ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার তীব্র ভাঙ্গন

প্রকাশিত: ০৮:২৯, ২৯ মে ২০১৯

ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার তীব্র ভাঙ্গন

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কুড়িগ্রামে উলিপুরের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে নদের তীব্র ভাঙ্গন। গত এক সপ্তাহে কয়েক একর আবাদি জমি ও ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে কয়েকশ’ একর ফসলি জমিসহ ১৫টি বসতবাড়ি। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের হাতিয়ার গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে আবাদি জমি বসতভিটা ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে বিলীন হচ্ছে। তাছাড়া কয়েকশ’ একর ফসলি জমি ও ১৫টি বসতবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। এসব ভিটেমাটি যে কোন মুহূর্তে নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের। শুক্রবার হাতিয়াৎ গ্রামের আবদুল ছামাদ জানান, কয়েকদিনের নদী ভাঙ্গনে আমার ভিটেমাটিসহ এক একর ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। এছাড়াও আবুল হোসেন, আবদুল কাদের, মান্নার মিয়া, রহিম বাদশা, তৈয়ব আলীরসহ কয়েকটি বসতভিটা ও কাশিম আলীর ২৫ শতক, খেতাব সরকারের ৮০ শতক , আইয়ুব আলীর ৩০ শতক, নুর ইসলামের ৬০ শতকসহ একাধিক কৃষকের পাটক্ষেত হুমকির মুখে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল হক, গফুর আলী, রাজু মিয়া জানান, নদী যেভাবে ভাঙছে তাতে খুব তাড়াতাড়ি তাদের বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। গ্রামবাসী সবাই চিন্তিত হয়ে পড়েছে। এদিকে থেতরাই ইউনিয়নের দালাল পাড়া এলাকায় তিস্তা নদীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন বিএসসি জানান, জরুরী প্রকল্পের মাধ্যমে নদীর ভাঙ্গন রোধ করা না হলে বেশ কিছু বাড়ি ও কয়েকশ’ আবাদি জমি নদীগর্ভে চলে যাবে। সেই সঙ্গে হাতিয়া বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রটি ভাঙ্গন কবলে পড়বে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল কাদের জানান, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হবে। উলিপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, জরুরী প্রকল্পের জন্য অর্থ চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। হাতে পেলে কাজ শুরু করব।
×