ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্বকাপের গান

প্রকাশিত: ০৯:১৬, ৩০ মে ২০১৯

 বিশ্বকাপের গান

ক্রিকেট মানেই তারুণ্য আর উন্মাদনা। আসছে আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপ। আসন্ন বিশ্বকাপকে ঘিরে প্রস্তুত বাংলাদেশও। উন্মাদনার কমতি নেই ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে। আর তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে শুভেচ্ছা জানিয়ে থিম সং প্রকাশ করছেন নন্দিত সঙ্গীতশিল্পীরা। ১৫ বছর পর ক্রিকেট নিয়ে গাইলেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবর। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে শুভকামনা জানিয়ে একটি গান করেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। ‘সাবাস বাংলাদেশ’ শিরোনামের সেই গানটি তখন দেশজুড়ে অলোড়ন সৃষ্টি করে। ১৫ বছর পর আবারও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ যাত্রায় নতুন গান নিয়ে এলেন আসিফ। ‘প্রাণে প্রাণে আওয়াজ তোল’ শিরোনামের এই গানে এবার আসিফের সঙ্গে আছেন কণ্ঠশিল্পী পূজা এবং ঐশ্বর্য। স্নেহাশীষ ঘোষের কথা ও সুরে গানটির সঙ্গীতপরিচালনা করেছেন এমএমপি রনি। গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন মাহমুদ মাহিন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাফল্য কামনা করে একটি ‘ফ্যান এ্যানথেম’ তৈরি করেছে গ্রামীণফোন। এর শিরোনাম ‘চলো বাংলাদেশ ২০১৯’। গত শুক্রবার গ্রামীণফোনের ইউটিউব চ্যানেলে এর মিউজিক ভিডিওটি অবমুক্ত করা হয়। গানটির সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ফুয়াদ আল মুক্তাদির। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছে শুভ, জোহান আলমগীর আর ফুয়াদ আল মুক্তাদির। গণমাধ্যমে ফুয়াদ আল মুক্তাদির বলেন, ‘গানটি পৃথিবীর আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা সকল বাংলাদেশিকেই অনুপ্রেরণা দেবে। গানের লিরিক্সে বাংলাদেশ টিমসহ ১৬ কোটি মানুষের আশা আকাক্সক্ষা আর উদ্দীপনার কথা বলা হয়েছে। আমার বিশ্বাস, গানটি সবাই পছন্দ করবে এবং এই গানটি আমাদের ক্রিকেটের জয়যাত্রার অংশ হয়ে দাঁড়াবে।’ ক্রিকেট নিয়ে ফুয়াদ আল মুক্তাদির বড় কাজ ছিল ‘চার ছক্কা হই হই’, ২০১৪ সালে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে শুভেচ্ছা জানিয়ে থিম সং প্রকাশ করেছে গাজী গ্রুপ। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রতিভাবান শিল্পী হাসিব। গানটির কথা লিখেছেন হাসিব হাসান চৌধুরী, গানটির সুর ও সঙ্গীত আয়োজন করেছেন তরুণ মিউজিক কম্পোজার আরাফাত মহসিন নিধি। ইতোমধ্যে গানটি বেশ সাড়া ফেলেছে। ওয়াও প্লেতে মুক্তি পেয়েছে বিশ্বকাপের থিম সং ‘ধুম ধুম’। ‘ধুম ধুম’ গানের স্যুটিং, ধামরাইয়ের এক মনোরম পরিবেশে এ স্যুটিং সম্পন্ন হয়। বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌরি সেলিম, প্রখ্যাত ণড়ঁঞঁনব ঝঃধৎ প্রত্যয় হিরন এবং শিশুশিল্পী স্পৃহা ও প্রেয়সী ‘ধুম ধুম’ মিউজিক ভিডিওর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। জাতীয় ক্রিকেট দলের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভারের উদ্যোগে ‘বুকের ভেতর আছে বিশ্বাস, খেলবে টাইগার জিতবে টাইগার’ শিরোনামে প্রকাশ করা হয়েছে বাংলাদেশ দলের থিম সং। গত শনিবার দুপুরে মিরপুর স্টেডিয়ামের মিডিয়া সেন্টারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন থিম সং। অনুষ্ঠানে জাতীয় দলের কেউ উপস্থিত থাকতে না পারলেও স্কাইপিতে কার্ডিফ থেকে যুক্ত হন অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা। অন্যদিকে যাবতীয় অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পূর্বনির্ধারিত সূচী মেনেই বিশ্বকাপের থিম সং রিলিজ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা, আইসিসি। ইংল্যান্ডের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যর সঙ্গে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে চলা দেশগুলোর ক্রিকেট উন্মাদনা মিলিয়ে তৈরি হয়েছে এই থিম সং, যে গানের নাম ‘স্ট্যান্ড বাই’। উইনাইটেড কিংডমের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘রুডিমেন্টাল’ ও উঠতি সঙ্গীত তারকা লরিন গেয়েছেন গানটি। ৩ মিনিট ২০ সেকেন্ডের একটি মিউজিক ভিডিও-ও প্রকাশ করা হয়েছে। আইসিসি-র দাবি, আসন্ন বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়েঠতে পারে এই থিম সং। প্রতি ম্যাচের সময় মাঠে এবং টিভিতে বারেবারে বাজবে ‘স্ট্যান্ড বাই’। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক জানিয়েছে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দশটি দল ও সারা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের এই গামনের মাধ্যমে এক আবেগের রথের সওয়ারি করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। ‘রুডিমেন্টাল’ ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য পিয়েরস এ্যাগেট জানিয়েছেন এই থিম সং-এর মধ্য দিয়ে লন্ডন শহরের বৈচিত্র্যকে উদযাপন করতে চেয়েছেন তাঁরা। তাঁর মতে লন্ডন শহরে বহু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। তবে এই শহরের প্রাণ হল তার বৈচিত্র্য। বহু বিচিত্র সংস্কৃতি এসে মিশেছে এই শহরে। ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও বিষয়টি সেই রকমই। পৃথিবীর বহু ভাষা-সংস্কৃতির মানুষ এই খেলার হাত ধরে আবেগে ভাসেন। একাত্মবোধ করেন। সেই ভাবটাই গানের মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বকাপের কার্যনির্বাহী পরিচালক, স্টিভ এলওয়ার্থি বলেছেন, খেলাধুলার জগতে সঙ্গীতের ব্যাপক প্রভাব ও গুরুত্ব রয়েছে। খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করা থেকে শুরু করে দর্শকদের উন্মাদনা বাড়িয়ে দিতে একটা সুরই যথেষ্ট। তিনি নিশ্চিত ‘স্ট্যান্ড বাই’ বিশ্বকাপের প্রাণ হয়ে থাকবে। এর আগে ২০১১ সালে শঙ্কর মহাদেবনের তৈরি ‘দে ঘুমাকে’ থিম সং হিসেবে দারুণ সাফল্য পেয়েছিল। এবারের বিশ্বকাপ বিভিন্ন দিক থেকেই সবচেয়ে আকর্ষণীয় হতে চলেছে বলে আশা করা হচ্ছে। সং হিসেবে ‘স্ট্যান্ড বাই’, ‘দে ঘুমাকে’-এর সাফল্যকে ছুঁতে পারে কি না সেই নজর থাকবে ক্রিকেট বিশ্বের।
×