ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাবেয়া খাতুনের গল্পে ঈদের নাটক ‘মমি’

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ২৬ মে ২০১৯

রাবেয়া খাতুনের গল্পে ঈদের নাটক ‘মমি’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ রাবেয়া খাতুনের গল্প অবলম্বনে এবারের ঈদে চ্যানেল আইতে প্রচার হবে নাটক ‘মমি’। গল্পের নাট্যরূপ ও পরিচালনা পাশাপাশি এতে অভিনয়ও করেছেন আবুল হায়াত। এ নাটকে জুটিবদ্ধ হয়েছেন ইরফান সাজ্জাদ ও শবনম ফারিয়া। প্রচার হবে ঈদের দ্বিতীয় দিন রাত ৭-৪০ মিনিটে। ‘মমি’ নাটকের কাহিনীতে দেখা যাবে দফাদার সাহেবের কোন এক পূর্বপুরুষ চোর ডাকাতের ভয়ে জঙ্গলের ভেতরে একটা দালান উঠিয়েছিলেন। এখনও তিনি পুত্রকন্যা নিয়ে সপরিবারে সেখানেই বাস করেন। ছেলে নাদিম কয়েকবার বিএ ফেল করায় এবার তার বিয়ে দেয়ার বাসনায় কনে দেখে বেড়াচ্ছেন তিনি। এক কেরানির মেয়ে মোমেনা ওরফে ‘মমি’-কে তার পছন্দ হলো কারণ তিনি তার কপালে উজ্জ্বল সূর্য দেখতে পেয়েছেন আর তাই তিনি নিশ্চিত ছেলে নবার পাস করবেই। এদিকে মুখরা আইএ পাস মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়ে নাদিম নাস্তানাবুদ প্রথমত বাবা স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দেন না। দ্বিতীয়ত মুখরা নারীর টিটকারী এই বিষয় নিয়ে- সে ভীরু, কাপুরুষ, পুরুষ নয়- এইসব শুনতে হয় প্রতিনিয়ত। একদিন বাবার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে নিজের বীরত্বের প্রমাণ দেয় সে। স্ত্রী দারুণ খুশি এতে। এরপর নেমে আসে বিপর্যয়। বাড়িতে ডাকাত পড়ে। বীরত্ব দেখাতে গিয়ে নাদিম মারাত্মক আহত হয়। দফাদার সমস্ত সম্পদ হারিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হন। কিন্তু সবচেয়ে বড় সর্বনাশ হয় বাড়ির মেয়েদের। ডাকাতরা তাদের সম্ভ্রম লুটে নিয়ে যায়। এসবের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয় মমিকে। সে আসবার পর থেকেই সংসারে নানা বিপর্যয় ঘটছে। সুতরাং তাকে বাপের বাড়ি ফেরত পাঠানোর জন্যে কেরানি বাবাকে চিঠি দেয়া হয়। কেরানি বাবা কোন চিঠিরই উত্তর দেন না। দফাদার পুত্রবধূকে গৃহত্যাগের হুকুম দিলেন। মমি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এ সংসারে একজন বীরপুরুষ তো আছেই। বাবার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে তার নাকের ডগায় দিয়ে স্ত্রীকে বুকে জড়িয়ে ধরে গৃহত্যাগ করে।
×