ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় যত্রতত্র গড়ে উঠছে ইটভাঁটি

প্রকাশিত: ১০:২২, ২৮ মে ২০১৯

 গাইবান্ধায় যত্রতত্র গড়ে উঠছে ইটভাঁটি

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২৭ মে ॥ গাইবান্ধা জেলায় যত্রতত্র গড়ে উঠছে লাইসেন্সবিহীন ইটেরভাঁটি। এতে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি জমি। অথচ দেখার কেউ নেই। গাইবান্ধার ৭টি উপজেলায় ইটেরভাঁটি রয়েছে প্রায় ১৮০টি। অথচ এরমধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের প্রদত্ত নিয়ম-কানুন মেনে লাইসেন্স গ্রহণকারী ইটভাঁটি মাত্র ৩৫টি। ইটভাঁটি দেয়ার ক্ষেত্রে সমস্ত নিয়ম-কানুন উপেক্ষা করেই চলছে বাকি ইটভাঁটিগুলো। জানা গেছে, পরিবেশ অধিদফতরের নিয়ম অনুযায়ী ইটেরভাঁটি দেয়া যাবে বসতবাড়ি থেকে ৩ কি.মি. দূরে। এছাড়া আবাদি জমিতে ইটভাঁটি দেয়া যাবে না, ইট পোড়াতে হবে কয়লা দিয়ে এবং নির্ধারিত উচ্চতায় স্থায়ী চিমনি বসাতে হবে। এছাড়া সরকারের রাজস্ব বাবদ আয়কর ও কাস্টমস ট্যাক্স প্রদান করারও বিধান রয়েছে। এসব নিয়ম-কানুন মেনে আবাদি জমি নয় এতদসংক্রান্ত কৃষি বিভাগের সনদ ও পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লাইসেন্স গ্রহণ করলেই শুধুমাত্র বৈধভাবে ইটভাঁটি দেয়া যেতে পারে। কিন্তু অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অধিকাংশ ইটভাঁটায় এসব নিয়ম মানা হচ্ছে না। অধিকাংশ ইটভাঁটিতে সামনে কয়লা মজুদ করে রেখে প্রকৃত পক্ষে কয়লার পরিবর্তে জ্বালানি কাঠ পোড়া হচ্ছে। এতে উজার হচ্ছে গাছপালা। কৃষির জমিতে ইটভাঁটি করার ফলে এবং ইট তৈরির জন্য জমির টপ সয়েলের মাটি কেটে নেয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ওই জমিগুলো চিরস্থায়ীভাবে অনাবাদিতে পরিণত হচ্ছে। এছাড়া ইটভাঁটির তাপে এবং নির্গত ধোঁয়া ও ছাইয়ের দ্বারা আশপাশের এলাকার মানুষেরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে বিপন্ন হচ্ছে জনস্বাস্থ্য। তদুপরি পার্শ্ববর্তী আবাদি জমি ও গাছপালাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ সমস্ত অবৈধ ইটভাঁটি সরকারের প্রাপ্য অর্থ পরিশোধ করছে না। ফলে আয়কর ও কাস্টমস ট্যাক্স বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
×