ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাক-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা ক্ষীণ

প্রকাশিত: ০৮:৩৯, ২৯ মে ২০১৯

পাক-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা ক্ষীণ

দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আমন্ত্রণ পাচ্ছেন না বলে ইঙ্গিত মিলেছে। ভারতে লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় নিয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিজেপি। আগামী ৩০ মে পুনর্বার সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন মোদি। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার শপথ নেয়ার অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী দেশগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে সার্কভুক্ত সব দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদি। তখন সার্কের সদস্য রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রতিবেশী দেশটির প্রধানমন্ত্রীর অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। কিন্তু পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাগ্যে তা ঘটছে না বলে নয়াদিল্লীর কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে। খবর ওয়েবসাইটের। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর থেকে কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের বিরোধ চলছে; একাধিকবার যুদ্ধেও জড়িয়েছে পরমাণু শক্তিধর এই প্রতিবেশী দেশ দুটি। মাঝে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও তা সম্পর্কের বরফ গলার পরিবেশ বেশিদিন টেকেনি। ক্রিকেটার ইমরান খান পাকিস্তানের সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেয়ার পর ভারতের নির্বাচনের কয়েক মাস আগে এই বছরের শুরুতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধার পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ না বাধার পর মোদির জয়ে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ইমরান। দুদিন আগে টেলিফোনেও দুজনে কথা বলেন। কিন্তু ৩০ মে শপথ অনুষ্ঠানের যে প্রস্তুতি ভারত সরকার নিয়েছে, তাতে ইমরান খানের অংশ নেয়ার কোন সুযোগ দেখা যাচ্ছে না। লোকসভা নির্বাচনের আগে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধানোর ফায়দা নিয়ে মোদি ক্ষমতায় টিকে যান বলে অনেকের ধারণা। কিন্তু শপথ অনুষ্ঠানে পাকিস্তান বাদ পড়ায় দুই দেশের সম্পর্ক অচিরে উষ্ণ হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এবার বিমসটেক জোটভুক্ত দেশগুলোর নেতাদেরই শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। নয়াদিল্লীর আরেকটি সূত্র বলেছে, শপথ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণের তালিকায় পাকিস্তান নেই। দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা-সার্ককে পাশে রেখে গত কয়েক বছর ধরেই বঙ্গোপসাগরীয় অর্থনৈতিক জোট বিমসটেককে গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত। এই জোটে ভারত ছাড়াও রয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড।
×