ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের বোনাস শেয়ার ঘোষণার পর মুনাফা কমছে

প্রকাশিত: ০৮:৫৪, ৩০ মে ২০১৯

 গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের বোনাস শেয়ার ঘোষণার পর মুনাফা কমছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রতিবছর বোনাস শেয়ার প্রদানের মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন বাড়াচ্ছে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স। তারপরেও কোম্পানিটির মুনাফা বাড়ার পরিবর্তে প্রতিনিয়ত কমছে। কোম্পানিগুলোর এমন অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের কারণে বোনাস শেয়ার নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স থেকে শেষ ৫ বছরে শেয়ারহোল্ডারদের শুধুমাত্র বোনাস শেয়ার দেয়া হয়েছে। ওই ৫ বছরে বোনাস শেয়ার দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হয়েছে এবং অর্জিত মুনাফার শতভাগ কোম্পানিতেই রেখে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সর্বশেষ ২০১৮ সালের ব্যবসায়ও বোনাস শেয়ার দেয়ার সুপারিশ করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ। এভাবে নিয়মিত বোনাস শেয়ার প্রদানের পরেও কোম্পানিটির ব্যবসায় উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হচ্ছে। গত ২১ মে বোনাস শেয়ার ঘোষণা নিয়ে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। আগামীতে কোম্পানির সম্প্রসারণ, সুষমকরণ, আধুনিক করা, পুনর্গঠন ও বিস্তার (বিএমআরই) এবং গুণগতমান উন্নয়ন ব্যতীত বোনাস শেয়ার ঘোষণা করা যাবে না। এছাড়া বোনাস শেয়ার ঘোষণা নিয়ে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) প্রকাশের সময় বোনাস শেয়ার ঘোষণার কারণ এবং এর বিপরীতে রেখে দেয়া মুনাফা কোথায় ব্যবহার করা হবে, তা উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক করা হবে। এ বিষয়ে কমিশন গত ২৩ মে নোটিফিকেশন জারি করেছে। দেখা গেছে, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স থেকে ২০১৩-১৫ সাল পর্যন্ত ১০ শতাংশ করে বোনাস শেয়ার দেয়া হয়। এরপরে ২০১৬ সালে ৭ শতাংশ ও ২০১৭ সালে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়া হয়। আর ২০১৮ সালের ব্যবসায় কোম্পানিটির পর্ষদ ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। যা কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রদান করা হবে। গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ২০১৩ সালে মুনাফা হয়েছিল ৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা। যা ২০১৪ সালে ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা, ২০১৫ সালে ৩ কোটি ৭ লাখ টাকা, ২০১৬ সালে ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা ও ২০১৭ সালে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ একদিকে বোনাস শেয়ার দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হয়েছে, অন্যদিকে মুনাফা কমেছে।
×