ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ৩৫ হাজার কোটি টাকা লেনদেন

প্রকাশিত: ০৮:৪৪, ২৯ মে ২০১৯

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ৩৫ হাজার কোটি টাকা লেনদেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বেড়ে যাওয়া মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মোট লেনদেন বেড়েই চলেছে। মোবাইল রিচার্জ, বিদ্যুত বিল পরিশোধ, টাকার আদান-প্রদান, বীমা প্রিমিয়াম জমাসহ নানামুখী ব্যবহারের সুযোগ থাকায় বেড়েই চলেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মাত্র এক মাসেই (এপ্রিল) ৩৪ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসে যথাক্রমে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৪ হাজার ৬২৬ কোটি, ৩১ হাজার ৫১৩ কোটি, ৩৪ হাজার ৬৭৮ কোটি ও ৩৪ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। কিন্তু মাত্র দুই বছর আগেও ২৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাসিক লেনদেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের এপ্রিলভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী, দেশে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি ৮৩ লাখ। যা আগের মাসে (মার্চ) ছিল ৬ কোটি ৭৫ লাখ। তবে নিবন্ধিত গ্রাহকদের মধ্যে অনেক হিসাবই সক্রিয় নেই। এপ্রিল শেষে প্রায় ৩৩ লাখ সক্রিয় গ্রাহকের সংখ্যা কমে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে মোবাইলের সক্রিয় গ্রাহক রয়েছে ২ কোটি ৯১ লাখ। এক মাস আগেও এর সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ২৪ লাখ। এ মাসে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা লেনদেন করেছেন গ্রাহকরা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মোট এজেন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ২৮ হাজার ৫৬৩ জন। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যেসব কাজ করা যায় সেগুলো হলো, রেমিট্যান্স পাঠানো, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, একজনের এ্যাকাউন্ট থেকে অন্যজনের ব্যক্তিগত এ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, মোবাইল ফোনের এয়ার টাইম কেনা, পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে মার্চেন্ট পেমেন্ট, সরকারী প্রতিষ্ঠানে বেতন পরিশোধ, মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ অন্যান্য ভাতা, বীমা প্রিমিয়াম, ডিপিএস দেয়া ইত্যাদি। সুবিধাবঞ্চিতদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং চালুর অনুমতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরের বছর পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। ১৯৯৯ সালে ইউরোপিয়ান ব্যাংকে সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। মূলত, স্মার্টফোন উদ্ভাবনের পরে মোবাইল ওয়াপ (ওয়্যারলেস এ্যাপ্লিকেশন প্রটোকল) পদ্ধতির মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং শুরু হয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা মোবাইল অপারেটরভিত্তিক হলেও বাংলাদেশে এ সেবা ব্যাংকভিত্তিক। ব্যাংকগুলো বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপারেটরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এ সেবা দিচ্ছে। দেশের বর্তমানে ৫৮টি ব্যাংকের মধ্যে ২৯টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অনুমোদন নিয়েছে। তবে বর্তমানে কার্যক্রম আছে ১৬টি ব্যাংকের।
×