ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মহামিলনের আনন্দ

প্রকাশিত: ০৯:০৫, ৩০ মে ২০১৯

 মহামিলনের আনন্দ

শংকর পাল চৌধুরী ॥ কর্ম উপলক্ষে ঢাকা ও বিভাগীয় শহরে বসবাস করে লাখ লাখ মানুষ। ঈদ উপলক্ষে নাড়ির টানে গ্রামে চলে যায় বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাড়ি যাওয়ার পথে তাদের অবর্ণনীয় কষ্ট পোহাতে হয়। তার পরও নাড়ির টানে বিপুলসংখ্যাক মানুষ শহর ছাড়ছে। শহর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য রয়েছে মহাসড়ক, রেলপথ এবং নৌপথ। ঈদ উপলক্ষে সড়কগুলোতে যাতায়াতের চাপ বাড়ায় যাত্রীদের কষ্ট পোহাতে হয়। যানবাহনে টিকেটের অপ্রতুলতা, সড়কগুলোর বেহাল দশা, যানজট, রাস্তায় ভোগান্তি ফেরিস্বল্পতা ও পারাপারে সঙ্কট নানা বিপত্তি পেরিয়ে যারা শহর ছাড়ছেন, তাদের চোখে-মুখে থাকে মহামিলনের আনন্দ। ঈদ যতই আনন্দের হোক ঈদে বাড়ি ফেরাটা অনেকের কাছেই কষ্টের। বাস, ট্রেন, লঞ্চের টিকেট সংগ্রহ করতে যে কি পরিমাণ ঝামেলা পোহাতে হয় তা ভুক্তভোগীরা জানেন। বাস ট্রেন কিংবা লঞ্চ সবখানেই থাকে ঘরমুখো ফেরা মানুষের উপচেপড়া ভিড়, অগ্রিম টিকেটের জন্য। রোদ, ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোর রাত থেকে বিকেল অবধি লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর শোনা যায় টিকেট শেষ। তারপরও বাড়ি ফিরবে ভালবাসার টানে নাড়ির টানে। প্রতিবছর একই চিত্র থাকায় ঈদে ঘরে ফেরার মানে হলো দুর্ভোগ দুশ্চিন্তা। মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে ছাদের ওপর যাত্রীদের আশ্রয় নেয়া মানে মৃত্যুকে ডেকে আনা। সবচেয়ে নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণ হলো রেলপথ। এ্যাপে ব্যর্থ হয়ে কাক্সিক্ষত টিকেট না পাওয়ায় কাউন্টারে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কিনেও গাদাগাদি-ঠাসাঠাসি করে গন্তব্যে যেতে হয়। তারপরও রেলপথ নিরাপদ। প্রতিবছর পুরনো লঞ্চ ও স্টিমারকে বডিতে ঝালাই করে রং লাগিয়ে যাত্রী পরিবহনের জন্য প্রস্তুত করে মালিকপক্ষ। লঞ্চ ও স্টিমারগুলোতে ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী উঠানো হয়। ফলে দুর্ঘটনা প্রাণহানিও ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তারপরও বাস ট্রেন লঞ্চের কোথাও সিট না পেয়ে গাদাগাদি- ঠাসাঠাসি করে ছাদে কিংবা দাঁড়িয়ে পাড়ি দেবে দীর্ঘপথ। দাঁড়িয়ে রয়েছে মা-বাবা-ভাই-বোনসহ আত্মীয়স্বজন। মাধবপুর, হবিগঞ্জ থেকে
×