ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নেত্রকোনা-পূর্বধলা সড়কে যাত্রীদের নরক যন্ত্রণা

প্রকাশিত: ০৯:০৮, ২৭ মে ২০১৯

  নেত্রকোনা-পূর্বধলা সড়কে যাত্রীদের  নরক যন্ত্রণা

সঞ্জয় সরকার, নেত্রকোনা ॥ সংস্কারের অভাবে নেত্রকোনা-পূর্বধলা সড়কটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে হাজারও গর্ত ও খানাখন্দের। আবার কোন কোন অংশে একাধিক গর্ত ও খানাখন্দ একাকার হয়ে রীতিমতো খালে পরিণত হয়েছে। এ কারণে ওই সড়কের যাত্রীদের প্রতিদিন নরকযন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে। মাত্র আধাঘণ্টার সড়ক পাড়ি দিতে হচ্ছে দেড় ঘণ্টায়। জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতাধীন মাত্র ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ নেত্রকোনা-পূর্বধলা সড়কের প্রায় ৯০ ভাগ অংশই এখন ভাঙ্গা। সিংহভাগ জায়গার পিচ ও ইটের খোয়া উঠে গেছে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দের। বর্ষার কাদাপানি জমে এসব গর্ত ও খানাখন্দ দিন দিন বড় হচ্ছে। কোন কোন অংশ রীতিমতো খাল হয়ে গেছে। এ কারণে সড়কটিতে হেঁটে চলাও দায় হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে চৌরাস্তা, নারায়ণডহর, ত্রিমোহনী, শিমুলকান্দি, মাধবপুর, জামতলা, কুমড়ি, আমলীতলাসহ আরও কয়েকটি অংশের অবস্থা একেবারে বেহাল। স্থানীয়দের অভিযোগ, সওজ বিভাগ প্রায় বছর দুয়েক আগে গর্তগুলোতে কিছু খোয়াবালি ফেলে গিয়েছিল। এরপর কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এর পরবর্তীকালে আর কোন সংস্কার করা হয়নি। এদিকে কাগজে কলমে সড়কটির প্রস্থ ১২ ফুট হলেও ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে কিছু কিছু অংশের প্রস্থ ৮-১০ ফুট হয়ে গেছে। জানা গেছে, পূর্বধলা ও দুর্গাপুর উপজেলার বাসিন্দাদের নেত্রকোনা সদরে আসতে হয় গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কপথ দিয়ে। আবার জেলার অন্য উপজেলার বাসিন্দাদেরও পূর্বধলা, দুর্গাপুর এবং ময়মনসিংহের ধোবাউড়া বা হালুয়াঘাট উপজেলায় যেতে হলে এ সড়কটির ওপর নির্ভর করতে হয়। কয়েক বছর আগেও সড়কটিতে নিয়মিত বাস, ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতো। কিন্তু ভগ্নদশার কারণে এখন আর বাস-ট্রাক চলতে পারে না। কখনও কখনও দু-একটা চলতে গেলেও প্রায় সময় গর্ত বা খানাখন্দে আটকে যায়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় পুরো রাস্তার যান চলাচল। বর্তমানে ওই সড়কের যাত্রীরা মারাত্মক দুর্ঘটনার ঝুঁকি মাথায় নিয়ে সিএনজি, অটোরিক্সা, ইজিবাইক, রিক্সাসহ অন্য ছোটখাটো যানবাহনে চলাচল করছে। এতে প্রায় দিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
×