ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খালেদার বিচারের জন্য কেরানীগঞ্জে জেলের ভেতরে আদালত স্থানান্তর প্রত্যাহার চেয়ে রিট দায়ের

প্রকাশিত: ১০:০১, ২৭ মে ২০১৯

 খালেদার বিচারের  জন্য কেরানীগঞ্জে জেলের ভেতরে আদালত স্থানান্তর প্রত্যাহার চেয়ে রিট দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর আদালত স্থানান্তরের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা রবিবার হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হতে পারে। গত ১২ মে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলা নাইকো দুর্নীতি মামলাসহ বিভিন্ন মামলা বিচারে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে আদালত স্থাপনের প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। খালেদা জিয়ার রিটে দাবি করা হয়েছে সরকারের জারি করা এ প্রজ্ঞাপন সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদবহির্ভূত। একইসঙ্গে প্রজ্ঞাপনে প্রচলিত ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ধারা ৯ এর (১) ও (২) উপধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে। পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগার থেকে বিশেষ জজ আদালত-৯ কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের দুই নম্বর ভবনে স্থানান্তরে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ও বেআইনী ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে রিটে রুল চাওয়া হয়েছে। এই সঙ্গে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, রিট দায়েরের পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এজে মোহাম্মদ আলী সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলাটি উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, আমরা বলে আসছি, খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনি অসুস্থ। হঠাৎ গত ১২ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আদালত স্থানান্তরের বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, বিভিন্ন সময় বেগম জিয়া ন্যায়বিচার না পেলেও এই ক্ষেত্রে তিনি সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে ন্যায়বিচার পাবেন। হাইকোর্ট এই প্রজ্ঞাপন বাতিল করবেÑ আশা কায়সার কামালের। তিনি বলেন, বেগম জিয়া একজন পাবলিক ফিগার। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর যে কোন ট্রায়াল পাবলিকলি হওয়া উচিত। কেরানীগঞ্জে কারাগারের একটি রুমে কখনও পাবলিক ট্রায়াল হতে পারে না। আর কারাগারটিও ঢাকা মহানগর এলাকার বাইরে। আইনে রয়েছে, মামলা মহানগর এলাকার ভেতরে হতে হবে।
×