিয়া মারা যায়।
×