ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিশুর প্রাণঘাতী স্পাইনাল মাস্কুলার এ্যাট্রফির চিকিৎসায় ব্যবহৃত

বিশ্বের সবচেয়ে দামী ওষুধ জোলজেন্সমা

প্রকাশিত: ০৮:৪৩, ২৭ মে ২০১৯

 বিশ্বের সবচেয়ে দামী  ওষুধ জোলজেন্সমা

বিশ্বের সবচেয়ে দামী ওষুধ জোলজেন্সমার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওষুধটির মূল্য ২১ লাখ ২৫ হাজার ডলার। শিশুদের প্রাণঘাতী স্পাইনাল মাস্কুলার এ্যাট্রফি (এসএমএ) রোগে জিন থেরাপিতে এটি এককালীন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সুইস ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নোভারটিস শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ওষুধটির অনুমোদন পায়। ওষুধের মূল্যের ক্ষেত্রে এটি একটি রেকর্ড। মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) শুক্রবার এসএমএ রোগে আক্রান্ত দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের চিকিৎসায় জোলজেন্সমা ওষুধটিকে অনুমোদন দিয়েছে। এমনকি যাদের মধ্যে এ রোগের লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে না, তাদের চিকিৎসায়ও এটি ব্যবহার করা যাবে। শিশুদের মৃত্যুর অন্যতম জিনগত কারণ হলো এসএমএ। এ রোগের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক টাইপ১ নিয়ে জন্মগ্রহণকারী শিশু পক্ষাঘাত, শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়ে থাকে। এমনকি জন্মের কয়েক মাসের মধ্যে মৃত্যু ঘটতে পারে শিশুর। প্রতি ১০ হাজার জনের একজন শিশু এসএমএ আক্রান্ত হয়ে থাকে, যার ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ টাইপ১। বিস্তৃত এক কর্মসূচীর আওতায় লসএ্যাঞ্জেলেসের শিশু স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইমানুয়েল টিয়াংসনকে রোগীদের চিকিৎসার জন্য জোলজেন্সমা ব্যবহার করতে দেয়া হয়। ওষুধটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এসএমএ’র সবচেয়ে মারাত্মক পর্যায়ের রোগে আক্রান্ত শিশুদের সেবায় এটা নিশ্চিতভাবে নতুন একটা মাত্রা। ওষুধটির মূল্য সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছেন নোভারটিসের নির্বাহীরা। তারা বলেন, দীর্ঘমেয়াদে বছরব্যাপী এ রোগের চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া খুবই ব্যয়বহুল। এতে বহু লাখ ডলার ব্যয় হয়। এর চেয়ে এককালীন চিকিৎসা অনেক মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ। এই থেরাপিতে ত্রুটিগত জিন নিয়ে জন্মগ্রহণ করা শিশুকে এসএমএনওয়ান জিন দেয়া হয় একটি ভাইরাসের মাধ্যমে। তরল পদার্থের মিশ্রণে এটি শরীরে প্রবেশ করানো হয়। নোভারটিস জানিয়েছে, জোলজেন্সমার মাধ্যমে দেড় শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ভাস নরসিমহান বলেন, জন্মের পরপরই শিশুকে জোলজেন্সমা দেয়া হলে সেটা খুবই কার্যকরভাবে রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। কিন্তু তথ্য-উপাত্ত থেকে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, এর কার্যকারিতা মাত্র পাঁচ বছর। এ বছরের শেষে ইউরোপ ও জাপানের অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করছে নোভারটিস। এসএমএ রোগের চিকিৎসায় প্রথম অনুমোদিত বায়োজেনের স্পিনরাজার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে জোলজেন্সমাকে। ২০১৬ সালের শেষের দিকে স্পিনরাজা অনুমোদিত হয়। প্রতি চার মাস পর পর মেরুদন্ডে প্রবেশ করাতে হয়। -গার্ডিয়ান
×