ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কানে বিজয়ী যারা

প্রকাশিত: ০৯:১৬, ৩০ মে ২০১৯

 কানে বিজয়ী যারা

মূল প্রতিযোগিতা বিভাগ পাম দ জয়ী প্যারাসাইট (বং জুন-হো, দক্ষিণ কোরিয়া) ফ্রান্সের উপকূল ঘেঁষা শহর কানের সুবাতাস ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়াতেও। বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম সম্মানজনক আসর কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭২তম আসরে সর্বোচ্চ পুরস্কার পাম দ’র জিতেছে দক্ষিণ কোরিয়ার পরিচালক বোং জুন-হোর চলচ্চিত্র ‘প্যারাসাইট’। তার হাতে স্বর্ণ পাম তুলে দেন ফরাসী অভিনেত্রী ক্যাথেরিন দেন্যুভ ও এবারের আসরের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের প্রধান জুরি বার্ডম্যান খ্যাত মেক্সিকান নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেজ ইনারিতু। গ্র্যাঁ প্রিঁ : আটলান্টিকস (মাতি ডিওপ, সেনেগাল, ফ্রান্স) আটলান্টিকস ছবির দিয়ে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী নির্মাতা হিসেবে প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নিয়েছেন মাটি ডিওপ। একই আসরে তিনি গ্র্যাঁ প্রিঁ জয় লাভ করলেন। ফলে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে তিনি এই সম্মান অর্জন করলেন। আটলান্টিকস ছবির শুরু বহুতল এক ভবনের নির্মাণ শ্রমিকদের ভয়াবহ জীবন এবং জীবনের যাঁতাকলে পিষ্ট স্বপ্নের গল্প থেকে। সেই জীবন থেকে পালানোর গল্প আর জীবনের তাগিদে প্রিয়জনকে পাবার চেষ্টায় বাধা। এরই মধ্যে দেখা দেয় ছড়িয়ে পড়ে এক রহস্যময় জ্বর। জুরি প্রাইজ : লে মিজারেবলস (লাজ লি, মালি, ফ্রান্স) ও বাকুরাউ (ক্লেবার মেনদোনসা ফিলো ও জুলিয়ানো দোরনেলেস, ব্রাজিল) এক সিনেমা নির্মাতা ব্রাজিলের এক গহীন শহরে হাজির হন। উদ্দেশ ডকুমেন্টরি বানানো। খুব তাড়াতাড়িই তিনি আবিষ্কার করেন শহরটিকে তিনি যেমন ভেবেছিলেন ঠিক তেমন নয়। শহরের অধিবাসীরা ভয়াবহ কিছু একটা লুকাচ্ছে। এত গোপনীয়তা কিসে? জানতে হলে দেখতে হবে বাকুরাউ। অন্যদিকে ২০০৫ সালে প্যারিস শহরে দাঙ্গার সময় অপরাধ দমন বিভাগের ৩ সদস্যের দাঙ্গাবাজদের আটক করার গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে লে মিজারেবলস। সেরা পরিচালক : জ্যঁ-পিয়ের ও লুক দারদেন (ইয়াং আহমেদ) ১৩ বছরের এক কিশোরকে নিয়ে এই সিনেমার গল্প। ধর্মে অপব্যাখ্যাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে সে একপর্যায়ে নিজের শিক্ষককে হত্যা করতে উদ্যত হয়। সেরা অভিনেতা : আন্তোনিও ব্যান্দেরাস (পেইন এ্যান্ড গ্লোরি, স্পেন) পাম দ’ এ প্রতিযোগিতা করলেও শেষ পর্যন্ত ছবিটি পুরস্কার জিততে পারেনি। তবে সেরা অভিনেতা হিসেবে এই ছবিতে সালভাদোর চরিত্রে অভিনয় করা আন্তোনিও ব্যান্দেরাস জিতে নিয়েছেন সেরা অভিনেতার পুরস্কার। সেরা অভিনেত্রী : এমিলি বিচাম (লিটল জো, যুক্তরাজ্য) পাম দ’ এ প্রতিযোগিতা করেছিল এই ছবিটিও। এ্যালিস চরিত্রে অভিনয় করা এমিলি বিচামকে এই ছবিতে দেখা যায় উদ্ভিদ মডিফাই করে এমন এক কোম্পানিতে কাজ করতে। কোম্পানির নিয়মনীতি না মেনে তিনি মডিফিকেশন শুরু করেন এবং নতুন এক প্রজাতি তার ছেলের জন্য উপহার হিসেবে নিয়ে আসেন। গল্পের শুরু এখান থেকেই। সেরা চিত্রনাট্যকার : সেলিন সিয়ামা (পোর্ট্রেট অব এ্যা লেডি অন ফায়ার, ফ্রান্স) ১৮ শতকের এক নারী চিত্রশিল্পীকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পোর্ট্রেট অব এ্যা লেডি অন ফায়ার সিনেমার গল্প। তাকে আঁকতে হবে আরেক নারীর অবয়ব। মূলত ওই নারীর বিয়ের ছবি আঁকতে বলা হয় তাকে। তবে অদ্ভুত এক শর্তজুড়ে দেয়া হয়। ওই নারীর অজান্তে আঁকতে হবে তার ছবি। শিল্পী সারাদিন পর্যবেক্ষণ করে তার কল্পনা থেকে শুরু করে আঁকা। স্পেশাল মেনশন : ইট মাস্ট বি হ্যাভেন (ইলিয়া সুলেমান, ফিলিস্তিন) ফ্রেঞ্চ-কানাডিয়ান ছবিটি একজন প্যালেস্টাইনির গল্প নিয়ে। নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে কয়েকটা শহরে যেতে শুরু“করে গল্পের মূল চরিত্র। তবে যেটা খুঁজতে দেশ ত্যাগ করা সেটাই যেন খুঁজে পাচ্ছিল না সে। ৯৭ মিনিটের কমেডি ধাঁচের ছবিতটি কানেই প্রথম প্রদর্শিত হয়। ক্যামেরা দি’ওর বা গোল্ডেন ক্যামেরা : (আওয়ার মাদারস, বেলজিয়াম-গুয়াতেমালা সম্মানসূচক পাম দ’র : আলা দ্যুলো . স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি : দ্য ডিস্ট্যান্স বিটুইন আস এ্যান্ড দ্য স্কাই (ভাসিলিস কেকাতোস, গ্রিস) স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি স্পেশাল মেনশন : মনস্টার গড (অগাস্তিনা স্যান মার্টিন, আর্জেন্টিনা) . আঁ সাঁর্তে রিগার এছাড়াও আঁ সাঁর্তে রিগার বিভাগে সেরা চলচ্চিত্রের খেতাব জিতে ‘দ্য ইনভিজিবল লাইফ অব ইউরিজিসি গুজমাও’। ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিক লেখিকা এবং মার্থার লেখা এক উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে ছবিটি তৈরি করেন সে দেশেরই নির্মাতা করিম আইনুজ। পঞ্চাশের দশকে ব্রাজিলের রাজধানী রিওর দুই বোনের পুনর্মিলন হওয়ার আশা নিয়ে এগিয়েছে গল্পটি। এই বিভাগ থেকে সেরা পরিচালক হয়েছেন রুশ নির্মাতা কান্তে মির বালাগভ। জুরি প্রাইজ জিতেছে স্প্যানিশ নাটক ফায়ার উইল কাম।
×