ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঈদে প্রধানমন্ত্রীর উপহার

প্রকাশিত: ০৮:৩৪, ২৮ মে ২০১৯

ঈদে প্রধানমন্ত্রীর উপহার

উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে। বিরাট ও মহৎ কর্ম প্রকল্পগুলো একটি আধুনিক বাংলাদেশ উপহার দিতে প্রতিনিয়তই তার লক্ষ্যমাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। শুরু হওয়া উন্নয়নের মহাকর্মযোগের সুফল আজ জনগণের কল্যাণে তাদের নাগালে চলে আসছে। সড়ক-মহাসড়কের বিভিন্ন উন্নয়ন ধারায়ও নতুন মাত্রা যোগ হওয়ার যে অবিস্মরণীয় কর্মপ্রবাহ সবার সামনে স্পষ্ট হচ্ছে, তাতে বলাই যায় যাতায়াত ব্যবস্থায় এক অনন্য বিপ্লব সাধিত হচ্ছে। ২৫ মে শনিবার একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চারটি সেতু, দুটি উড়াল সড়ক, চারটি আন্ডারপাস উদ্বোধন করেছেন। এমন সব প্রকল্প বাস্তবায়ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দীর্ঘদিনের যানজট নিরসনে সুদূরপ্রসারী অবদান রাখবে। বিশেষ করে এই মহাসড়কের মেঘনা-গোমতী সেতু যানজটকে সহনীয় পর্যায়ে এনে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। এ ছাড়া ঢাকা-উত্তবঙ্গের মহাসড়কের চন্দ্রার মোড় এতদিন যে বিভীষিকাময় সঙ্কট তৈরি করেছে, সেখানেও উড়াল সেতু এবং আন্ডারপাসের নতুন কার্যক্রমে পথযাত্রীরা অনেকটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারবে। এমন ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্টদের ঈদযাত্রা অনেকটা নির্বিঘ্ন এবং সুস্থির হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ শুরু হওয়ার আগেই জনগণকে দেয়া এমন অভাবনীয় উপহার সত্যিই সম্ভাবনাময় স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার এক নতুন প্রত্যয়। শুধু সেতু, উড়াল সড়ক কিংবা আন্ডারপাসই নয়, ঈদযাত্রায় আরও একটি পরম প্রাপ্তি ঢাকা-পঞ্চগড় পথে বিরতিহীন ট্রেনের যাত্রা শুরু। যা প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একই দিনে উদ্বোধন করেন। চার লেন বিশিষ্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতু তিনটি ছিল দুই লেনের। ফলে চার পাশে মাত্রাতিরিক্ত যানজটের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হতো গণপরিবহনের। জাপানের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা জাইকার সহায়তায় এসব সেতুর পাশে চারলেন বিশিষ্ট তিনটি সেতু তৈরি করায় সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। তাতে ভোগান্তি কমবে, যাত্রাপথ নিরাপদ এবং সুস্থির হবে। সবচেয়ে বেশি সুফল পাবে পরিবহনের যাত্রীরা। গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ চার লেনে উন্নীত করার যে বিরাট প্রকল্প নির্মাণাধীন, সেটার কাজও আগামী বছর শেষে হলে পুরো যাত্রাটা যে মাত্রায় উপভোগ্য হবে, তা সত্যিই অকল্পনীয়। পুরো মহাসড়কটি একেবারে অবাধ ও মুক্ত না হলেও অনেকটা স্বস্তি এবং আনন্দে যাত্রীদের শঙ্কামুক্ত অবস্থায় গন্তব্যে পৌঁছে দেবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ ছাড়াও বর্তমান সরকার নতুন করে নিরাপদ সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়ন করেছে। মাঝপথে চালকদের বিশ্রামাগার নির্মাণেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে মহাসড়কের দীর্ঘযাত্রা পথ অনেকটা স্বস্তিদায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে সবাইকে সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে অনুসরণ করারও আহ্বান জানান। একই সঙ্গে বর্তমানে ঢাকাবাসীদের প্রতিদিনের যাত্রায় যানজটের যে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পে, সেটাও সহ্য করার আবেদন জানান। সম্পূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এমন কষ্ট আর জনগণকে ভোগ করতে হবে না বলেও সবাইকে আশ্বস্ত করেন তিনি। আগামীতে উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর নিরবচ্ছিন্ন কর্মপ্রবাহ আরও উন্নয়নের গতি নিয়ে এগিয়ে যাবে- এমন প্রত্যাশা সবার।
×