ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আগামী বাজেটে গার্মেন্টসে ১১ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দাবি

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ২৮ মে ২০১৯

 আগামী বাজেটে গার্মেন্টসে ১১ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী অর্থবছরের বাজেটে পোশাক পণ্য রফতানিতে ১১ হাজার ৭২৪ কোটি টাকার ভর্তুকি দাবি করা হয়েছে। সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে পোশাকখাত মালিকদের শীর্ষ তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ আয়োজিত প্রাকবাজেট শীর্ষক এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক, বিকেএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি এম মনসুর আহমেদ, এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, আমরা ভর্তুকি দাবি করি, প্রণোদনা দাবি করি, তার একটি যৌক্তিক কারণ আছে। পোশাক শিল্প একটি ক্রান্তিকালে এসে পৌঁছে গেছে। অন্তত আগামী ৫ বছরের জন্য যদি এই প্রণোদনা দেয়া হয় তাহলে পোশাক শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। সব মার্কেটের জন্য যদি শতকরা ৫ ভাগ প্রণোদনা দেয়া হয়, তাহলে যৎসামান্য ১১ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি, এটি একটি বিরাট সংখ্যা নয়। রুবানা বলেন, বর্তমান বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন। আমরা এখন পর্যন্ত গত এক মাসে ২২টি ফ্যাক্টরি বন্ধ করেছি। কারণ তারা বেতন দিতে পারছে না। প্রতিটি মালিকের কষ্ট হচ্ছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গত ৬ বছরে ১২০০ ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে। অর্থাৎ প্রতিমাসে ১৭টি। এখন প্রতি মাসে ২০ থেকে ২২টি বন্ধ হচ্ছে। আগের চেয়ে কারখানা বন্ধ হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ঈদের আগে দুই একটি ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেলেও খুব একটা অবাক হবেন না। অসহায় শিল্প মালিকরা তাদের মেশিন বিক্রি করেও বেতন-ভাতা পরিশোধ করছেন। আমরা সবাইকে নির্দিষ্ট সময়েই বেতন পরিশোধ করতে বলেছি। কিন্তু আমাদের মনে রাখা দরকার ছোট মানেই নিকৃষ্ট নয়। ছোট ও মাঝারি ফ্যাক্টরিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। রফতানিতে প্রণোদনা পেলে ফ্যাক্টরিগুলো ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। বাজেটে বিজিএমইএ’র সুপারিশগুলো হলো-সকল বাজারে রফতানির ওপর ৫ শতাংশ প্রণোদনা বা ভর্তুকি দেয়া, রফতানি সহায়ক মুদ্রা বিনিময় হার নির্ধারণ, পোশাক শিল্পকে সম্পূর্ণ ভ্যাটমুক্ত রাখা, পোশাক শিল্পের জন্য রফতানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর ০.২৫ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা, উৎসে করকে আগের মতো চূড়ান্ত করার দায় হিসেবে গণ্য করা এবং কর্পোরেট কর ১২ শতাংশের পরিবর্তে পূর্বের ন্যায় ১০ শতাংশ করা। এছাড়া, পোশাক শিল্পের জন্য ৩০০ কোটি টাকার জরুরী ফান্ড গঠন, শ্রমিকের জন্য বিশেষ বরাদ্দ, বন্ডের অডিট কার্যক্রমের জন্য দলিলাদি দাখিলের সময়সীমা ৩ মাসের পরিবর্তে ৬ মাস করা ও পোশাক শিল্পের জন্য প্রযুক্তি উন্নয়নে তহবিল বরাদ্দের মতো দাবি রয়েছে সংগঠনটির।
×