ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সীমান্ত স্কয়ার মার্কেটে র‌্যাবের অভিযান, দোকানিদের ভোঁ দৌড়

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ২৮ মে ২০১৯

 সীমান্ত স্কয়ার মার্কেটে র‌্যাবের অভিযান, দোকানিদের ভোঁ দৌড়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিজিবির সদর দফতরের সামনে সীমান্ত স্কয়ার। রাজধানীর অন্যতম অভিজাত বিপণিবিতান হিসেবে বিবেচিত। সার্বক্ষণিক বিজিবির সদস্যদের উপস্থিতি ও তত্ত্বাবধানে এখানে চলে বাণিজ্যিক কর্মকান্ড। ক্রেতা দর্শকের ভিড়ও চোখে পড়ার মতো। এমন একটি ব্র্যান্ড ইমেজের মার্কেটে যখন র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালান তখন অনেকেই দোকান বন্ধ করে ভোঁ দৌড়। ওদের দৌড় দেখে ম্যাজিস্ট্রেট নিজেও হতবাক। তাহলে কি এখানেও অনিয়ম। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সীমান্ত স্কয়ারের সাত তলার ফুডকোর্টে মোট ৩০টি দোকান রয়েছে। ফুডকোর্টে র‌্যাবের অভিযান দেখে দোকানের সাঁটার নামিয়ে পালিয়ে যান ২৪ দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা। পরে দোকানগুলো বন্ধের নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। এছাড়া ৫ দোকান মালিককে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে র‌্যাব সদস্যদের নিয়ে সীমান্ত স্কয়ারে অভিযান চালান সারওয়ার আলম। অভিযানের সময় যেসব কাস্টমার সেখানে খাবার খাচ্ছিলেন তাদের খাওয়া শেষে নিচে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে পুরো ফুডকোর্টটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে অভিযান চালান র‌্যাব সদস্যরা। এ অভিযানে বিল্লা স্পাইসি ফুড, মায়সা ইতালিয়ান ফুড, ফোরমোসা কিউ কিউ, ইট ওয়ে এবং ইট পেন্ট নামের ৫ দোকান খোলা ছিল। বাকি ২৫ দোকান বন্ধ পায় র‌্যাব। খোলা থাকা পাঁচ দোকানে অভিযানে চালিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট দেখতে পান সেখানে ব্যবহৃত স্পাইসি চিকেনে শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত রং ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি দোকানের রান্নাঘরে তেলাপোকা ও খাবার তৈরির জায়গা অস্বাস্থ্যকর ছিল। অভিযানে বিল্লা স্পাইসি ফুডকে ৪০ হাজার, মায়সা ইতালিয়ান ফুডকে ৫০ হাজার, ফোরমোসা কিউ কিউকে ২৫ হাজার, ইট ওয়েকে ৫০ হাজার এবং ইট পেন্টকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নিউমার্কেটে রং মেশানো ৬ মণ মাংস জব্দ, আটক ৩ ॥ নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে রং মেশানো গরুর মাংস বিক্রি এবং ভারতীয় মহিষের মাংস গরুর মাংস বলে বিক্রির অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাব। এ ছাড়া ৬ মণ মাংস জব্দ করা হয়। র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে সোমবার দুপুরে এ ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ‘অভিযানকালে কাঁচাবাজারের মাংসের দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ফ্রিজে মজুদ রাখা হয়েছে মাংস। দীর্ঘদিন আগের মাংস মজুদ রাখায় ফ্যাকাসে রং ধারণ করেছে। বিক্রিতে ঝামেলা মনে করে সেসব বের করে রং দিয়ে টাটকা দেখানোর চেষ্টা করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। অভিযানকালে দেখা যায়, পানির জারে রাখা হয়েছে রং মিশ্রিত পানি। মাংস বের করে সেসব রং মিশিয়ে রক্ত বর্ণে পরিণত করা হচ্ছে। ক্রেতারা বাসি মাংস কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। এছাড়া ভারত থেকে আমদানি করা মহিষের মাংস গরুর মাংস বলেও বিক্রি করে হচ্ছিল বেনামি এসব মাংসের দোকানে। মাংস ছোট ছোট পিস করে গরুর মাংস বলে বিক্রি করা হচ্ছিল। এ জন্য দুটি দোকানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা, তিনজনকে আটক এবং ৬ মণ মাংস জব্দ করা হয়েছে।
×