ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুলিশ ফুটবল দলকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত: ১০:০৩, ২৮ মে ২০১৯

 পুলিশ ফুটবল দলকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ১৯৯১-৯২ মৌসুমে সর্বশেষ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে খেলেছিল বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব। ২৭ বছর পর আবারও প্রিমিয়ারে ফিরেছে দলটি। পেশাদার লীগের দ্বিতীয় স্তর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে তিন ম্যাচ হাতে রেখেই প্রিমিয়ার লীগে নাম লেখায় তারা। গত ২৫ মে তারা শেষ ম্যাচেও বিশাল জয় কুড়িয়ে নেয়। ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা ৫-১ গোলে হারায় ফেনী সকার ক্লাবকে। খেলা শেষে পুলিশ দলের হাতে চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি তুলে দেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, এমপি। তবে তাদের এই স্মরণীয় সাফল্য-প্রত্যাবর্তন ম্লান হয়ে তাদেরই এক কলঙ্কিত কা-ে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর পুলিশের এক সাদা পোশাকের (মোহাম্মদ শামীম) কনস্টেবল অতর্কিতে মাঠে প্রবেশ করে (এ্যাক্রেডিটেশন কার্ড না থাকায় তাকে ১৫ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়) ধাক্কা মেরে ফেলে দেন বাফুফের কম্পিটিশন্স ম্যানেজার জাবের বিন তাহের আনসারীকে। এরপর শিরোপা উদযাপন রেখে বাফুফের কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর চড়াও হন পুলিশ এফসির কিছু ফুটবলার। তাতে বাফুফের দু’জন নিরাপত্তারক্ষী আহত হন। এই ঘটনায় ওই ম্যাচের ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্ট এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বাফুফে ডিসিপ্লিনারি কমিটি পুলিশ এফসিকে কারণ দর্শাও নোটিস পাঠায়। পুুলিশ এফসির কারণ দর্শানোর লিখিত জবাব পর্যালোচনা করে বাফুফে ডিসিপ্লিনারি কমিটি ৪৬, ৫৩, ৫৫ ও ৫৬ ধারা অনুযায়ী পাঁচটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এগুলো হচ্ছে : পুুলিশ কনস্টেবল মোঃ শামীমকে ফুটবল সংশ্লিষ্ট সব কার্যকলাপ থেকে এবং স্টেডিয়ামে প্রবেশে আজীবন নিষিদ্ধ করা, পুলিশ এফসিকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা, পুলিশ এফসির দুই খেলোয়াড় আমিরুল ইসলাম এবং তারেক আজিজকে আগামী দুই ম্যাচের জন্য এবং আজমি ওমর এবং সারোয়ার হোসেন জনিকে নয় ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড করা এবং চারজনকেই জনপ্রতি এক লাখ টাকা জরিমানা করা, পুলিশ এফসির ফিজিও সান্তনু মল্লিককে আগামী নয় ম্যাচে স্টেডিয়ামে প্রবেশে নিষিদ্ধ করা এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা করা। উল্লেখ্য, প্রতিটি জরিমানার অর্থ আগামী এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
×