ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদ আনন্দকে আরও প্রাণ দিচ্ছে ডিজিটাল ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ১১:০৬, ২৯ মে ২০১৯

ঈদ আনন্দকে আরও প্রাণ দিচ্ছে ডিজিটাল ব্যবস্থা

ওয়াজেদ হীরা ॥ রোজার শুরু থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে অপেক্ষায় থাকে খুশির ঈদ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই উৎসব পালনে নেয়া হয় নানারকম প্রস্তুতিও। সিয়াম সাধনার মাস শেষে ঈদের চাঁদ দেখা মাত্রই টেলিভিশনসহ বিভিন্ন অলি গলিতে শোনা যায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান- ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে, এলো খুশির ঈদ।’ আর সেই সঙ্গে মুসলিম ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ে ঈদ উৎসবের রং। সময়ের সঙ্গে ঈদ উৎসব উদযাপনের ধরন পাল্টে গেছে। তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে ঈদ আনন্দেও লেগেছে ডিজিটাল হাওয়া। তবে ঈদ আনন্দ একাল সেকাল সবসময়ই সার্বজনীন। সময় বাঁচানো থেকে শুরু করে টাকা পয়সার নিরাপত্তা, দ্রুত খবর প্রাপ্তি, ঝামেলহীন গন্তব্যের টিকেট সবকিছুতেই প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে হরহামেশাই। সময়ের ব্যবধানে ডিজিটাল বিপ্লবে বাঙালীর কাছে আরও বর্ণিল ঈদ উৎসব। ২০০৯ সালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মানে স্বপ্ন দেখায় বর্তমান সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সময়ের সঙ্গে তিনবারের ক্ষমতায় বর্তমান দলটি গত কয়েক বছরে তথ্য প্রযুক্তিতে ঘটিয়েছে বিপ্লব। যার সুফল পাচ্ছে সব শ্রেণীর মানুষ। জানা গেছে, দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। এতে করে দেশের মানুষ নানা বিষয়ে তথ্য পাচ্ছে প্রান্তিক পর্যায়ে থেকেও। রোজা, ইফতার সেহরি সময় থেকে শুরু করে ঈদের চাঁদ উঠেছে না উঠবে সবই জানতে পারছে। এমনকি বিশে^র কবে কখন ঈদের চাঁদ দেখা গেল সে বিষয়ে খোঁজ রাখতে পারছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উৎসব উদযাপনের ধরন যেমন পাল্টে গেছে তেমনি বদলেছে এর অনুভূতি প্রকাশের ভিন্নতা। যাকে বলা হয় ঈদ আনন্দে লেগেছে ডিজিটাল হাওয়া। ইন্টারনেট, ফেসবুক, টুইটার, ভাইবার, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যমে ঈদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এই সব ডিজিটাল সোশ্যাল মিডিয়া। রোজার শুরুকে বিভিন্ন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা রোজা ও তারাবির তথ্য দিতে শুরু করে। এমনকি বর্তমানে কে কি কেনাকাটা করছে তারও আপডেট তথ্য দিচ্ছে। নগরের মানুষ সময় বাঁচানোর জন্য এখন অনেকেই শপিংমলে ভিড় জমায় না। ঘরে বসেই অনলাইনে প্রয়োজনীয় পণ্য পছন্দ করে অর্ডার করে দেয় তা বাসায়ও পৌঁছে যায়। তাবাসুম জান্নাত সুমা একজন শিক্ষার্থী। ইস্কাটনের বাসিন্দা আশপাশে নামীদামী কয়েকটি শপিংমল থাকলেও নিজের ঈদ কেনাকাটা করেছেন অনলাইন থেকে। তিনি জানান, আসলে রাস্তায় অনেক জ্যাম আর প্রচুর গরম। সবমিলিয়ে আমি ভাল পণ্য অনলাইনে পাচ্ছি তাহলে কেনই বা বের হব। সুমার মতো অনেকেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন অনলাইনে শপিং করতে। শুধু শপিংই নয় প্রয়োজনীয় অনেক কেনাকাটাই হচ্ছে এই প্রযুক্তির কল্যাণে। শুধু তাই নয় আর্থিক নিরাপত্তায় এখন আর কারো ঈদ আনন্দ মাটি হচ্ছে না। একসময় নগদ টাকা পয়সা সবসময় সঙ্গে রাখার কারণে যে কোন দুর্ঘটনা বা ছিনতাই হলে অনেক পরিবারের ঈদ আনন্দ বলতে অশ্রুজলে ছিল। এখন আর সেই সময় নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশের ব্যাংকিং প্রদ্ধতিতে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। কেনাকাটা করতে এখন সবাই ডিজিটাল পদ্ধতিতে ডেভিড ক্রেডিট, বিকাশ, ইউক্যাশ নানা মাধ্যম ব্যবহার করে। আর এইভাবেই ঈদের আনন্দ আরও সহজ এবং ব্যাপকভাবে ডিজিটালাইজড হয়ে ধরা দিচ্ছে নতুন প্রজন্মের মানুষের কাছে। ব্যাংক কর্মকর্তা মঞ্জুর হোসেন বলেন, আমাদের দেশে এই প্রযুক্তিগুলো মানুষে কত রকমের সুবিধা দিচ্ছে বলে শেষ করা যাবে না। একটা মানুষের যা প্রয়োজন সেই পরিমাণ টাকা উঠাচ্ছে। শপিং মলে বাড়তি টাকা নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে না ফলে পকেট মারের ভয়ও থাকছে না। বেসরকারী ব্যাংকের কর্মকর্তা সাজিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ডিজিটালে অভ্যস্ত হয়েছি। আমাদের শহরের অলি গলিতে ব্যাংক বুথ। এছাড়াও বিভিন্ন দোকানে দোকানে রয়েছে বিকাশ, ইউক্যাশসহ নানা কিছু। যা আমাদের আর্থিক নিরাপত্তা দিচ্ছে। বসুন্ধরা সিটি ও রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে গত কয়েক দিনের কেনাকাটায় দেখা গেছে অনেক ক্রেতাই কেনা শেষে নগদ অর্থ পরিশোধে চেয়ে ব্যাংকের ডেবিট কার্ড বের করে দিচ্ছেন। এলিফ্যান্ড রোডের পাঞ্জাবি শোরুম প্লাস পয়েন্টের কর্মকর্তা বলেন, দেখুন একটা সময় হয়তো খুব একটা মানুষ কার্ডে টাকা দিত না এখন অধিকাংশ মানুষই চায়। আশপাশের একাধিক দোকান ঘুরে দেখা গেছে এসব প্রায় প্রতিটি দোকানেই রয়েছে কার্ডে পেমেন্ট করার ছোট পস মেশিন। তথ্য প্রযুক্তি সুবিধা পাচ্ছে প্রবাসী নাগরিকরাও। এক সময় ঈদের দিন বা ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করার মাধ্যম ছিল চিঠি। এক পর্যায়ে মুঠোফোন এলেও তার প্রতি মিনিটের মূল্য ছিল বেশ বেশি। এখন মোবাইলের পাশাপাশি ঘরে বসে ইউরোপ, আমেরিকা কিংবা মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের সঙ্গে দেশের স্ত্রী-সন্তান পরিবার স্বজন সবার সঙ্গে ইমু বা অন্যান্য ভিডিও কলে ভাগ করে নিচ্ছেন ঈদ আনন্দ। ঈদে কে কি কেনাকাটা করল বা কি রান্না হবে মুহূর্তেই পাচ্ছে আপডেট খবর। ফলে প্রযুক্তি দেশের বাইরেও ছড়িয়ে দিচ্ছে ঈদের খুশি। আর বদলে যাচ্ছে পৃথিবীব্যাপী ঈদ উৎসবের আমেজ। এ বিষয়ে বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মুস্তাফা জব্বার জনকণ্ঠকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির কারণে এখন পর্যন্ত যে পরিবর্তন হয়েছে তা চূড়া দেখতে পারছেন মাত্র পুরোটা দেখা যায়নি। আমরা কৃষিভিত্তিক সমাজে বাস করি সেখান থেকে আমাদের পরিবর্তনে আসতে হয়েছে। পরিবর্তনটা হয়েছে মূলত গত ১০ বছরে। তৃণমূলের মানুষ গরিব মানুষ সবাই এর সুবিধা পাচ্ছে। এর মূলশক্তিটা হলো মোবাইল ফোনটাকে সবার কাছে নিতে পেরেছি বলে। তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মুস্তাফা জব্বার আরও বলেন, শুধু ঈদ আনন্দই নয় জীবন ধারার প্রতিটি অধ্যায়েই এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। মোবাইলের মাধ্যমে যা হয়েছে সামনের দিনগুলোতে আমরা ডাটাতে যাব। এর ফলে আগামী ৫ বছর আরও বেশি পরিবর্তন হবে। উদাহারণ দিয়ে তিনি বলেন, ধরুন আমি একটি বড় টিভি দেখছি যখন ডাটাতে শিফট করব তখন এর স্পিড বেশি হবে ফলে টিভি দেখার প্রয়োজন হবে না। এছাড়াও প্রযুক্তিতে এখন পর্যন্ত যা কাজ হয়েছে তা ম্যানেজমেন্ট ভিত্তিক স্বাস্থ্য, কৃষিতে আরও কাজ করতে হবে এবং সামনে সেসব কাজ হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে, প্রযুক্তির কল্যাণে এখন নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে বাস ট্রেনের টিকেট পেতে কেউ অরেকেই রাত জেগে অপেক্ষা করে না। ঘরে বসে সহজডটকম, অনলাইন টিকেট, সেবা ইত্যাদি মাধ্যমে খুঁজে নেয় কাক্সিক্ষত টিকেট। এবারও রেলের অনলাইন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সিএনএস অনলাইনে টিকেট বিক্রি করেছেন। সিএনএস দাবি করেছে, ২৫ তারিখ পর্যন্ত অনলাইন ও এ্যাপে বিক্রি হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৯৫টি টিকেট। তখনো অবিক্রীত ছিল ৯ হাজার ৩০৫টি। যা দ্রুতই শেষ হয়ে যাবে বলেও জানানো হয়। জুলহাস উদ্দিন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ্যাপে টিকেট পেতে আবেদন করলেও একটি টিকেট পায়নি। তাতেও দুঃখ নেই কেন না ঝামেলা এড়িয়ে টিকেট পাওয়া নিয়েই সন্তুষ্টি তার। রেলওয়ে থেকে জানা গেছে, যাত্রীসেবার মান বাড়ানো ও ভোগান্তি কমাতে এবার ঈদ-উল-ফিতর সামনে রেখে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেনের মোট টিকেটের ৫০ শতাংশ ই-টিকেটিংয়ের জন্য বরাদ্দ রেখেছিল। বাকি ৫০ ভাগ কাউন্টার থেকে দেয়া হয়। এর মধ্যে পাঁচ ভাগ ভিআইপি ও বাকি পাঁচ ভাগ রেলওয়ের কর্মকর্তা আর কর্মচারীদের জন্য রাখা হয়। যদিও অনলাইনে টিকেট ক্রয় নিয়ে কেউ কেউ অভিযোগও করেছেন। এ বিষয়ে ঈদের পর ই-টিকেটিংয়ের অব্যস্থাপনার অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, তারা (সিএনএসবিডি) আমাদের বলছে একসঙ্গে প্রায় চার লাখ লোক অনলাইনে টিকেট কিনতে চায়। এ কারণে সবাইকে টিকেট দেয়া সম্ভব হয়নি। ঈদের পর আমরা বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখব। বিপুলসংখ্যক মানুষের আগ্রহ বলে দিচ্ছে দিন দিন অনেক বেশি ডিজিটাল নির্ভর হয়ে যাচ্ছে সবকিছু সেখানে ঈদের আনন্দও বাদ যাচ্ছে না। এছাড়াও বর্তমানে ঈদ কার্ড প্রদানের আগ্রহ খুব একটা নেই বললেই চলে। যতটুকু আছে দাফতরিক। সবাই মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠায় কিংবা সামাজিক যোগাযোগের যে মাধ্যম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, টুইটার বা ভাইবার ইত্যাদিতে ঈদের বার্তা দেয়। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতি ও স্যাটেলাইট টিভির প্রভাবে বর্তমানে ঈদ উদযাপনের পদ্ধতিও পাল্টে গেছে। আগে থেকেই মানুষ জানতে পায় ঈদে কোন চ্যানেলে কি থাকছে। সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান মালায় নানা আয়োজন করে বিভিন্ন চ্যালেন। একসময় ঈদে হাতেগোনা কয়েকটি খাদ্য পায়েস বা ক্ষীর তৈরি হলেও এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইউটিউব বা বিভিন্ন টিভি চ্যানেল বা পত্রিকার পাতা থেকে রেসিপি দেখে তৈরি করা হয় নানা ধরনে পিঠা পায়েস। বাহারি খাবারও সংযোজন করে ঈদে উৎসবের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে প্রযুক্তির কল্যাণেই। এমনকি যারা সাদাকালো, দেশী দশ, ইনফিনিটি, এপেক্স, ইয়োলো, সাদাকালো, অঞ্জনস, বিশ্বরং, দর্জিবাড়ী নানা কালেকশন দেখতে বের হন তারাও আগে থেকেই রাস্তার অবস্থা দেখে নেন। বেশিরভাগই কেনাকাটা চলে মধ্য রাতে। সন্ধ্যার পর অধিকাংশ মানুষ কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। আগে থেকেই ট্রাফিক আপডেট নিয়ে বের হচ্ছেন। শুধু তাই নয় আবহাওয়া কেমন থাকতে পারে সে সবও জেনে নিচ্ছেন অনেকে। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের এই পরিবর্তন ইতিবাচক এবং স্বাভাবিক। তবে প্রযুক্তি যেন অক্যাণে ব্যবহার না হয় সেটিও বলছেন তারা। এদিকে তরুণীরা অনেকেই এখন ছুটেন বিউটিপার্লারে। ঈদের সময় ভিড় বেশি হওয়াতে আগে থেকেই স্ব স্ব বিউটিপার্লারে অনলাইন বা মুঠোফোনে সিরিয়াল দিয়ে রাখতে পারছেন। সময়মতো হাজির হচ্ছেন নিজেকে সাজাতে আরও সুন্দর করতে। বিউটি পার্লারের বিষয়টি গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় হলে ঈদে কিশোর কিশোরীদের হাতে মেহেদী দেয়া সেকাল থেকে এখনো বেশ জনপ্রিয়। তবে এক সময় পাড়ায় ঘুরে মেহেদি পাতা সংগ্রহ করে শিল পাটায় বেটে লাগানোর দিন এখন আর নেই। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নজরকাড়া মেহেদি আর চটকদার বিজ্ঞাপনে মুগ্ধ সবাই। এই আনন্দে ছোট বড়, ধনী গরিব, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে একাকার হয়ে যায়। এছাড়াও ঈদের লম্বা ছুটি থাকলেও কেউ আগের মতো আত্মীয় স্বজনদের বাসায় না ঘুরে অনেকেই ছুটে যান বিভিন্ন পর্যটক স্থানে। কিংবা কোন নিরিবিলি স্থানে বিনোদন পেতে। মোবাইল বা অনলাইনে অবস্থান জেনে নিয়ে বুকিং করে দিচ্ছে মুহূর্তেই। বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর একাধিক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, এক সময় মানুষ যা কল্পনা করত না তাই এখন বাস্তব। সামনের দিনগুলোতে প্রযুক্তিতে আরও পরিবর্তন আসবে। পরিবর্তনের সঙ্গে উৎসবের মাত্রাও ভিন্নতা পাবে। শুধু ঈদ উৎসব নয় অন্যান্য উৎসবেও এখন প্রযুক্তির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রযুক্তিবিহীন উৎসবই এখন বেশি খালি খালি লাগে বলেও জানান। উদাহারণ দিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন একদিন ফেসবুক বন্ধ থাকলে অনেকের কাছে ভাল লাগে না। প্রযুক্তি আমাদের যে শিক্ষা দিচ্ছে সেখান থেকে নেতিবাচককে পরিহার করার কথাও বলেন তিনি। প্রযুক্তির কল্যাণে ঈদের খুশিসহ সব খুশির রং ছড়িয়ে যাক সবখানে। ফোর জি সমৃদ্ধ দেশ আরও এগিয়ে যাক সে প্রত্যাশা তরুণ প্রজন্মের। আর বায়োজেষ্ঠ্যরা প্রত্যাশা করেন প্রযুক্তি যেন ভালবাসা কেড়ে না নেয়।
×