ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঈদে ঘরে ফেরা

নিরাপদ ঈদযাত্রা নিয়ে শঙ্কা কাটছে না

প্রকাশিত: ১১:২৪, ২৯ মে ২০১৯

নিরাপদ ঈদযাত্রা নিয়ে শঙ্কা কাটছে না

রাজন ভট্টাচার্য ॥ অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সড়ক মহাসড়কের চিত্র অনেকটা ভাল হলেও নিরাপদ ঈদ যাত্রা নিয়ে ঘরমুখো মানুষের শঙ্কা যেন কাটছেই না। একদিকে টিকেট পেতে এখনও যুদ্ধ চলছে। বাস, লঞ্চ ও রেল স্টেশনে অগ্রিম টিকেটের জন্য রীতিমতো হাহাকার। আকাশপথে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স কোম্পানি দ্বিগুণ, কোন কোন ক্ষেত্রে তিনগুণ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রুটে ভাড়া নিচ্ছে। তবুও সিলেট, খুলনা, সৈয়দপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে রয়েছে বিমানের টিকেট সঙ্কট। অনেকেই না পেয়ে ফিরছেন। এদিকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শেষ হলেও কমলাপুর রেল স্টেশনে মঙ্গলবার অনেককেই টিকেটের জন্য আসতে দেখা গেছে। তারা জানান, কেউ কেউ টিকেট কেটে আবার বিক্রি করে দেন। সে আশায় এসেছেন। কারও বক্তব্য অনলাইনে ৫০ ভাগ টিকেট বরাদ্দ থাকলেও এ্যাপ জটিলতায় এবার অনেকেই কাটতে পারেননি। অবিক্রিত টিকেট যদি কাউন্টারে পাওয়া যায়, চেষ্টা করে দেখতে ক্ষতি কি। তাই কমলাপুরে আসা। যদি মিলে সোনার হরিণ খ্যাত টিকেট। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মেঘনা, গোমতিসহ চার লেনের তিনটি সেতু খুলে দেয়ায় যানজটের বিষফোঁড়া হিসেবে খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবার একেবারেই নিরাপদ। গত শনিবার সেতু উদ্বোধনের পর থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত কতটুকু নিরাপদ থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভোগান্তি চলছে ছয় মাসের বেশি সময়। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ দুই ঘণ্টা পৌঁছানো গেলেও এখন লাগে কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা। এরমধ্যে চার ঘণ্টা লাগে মহাখালী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত। আব্দুল্লাহপুর থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের কাজ হওয়ায় চার লেনের সড়ক এক লেনে ঠেকেছে। ফলে এই মহাসড়কে যানজট। পরিবহন চালকরা জানিয়েছেন, টঙ্গী সেতু পার হয়ে জয়দেবপুর পর্যন্ত অন্তত আটটি পয়েন্টে রয়েছে মারাত্মক সমস্যা। এসব পয়েন্টে সমস্যা নিরসন করা সম্ভব হলে ঘরমুখো মানুষের খুব একটা ভোগান্তি পোহাতে হবে না। পয়েন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে, টঙ্গী বাজার, টঙ্গী স্টেশন রোড, চেরাগ আলী মার্কেট, বাটা গেট, গাজীপুরা বাসস্ট্যান্ড, বোর্ড বাজার, ভোগড়া বাইপাস ও জয়দেবপুর চৌরাস্তা। এছাড়া আশুলিয়া, চন্দ্রা, বাইপাইলসহ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কও যানজটের মহাভোগান্তির নাম। ইতোমধ্যে চন্দ্রা সহ আশপাশের রাস্তা ফোর লেন হওয়ায় হয়ত দুর্ভোগ খুব একটা হবে না। তাছাড়া সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী ভাঙ্গাচোড়া সড়ক ইতোমধ্যে সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। মহাসড়কে কয়েকটি সেতু, আন্ডারপাস খোলে দেয়া হয়েছে। তবুও কেন যেন বিপদের ভয়। তবে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা নিরাপদ ঈদ যাত্রায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সড়কে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ঢাকা সিলেট মহাসড়ক নিয়ে চালকসহ যাত্রীদের এবার তেমন কোন অভিযোগ নেই। তবে যেসব পরিবহন ভোগড়া বাইপাস হয়ে সিলেট রুটে ওঠে সেসব পরিবহন চালকদের বক্তব্য হলো, ভোগড়া পয়েন্টে যানজটের দুর্ভোগ এখন সীমা ছাড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ এই পয়েন্টে একদিকে ইউটার্ন, অন্যদিকে চৌরাস্তার চারপাশজুড়ে অবৈধ পার্কিং, এলোমেলোভাবে যাত্রী ওঠানো, পণ্যবাহী পরিবহনের দৌরাত্ম্য সবই আছে। যদিও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে বারবার আশ^স্ত করা হচ্ছে ঢাকার প্রবেশ মুখ ও বের হওয়ার রাস্তাগুলো যানজটমুক্ত রাখা হবে। মোতায়েন করা হবে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। সড়ক সেতুমন্ত্রীও বারবার আশ^াস দিচ্ছেন যানজটের ভোগান্তি কম হবে। তিনি বলছেন, এবারের ঈদ প্রস্তুতি অতীতের সব সময়ের চেয়ে ভাল। এসব বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এবারের ঈদযাত্রা বিগত সময়ের চেয়ে অনেক সহজ ও স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশাবাদী। তিনি বলেছেন, মহাসড়ক এবার ইতিহাসের সবচেয়ে ভাল আবস্থায় আছে। সড়কপথে স্বস্তিদায়ক যাত্রার নিশ্চয়তা দিতে পারব- এমন একটা অবস্থানে আমরা পৌঁছেছি। ঈদের আগেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু খুলে দেয়া হয়েছে। এখন ঢাকা থেকে চার ঘণ্টায় চট্টগ্রাম পৌঁছে যাওয়া যাবে বলেই আশা করছি। তাছাড়া সেতু খুলে দেয়ার পর যাতায়াত সহজ হয়েছে বলছেন পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিসহ সাধারণ যাত্রীরা। এদিকে টঙ্গী-গাজীপুর সড়কের যানজটের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কাঁচপুর-মেঘনা-গোমতী সেতু খুলে দেয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কোন যানজট থাকবে না। উত্তরবঙ্গগামী টাঙ্গাইল সড়কের দু’টি ফ্লাইওভার ও চারটি আন্ডারপাস খুলে দেয়ায় সেখানেও কোন যানজট থাকবে না। তবে টঙ্গী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত রাস্তায় কিছুটা সমস্যা হতে পারে। এ সমস্যা নিরসনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীকে সভাপতি করে একটি কমিটি করেছি। এ কমিটি যানজট নিরসন করতে পারবে বলে আশা করছি। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে টঙ্গী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত সড়কে ৩শ’ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে বলে জানান সড়কমন্ত্রী। টঙ্গী-গাজীপুর সড়কের যানজট নিরসন কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার, বিআরটিএ কর্মকর্তা ও রুট ট্রানজিটের প্রকল্প পরিচালক। পরিবহনগুলো যদি শৃঙ্খলা মেনে চলে তাহলে সড়কে যানজট থাকার কথা নয় এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমি বলে দিয়েছি, গাজীপুরের সড়কে ঈদ পর্যন্ত কোন পাইলিং হবে না। এছাড়া বাকি রাস্তা যান চলাচল উপযোগী রয়েছে। পরিবহনগুলো যদি শৃঙ্খলা মেনে চলে তাহলে সড়কে যানজট থাকার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, সড়ক পথে একটা স্বস্তিদায়ক যাত্রা যেন নিশ্চিত করতে পারি, সে জন্য এসেছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সড়ক পরিবহনে বৈজ্ঞানিক পরিবর্তন শুরু হয়েছে। প্রশ্ন হলো মন্ত্রী ও পুলিশের আশ^াসের পরও শঙ্কা কাটছে না। জানতে চাইলে নৌসড়ক রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারে সড়কের অবস্থা ভাল, এটা সত্যি। তাছাড়া সড়কমন্ত্রী ঈদের এক সপ্তাহ আগে সড়ক মহাসড়ক সংস্কার কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নির্দেশ অনুযায়ী বেশিরভাগ সড়কের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ফলে নিরাপদে ঘরে ফেরার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সমস্যা হলো ঈদের তিনদিন আগে থেকে পরিবহন সেক্টরে কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না। বিশেষ করে পরিবহন চালক ও শ্রমিকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। নিষিদ্ধ যানবাহন অবাধে চলে মহাসড়কে। নেয়া হয় বাড়তি ভাড়া। ফলে সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ে। বৃষ্টি হলে সংস্কার কাজ নষ্ট হয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে যানজটের আশঙ্কা রয়েই যায়। তিনি বলেন, এবার রেলের টিকেট পাননি অনেক যাত্রী। এ্যাপ সেবার নামে অনেকে টিকেট থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। লঞ্চের কেবিনের টিকেট ঘোষণা ছাড়াই হাওয়া হয়ে গেল। ভিআইপিরা এসব টিকেট কেটে নিয়েছে। তাহলে সাধারণ মানুষ সবদিক থেকেই বঞ্চিত। তিনি বলেন, নিরাপদ ঈদ যাত্রা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে ১২ দফা দাবি জানানো হয়েছে। এসব দাবি দাওয়া বাস্তবায়ন হলে ঘরমুখো মানুষের ঈদ যাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক করা সম্ভব হবে। মঙ্গলবার কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা যায়। মুগদা থেকে আসা মুরাদ হোসেন জানান, তিনি পরিবার নিয়ে দিনাজপুর যাবেন। পাঁচ দিনের চেষ্টাতেও এ্যাপে টিকেট কাটতে পারেননি। দুই দিন লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। তাও ভাগ্যে টিকেট জোটেনি। এসেছি এ্যাপের অবিক্রিত টিকেট কিনতে। কিন্তু কাউন্টার থেকে এ বিষয়ে কোন কিছু জানানো হচ্ছে না। কল্যাণপুর থেকে আসা বিলকিস বেগম জানালেন, তিনদিন লাইনে দাঁড়িয়ে খুলনার এসি টিকেট পাইনি। আশা নিয়ে এ্যাপে থাকা অবিক্রিত টিকেট কিনতে এসেছি। তিনি বলেন, সড়কপথে ভোগান্তির কারণে যেতে চাই না। ছয় ঘণ্টার রাস্তা অনেক সময় দেখা যায় ১২ ঘণ্টার বেশি লাগে। মহাখালী বাস টার্মিনালে পরিবারের লোকদের উঠিয়ে দিতে এসেছেন বেসরকারী চাকরিজীবী আলাল। তিনি জানান, সড়কের অবস্থা বেহাল। এখনই শুনছি ঢাকা থেকে নেত্রকোনা যেতে ছয় ঘণ্টা লাগে। ঈদ ঘনিয়ে আসলে সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়বে। সময়ও লাগবে বেশি। তাই আগে ভাগে পরিবারের লোকদের পাঠিয়ে দিচ্ছি। টার্মিনালের এনা কাউন্টারে মানুষের দীর্ঘ লাইন। যাত্রীদের অনেকেই এসেছেন পরিবারের সদস্যদের গ্রামে পাঠিয়ে দিতে। তারা জানান, সড়কে ভোগান্তির খবর পাচ্ছি প্রতিদিন। তাই ভয়ে আগেই তাদের পাঠিয়ে দিচ্ছি। একই চিত্র শাহজালাল, সৌখিন পরিবহনের সামনেও। এনা পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আতিকুল আলম বলেন, প্রতিদিনই ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে আমাদের বাস হলো ৫০টি। বেশিরভাগই যানজটে রাস্তায় আটকে থাকার কারণে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় পরবর্তী বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তিনি বলেন, আব্দুল্লাপুর থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত সড়কের বিভিন্নস্থানে বিআরটি প্রকল্পের কাজ হওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে কাজ বন্ধ না হলে যানজটের মাত্রা আরও বাড়বে। শুক্রবার থেকে ঈদ যাত্রা ॥ রেলপথে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা শুরু হচ্ছে আগামী ৩১ মে শুক্রবার থেকে। যারা ঈদ উপলক্ষে প্রথম দিনের অগ্রিম টিকেট সংগ্রহ করেছিলেন তাদের যাত্রার প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রথম দিন ২২ মে কমলাপুরসহ রাজধানীর পাঁচ স্থান থেকে প্রথমবারের মতো ট্রেনের ৩১ মে’র অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু করে রেল কর্তৃপক্ষ। পর্যায়ক্রমে ২৬ মে পর্যন্ত চার জুনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি হয়। পাঁচ দিনব্যাপী অগ্রিম টিকেট বিক্রি কার্যক্রমে এবার ৫০ ভাগ অনলাইনে বাকি ৫০ ভাগ কাউন্টার থেকে বিক্রি হয়। একজন সর্বোচ্চ চারটি টিকেট জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে সংগ্রহ করতে পেরেছেন। শুরু থেকেই অনলাইনে টিকেট না পাওয়ার অভিযোগ করে আসছিলেন যাত্রীরা। যাত্রীদের ব্যাগ নিয়ে টানাটানি না করার আহ্বান ডিএমপি কমিশনারের ॥ বাস টার্মিনালে ঈদযাত্রায় বাড়িফেরা যাত্রীদের ব্যাগ নিয়ে টানাটানি করে হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। মঙ্গলবার রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে বাস মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদ এলে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। বিআরটিএ কর্তৃক প্রদত্ত চার্টের অতিরিক্ত ভাড়া নিলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হবে। যাত্রীদের ব্যাগ টানাটানি করে কোন রকম হয়রানি করা যাবে না। ঈদ ও ঈদ-পরবর্তী সময়ে সড়ক পথে দুর্ঘটনা এড়াতে চালককে দায়িত্বশীল হয়ে গাড়ি চালাতে হবে। বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস ব্যতীত কোন গাড়ি রাস্তায় চলতে পারবে না। মালিক পক্ষ কোন মাদকাসক্ত ড্রাইভারের হাতে গাড়ির স্টিয়ারিং দেবেন না। সেই সঙ্গে চালক, হেলপার বা পরিবহন সেক্টরের কাউকে মাদকাসক্ত বলে সন্দেহ হলে পুলিশের সহায়তায় ডোপ টেস্ট করানোর আহ্বান জানিয়েছেন আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি আরও বলেন, টার্মিনালে গাড়িতে যাত্রী উঠানোর পর নির্ধারিত হলুদ দাগ দেয়া আছে। এই দাগ অতিক্রম করলে গাড়ি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। টার্মিনাল থেকে গাড়ি ছাড়ার পূর্বে বাস মালিক-শ্রমিক ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি ড্রাইভারের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস চেক করে গাড়ি রাস্তায় নামতে দেবেন। কোন অবস্থায় বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস ব্যতীত গাড়ি রাস্তায় চলতে দেয়া হবে না। চালকদের উদ্দেশে কমিশনার বলেন, গাড়ির চালকরা সুযোগ পেলে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালা মোবাইলে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালান। গাড়ি চালানো অবস্থায় এমনটি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×