ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গান কবিতায় ছায়ানটের নজরুল বন্দনা

প্রকাশিত: ১০:০৮, ২৬ মে ২০১৯

 গান কবিতায় ছায়ানটের নজরুল বন্দনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কবির বন্দনায় রাঙা হয়ে ওঠে মেঘলা দিনের সকাল। তারই সৃষ্টির ঐশ্বর্য মুখর হয়ে ওঠে ধানমন্ডির লাল দালানটি। শিল্পের আলো স্নিগ্ধতা ছড়ায় যান্ত্রিক নগরে। সুরের আশ্রয়ে জানানো হয় মানবতা ও সাম্যের কবির প্রতি ভালবাসা। কবিতার শিল্পিত উচ্চারণে ঝরে পড়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি। পাঠে পাঠে ব্যক্ত হয় কবি বন্দনা। ১২০তম জন্মজয়ন্তীতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে এভাবেই হৃদয় উৎসারিত ভালবাসা জানায় বাঙালীর স্বাধিকারের চেতনায় গড়ে ওঠা ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। শনিবার সকালে ধানমন্ডির ছায়ানট ভবনে নজরুলজয়ন্তী উৎসবের আয়োজন করা হয়। সম্মেলক সঙ্গীতের সুরে ছায়ানট ভবনের রমেশচন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনকেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সূচনা হয়। অনেকগুলো কণ্ঠ মিলে যায় এক স্বরে। সবাই মিলে গেয়ে ‘জাগো অমৃত পিয়াসী চিত’। সূচনা সঙ্গীত শেষে নজরুল কথনে সবাইকে নজরুলের দর্শনকে জীবনে প্রতিফলনের আহ্বান জানান ছায়ানটের সহ-সভাপতি খায়রুল আনাম শাকিল। তিনি বলেন, জাতীয় জীবনে নজরুলের অবদান অপরিসীম। মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনে নজরুল ছিলেন আমাদের প্রেরণার উৎস। তার অসাম্প্রদায়িক চেতনার রচনাগুলো আমাদের সুন্দর মানবিক জীবনের পথ দেখায়। বাঙালী হয়েও তিনি হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বনাগরিক। তার সঙ্গীত এতটাই সমৃদ্ধ যে আমাদের শুদ্ধ সঙ্গীতচর্চায় অনুপ্রাণিত করে। সংক্ষিপ্ত কথন শেষে পুনরায় শুরু হয় পরিবেশনা পর্ব। সুপ্তিকা ম-ল গেয়ে শোনান ‘আকাশে ভোরের তারা’। মনীষ সরকারের কণ্ঠে গীত হয় ‘ওগো অন্তর্যামী, ভক্তের তব শোন’। মোহিত খান গেয়ে শোনান ‘তুমি যতই দহনা দুঃখের অনলে’। ঐশ্বর্য সমদ্দার পরিবেশিত গানের শিরোনাম ছিল ‘খেলে নন্দের আঙিনায় আনন্দ দুলাল’। লায়েকা বশির শুনিয়েছেন ‘অন্তরে তুমি আছো চিরদিন’ শিরোনামের সঙ্গীত। তানভীর আহমেদ পরিবেশন করেন ‘কাল্মা শাহাদতে আছে খোদার জ্যোতি’। শ্রাবন্তী ধর গেয়েছেন ‘ভাইয়ের দোরে ভাই কেঁদে যায়’। বিটু কুমার শীল পরিবেশন করেন ‘স্বদেশ আমার! জানি না তোমার’ শীর্ষক সঙ্গীত। নজরুল রচনা থেকে পাঠ ও আবৃত্তি উপস্থাপন করেন সুমনা বিশ্বাস ও জয়ন্ত রায়। সব শেষে সবাই মিলে গায় ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’। জাতীয় সঙ্গীতের সুরে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
×