ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মতিলাল দেব রায়

বদলে যাবে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:১৩, ২৯ মে ২০১৯

বদলে যাবে বাংলাদেশ

সহমর্মিতার নিদর্শন স্বরূপ এক নারী কৃষকের ধান কেটে দিলেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। এমন এক সময় ছিল যখন কোন দিন জেলা প্রশাসকের কাছে কাজেকর্মে কোন দিন কৃষক বা সাধারণ জনগণ ধারে কাছে যেতে পারতেন না কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে এই মান্দাতা আমলের প্রথা ভেঙ্গে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই প্রথম একজন জেলা প্রশাসক জনগণের শাসকের ভূমিকা পালন না করে সেবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন এবং দেশের সকল জেলা প্রশাসক সব নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সব কর্মকর্তাকে সেবকের ভূমিকা পালন করতে এগিয়ে আসার জন্য নীরবে নিজে হাতে কৃষকের ধান কেটে দেশবাসীকে দেখিয়ে দিলেনÑ যা এদেশের কৃষক ও সাধারণ মানুষের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এদিকে সরকার নির্ধারিত দরে কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান সংগ্রহ করছেন রাজশাহীর দুর্গাপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন সরকার। ধানের অস্বাভাবিক কম মূল্য ও শ্রমিকদের বেশি মজুরির কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। এ সঙ্কটময় সময়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসক ওই সময় বলেন, ‘কৃষকরা একা নয়, আমরা আছি তাদের পাশে।’ ‘আমরাও কৃষকের সন্তান, কৃষকদের এই সময়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেদেরও সৌভাগ্যবান মনে করছি।’ উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, নারী ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যানও ঘটনাস্থলে এসে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পাকা ধান কেটে দেন। আবেগাপ্লুত জেবুন্নেছা জানান, তার ১৫ কাঠা জমির ধান পেকে যাওয়ার পরও টাকার অভাবে তিনি শ্রমিক নিয়ে ধান কাটাতে পারছিলেন না। তাই তিনি ও তার ছেলে শাহ আলম মিলে গতকাল ধান কাটতে শুরু করেন। এ সময় জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বিনা মজুরিতে জমির ধান কেটে দেন। যা অত্র এলাকার কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক প্রাণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক যে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তা দেশের কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে তা দেশবাসীর কাছে এক অনুকরণীয় অনন্য এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এই দৃষ্টান্ত অনুকরণ করে দেশের সকল জেলা প্রাশসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা যদি কৃষকের পাশে দাঁড়ান এবং জেলা প্রশাসকের মতো তাদের অন্তত মানসিক সমর্থন ও উৎসাহ দিয়ে যান তা হলে বাংলাদেশ অচিরেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ লাভ করবে। আমরা প্রবাসে থেকে দেশের এই অভিনন্দনমূলক দৃষ্টান্ত কাজে আল্পুত। সরকার হোক কৃষকের। লেখক : আমেরিকা প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী
×