ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মেঘনায় সংঘর্ষে লঞ্চের তলায় ফাটল, ডুবে গেল একটি জাহাজ

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ২৫ মে ২০১৯

মেঘনায় সংঘর্ষে লঞ্চের তলায় ফাটল, ডুবে গেল একটি জাহাজ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি যুবরাজ-৭ ও বালুবাহী বাল্কহেড এমভি সিয়ামের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে গেছে ও লঞ্চটির তলায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এ সময় লঞ্চটির তলা ফেটে পানি ঢুকতে শুরু করলে মাস্টার লঞ্চটি চরে উঠিয়ে দেয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় চার শতাধিক যাত্রী। লঞ্চের স্টাফ ও যাত্রীরা বলেন, এমভি যুবরাজ-৭ পটুয়াখালী থেকে ৩শ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলে রওয়ানা দেয়। মাঝপথে বরিশালের হিজলা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এসে ঝড়ের কবলে পড়ে। এসময় অন্য একটি লঞ্চের সঙ্গে এমভি যুবরাজ-৭ নামের লঞ্চটিকেও নদী তীরে বেঁধে রাখা হয়। পরে ঝড় থামলেও ভাটার কারণে লঞ্চটি চরে আটকে যায়। শনিবার সকালে লঞ্চটি অন্য লঞ্চের সহায়তায় চর থেকে নামিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করানো হয়। কিছুদূর এগিয়ে হিজলার মিয়ারচর সংলগ্ন মৌলভীরহাট এলাকায় পৌঁছালে এমভি সিয়াম নামে বালুবাহী একটি বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় লঞ্চটির। হিজলা ফাঁড়ির ওসি বেল্লাল হোসেন বলেন, পটুয়াখালী থেকে ঢাকাগামী এমভি যুবরাজ-৭ শুক্রবার রাতে মেঘনা নদীর বামনীর চর এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে চরে আটকে যায়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে অপর একটি লঞ্চ এমভি প্রিন্স অব আওলাদ-৪ চর থেকে টেনে নামায় যুবরাজ লঞ্চটিকে। শনিবার সকাল ৭টার দিকে যুবরাজ মেঘনা নদীর মিয়ার চর চ্যানেলে প্রবেশ করছিলো। ঠিক সেই মুহূর্তে এমভি সিয়াম নামের একটি ক্লিংকারবাহী বাল্কহেড চ্যানেলের মুখে এসে পড়লে সংঘর্ষ হয়। তখন বাল্কহেডটি ডুবে যায় এবং যুবরাজ-৭ এর সামনের দিক থেকে তলা ফেটে যায়। ওসি আরও বলেন, তলা ফেটে লঞ্চটির ভেতরে পানি ঢুকতে শুরু করে। এ সময় লঞ্চে থাকা চার শতাধিক যাত্রীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে চালক লঞ্চটিকে পাশের চরে উঠিয়ে দিলে যাত্রীরা বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে যাত্রীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসি। পরে এমভি প্রিন্স অব আওলাদ-৪ লঞ্চে যাত্রীদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে তুলে দেয়া হয়। তবে যে বাল্কহেডটি ডুবে গেছে তার কোনো লোকজন পাওয়া যায়নি। অবশ্য বাল্কহেডটিতে ছয়জন শ্রমিক ছিলো বলে শুনেছি। তারা সবাই তীরে উঠতে পেরেছে কিনা সে বিষয়টি আমরা এখনো নিশ্চিত নই।
×