ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রাইট ফিউচারের এমডিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ১১:১৮, ২৯ মে ২০১৯

ব্রাইট ফিউচারের এমডিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কোর্ট রিপোর্টার ॥ অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রেজাউল ইসলাম সোহেলসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক মোঃ শরীফ উদ্দিনের আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ শেষে উত্তরা-পশ্চিম থানার পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। অপর আসামিরা হলেন পারভীন আক্তার (২৯), কাজী সামছুর রহমান (৪০) এবং হারুন অর রশিদ (৪০)। আর্জিতে অভিযোগ বলা হয়, ২০১২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রেজাউল ইসলাম সোহেলের সঙ্গে গাজীপুরে ৩ কাঠা প্লট ক্রয়ে মৌখিক চুক্তি হয়। এরপর বাদী সোহেলকে ২৪ লাখ টাকা প্রদান করেন। এর প্রায় ১ বছর পরে সোহেল চুক্তিটি বাতিল করে গার্ডিয়ান রিয়েল এস্টেট থেকে একটি ফ্ল্যাট বাদীকে দেয়ার লিখিত চুক্তি করেন। দুই বছর পরও সোহেল সেটা বুঝিয়ে দিতে টালবাহানা শুরু করলে বাদী তার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর কয়েকটি সালিশী মামলা দায়ের করেন। এরপর এক সালিশে আসামি তার একটি প্রজেক্ট বিক্রি করে বাদীকে ৬৪ লাখ টাকা প্রদান করবেন বলে জানান এবং তার এক কর্মচারীর মাধ্যমে ৭ লাখ টাকার ছয়টি চেক বাদীকে দেন। এরপর বীমার চেক ও চুক্তিনামা ফেরত দেয়ার জন্য বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি ও হুমকি দেন বলে বাদী অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নিতে আসামি হুমকি দেন। এরপর মামলায় তাকে আপোসের প্রস্তাব দেন। আর্জিতে আরও বলা হয়, এরপর আসামি পারভীন আক্তার আপোসের বিষয়ে তাকে বোঝান এবং বলেন যে, তাকে অন্যত্র প্লট দেবেন। গত ২৪ এপ্রিল আসামিদের সঙ্গে বাদীর মামলা তুলে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। বাদী আপোস অস্বীকার করলে সোহেল তাকে তার একান্ত রুমে নিয়ে আলাপ করেন। সোহেল বাদীকে বলেন, তাকে সন্তুষ্ট করতে পারলে তাকে জমি ফেরত দেবেন। বাদী অন্তঃসত্ত্বা জানালেও পারভীনের সহযোগিতায় তাকে ধর্ষণ করেন। বাদী দরজায় ধাক্কা মেরে বের হওয়ার চেষ্টা করলে কাজী সামছুর রহমান এবং হারুন অর রশিদ তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন এবং শ্লীলতাহানি করেন। এরপর আসামিরা ভিকটিমকে বলে, ধর্ষণের বিষয়ে কাউকে বললে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেবো। এরপর বাদী থানায় যান মামলা করতে। থানা মামলা না নিয়ে ঘোরাতে থাকলে তিনি আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১)/১০/৩০ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
×