ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল মেরামত শেষ, স্বাভাবিক ইন্টারনেটের গতি

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ২৭ মে ২০১৯

প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল মেরামত শেষ, স্বাভাবিক ইন্টারনেটের গতি

ফিরোজ মান্না ॥ দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল ‘সি-মি-উই-৪’র মেরামত কাজ শেষ হয়েছে। ইন্টারনেটের গতি এখন স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। গত ৮ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত সাবমেরিন ক্যাবলের ‘আপগ্রেডেশনের’ কাজ হয়েছে। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) ওই সময় পর্যন্ত বিকল্প ব্যবস্থায় ইন্টারনেট সরবরাহ দিয়েছে। বর্তমানে প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে স্বাভাবিক গতিতে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সরবরাহ হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। বিএসসিসিএল জানিয়েছে, কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ‘সি-মি-উই-৪’ এর তৃতীয় রিপিটার প্রতিস্থাপনের কাজটি এপ্রিল মাসের শেষ দিকে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ফণীর অবস্থানের কারণে কাজটি পিছিয়ে যায়। কাজটি ‘রি-শিডিউল’ করে ৮ মে থেকে শুরু হয়। এর ফলে ৮ থেকে ৯ দিন সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশনে টার্মিনেটেড সার্কিটগুলো বন্ধ ছিল। রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলাকালে ইন্টারনেট গ্রাহকরা সাময়িকভাবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামান্য অসুবিধায় পড়েছিলেন। সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে প্রথম রিপিটার প্রতিস্থাপনের কাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে বলেও জানায় বিএসসিসিএল। তবে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (সি-মি-উই-৫) এবং আইটিসি (ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল) অপারেটরদের সার্কিট চালু থাকায় আন্তর্জাতিক ভয়েস, ডেটা ও ইন্টারনেট সার্ভিসে খুব একটা সমস্যা হবে না। সি-মি-উই-৪ এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে। আর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সি-মি-উই-৫ এ যুক্ত হয়। সাবমেরিন ক্যাবল ছাড়াও বাংলাদেশ এখন ছয়টি বিকল্প মাধ্যমে (আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল) ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। ফলে এখন একটি ক্যাবলে সমস্যা হলে অন্য ক্যাবলের মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ দেয়া হচ্ছে। সাবমেরিশন ক্যাবল কোম্পানি জানিয়েছে, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল ‘সি-মি-উই-৪’ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে। তখন এই ক্যাবলের মাধ্যমে মাত্র ২৫০ জিবিপিএস (গিগাবিট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ পাওয়া যেত। ক্যাবলটি বার বার আপগ্রেড করা হয়েছে। একটি মাত্র সাবমেরিন ক্যাবল থাকার কারণে একটা ঝুঁকি ছিল। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চালু হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। এরপর থেকে এই ঝুঁকি অনেকটা কেটে যায়। কারণ একটি ক্যাবল বিকল হলে অন্য ক্যাবল দিয়ে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সরবরাহ ঠিক রাখা যাবে। ওই সময় বেসরকারী উদ্যোগে সাবমেরিন ক্যাবল ছাড়াও বাংলাদেশ এখন ছয়টি বিকল্প মাধ্যমে (আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবল) ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। কোন কারণে একটি ক্যাবলে সমস্যা দেখা দিলে ভয়ের কিছু নেই। কারণ বিকল্প অনেকগুলো ক্যাবল বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। ভারতে বেসরকারীভাবেই বেশ কয়েকটি ক্যাবল আছে, যেগুলো আমরা সহজেই ব্যবহার করতে পারি। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশনের মাধ্যমে সাউথইস্ট এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ (এসইএ-এমই- ডব্লিউ-৫) আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন ক্যাবল থেকে সেকেন্ডে ১ হাজার ৫শ’ গিগাবিট (জিবি) গতির ইন্টারনেট পাওয়ার কথা রয়েছে।
×