ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মাতৃত্ব দিবসে সব প্রসূতির মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের অঙ্গীকার

প্রকাশিত: ০৯:১৫, ২৯ মে ২০১৯

মাতৃত্ব দিবসে সব প্রসূতির মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের অঙ্গীকার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সকল প্রসূতির জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য অঙ্গীকার করার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার পালিত হয়েছে বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় র‌্যালি, সেমিনার ও আলোচনা সভা। সেমিনারে বক্তারা বলেন, প্রশিক্ষিত ধাত্রীর সঙ্কট রয়েই গেছে। শহরাঞ্চলে হাসপাতাল ও ক্লিনিকভিত্তিক সন্তান প্রসবের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে অদক্ষ ও অপ্রশিক্ষিত ধাত্রী দিয়েই চলছে সন্তান প্রসবের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। এতে ঝুঁকিতে থাকছেন প্রসূতি মা ও শিশু। কারণ প্রতিটি মৃত্যুই অনাকাক্সিক্ষত। নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে নারীর পাশাপাশি পুরুষদেরও সচেতন হতে হবে। কারণ পুরুষরা এখনও পরিবারের কর্তা হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। এ বিষয়ে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই। বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুরের ওজিএসবি হাসপাতালে মায়ের ফ্রি সেবাদান ক্যাম্প কার্যক্রমসহ বৈজ্ঞানিক সেমিনারের আয়োজন করে অবস্ট্রেটিক্যাল এ্যান্ড গাইনিকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)। ওজিএসবির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ সামিনা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক শাহলা খাতুন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম, মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ সাহেলা বেগম, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ লায়লা আরজুমান্দ বানু, ডাঃ রওশন আরা বেগম, অধ্যাপক ডাঃ সায়েবা আক্তার, অধ্যাপক ডাঃ রশীদা বেগম, অধ্যাপক ডাঃ পারভিন ফাতেমা, অধ্যাপক ডাঃ নজনীন কবীর, ডাঃ শারমিন আব্বাসি প্রমুখ। জাতীয় অধ্যাপক শাহলা খাতুন বলেন, নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে নারীর পাশাপাশি পুরুষদেরও সচেতন করতে হবে। কারণ পুরুষরা এখনও পরিবারের কর্তা হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। এ বিষয়ে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই। গর্ভধারণ ও প্রসবজনিত জটিলতায় বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় ১৫ জন মায়ের মৃত্যু ঘটে। প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ, খিচুনী, গর্ভকালীন জটিলতা, ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা ও পরিবারের অবহেলা মাতৃমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। মাতৃমৃত্যুর এই কারণসমূহ পুরোপুরিভাবে প্রতিরোধযোগ্য।
×