ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফেলে যাওয়া নবজাতককে বেবী হোমে দেয়ার সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ২৮ মে ২০১৯

ফেলে যাওয়া নবজাতককে বেবী হোমে দেয়ার সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহত চিকিৎসা কেন্দ্র শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটে চার দিনের নবজাতক কন্যা সন্তানকে গর্ভধারীনি মা ফেলে রেখে উধাও হয়ে গেছেন। মা ও শিশু দুইজন দুই ওয়ার্ডে থাকায় মায়ের অবস্থান সম্পর্কে আগে খোঁজ পরেনি। এদিকে নবজাতকের মায়ের কোন খোঁজ না পেয়ে সমাজ সেবা অফিস শিশুটিকে জেলার আগৈলঝাড়ায় অবস্থিত বিভাগীয় ছোটমনি নিবাসে (বেবী হোমে) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেবাচিমের নবজাতক ইউনিটের ইনচার্জ মাহফুজা আক্তার বলেন, গত ২১ মে মানসুরা বেগম নামের এক প্রসূতি নারী গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। ওইদিনই অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে তার একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। শিশুটি অসুস্থ থাকায় নবজাতক ইউনিটে ভর্তি করার পর তার মা পালিয়ে যায়। তাকে আর পাওয়া যাচ্ছেনা। তিনি আরও বলেন, মা ও শিশু দুইজন দুই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন থাকার কারণে প্রথমে বিষয়টি টের পাওয়া যায়নি। তবে ২৬ মে নবজাতকের মায়ের খোঁজ করা হলে তার না থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নবজাতক শিশুটিকে ফেলে রেখে তার মা পালিয়ে গেছেন। মাহফুজা বেগম আরও বলেন, মানসুরা ভর্তির সময় গ্রামের বাড়ির ঠিকানা লিখিয়েছেন বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জ। ওই ঠিকানা সঠিক নয় বলে জানতে পেরেছে হাসপাতালের সমাজসেবা দপ্তর। সেখানে স্বামীর নাম উল্লেখ না থাকলেও মানসুরার বাবার নামের স্থানে লেখা রয়েছে আহম্মেদ আলী। হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীরা জানান, নবজাতক কন্যাকে রেখে মায়ের পালানোর খবর ছড়িয়ে পরলে উৎসুক মানুষ ভিড় জমায় নবজাতক ইউনিটে। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের সমাজসেবা কর্মকর্তা দিলরুবা আক্তার রইচি বলেন, ভর্তির কাগজে দেওয়া ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে কাউকে পাওয়া যায়নি। তাই শিশুটিকে যথাযথ কর্তৃৃপক্ষের মাধ্যমে ছোটমনি নিবাসে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
×