ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ২২ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৯:২১, ২৬ মে ২০১৯

গত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ২২ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে সূচকের উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারে লেনদেন। সপ্তাহজুড়ে উভয় শেয়ারবাজারের প্রধান প্রধান সূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও বেড়েছে। বিনিয়োগ সীমা সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন প্রজ্ঞাপন জারির পর বিনিয়োগকারীদের মাঝে শেয়ার কেনার প্রবণতা বেড়েছে। যার কারণে সার্বিক সূচকও ইতিবাচক ছিল। বিশেষ করে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও তালিকাভুক্ত বীমা কোম্পানিগুলোর দর ও লেনদেন বেড়েছে বেশি। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১ হাজার ৭৯৩ কোটি ২ লাখ ১ হাজার ৫৪ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৩৩১ কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার ২২১ টাকা বা ২২.৬৮ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৬১ কোটি ৫১ লাখ ৭৯ হাজার ৮৩৩ টাকার। ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৩৫৮ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার ২১০ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ২৯২ কোটি ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৯৬৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৬৬ কোটি ৩০ লাখ ৪ হাজার ২৪৪ টাকা বেশি হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯.৮১ পয়েন্ট বা ০.৩৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৫০ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৪.৬১ পয়েন্ট বা ০.৮০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮.৩২ পয়েন্টে। তবে শরিয়াহ সূচক ৪.৬৬ পয়েন্ট বা ০.৩৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১৯২ পয়েন্টে। ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে ৩৫১টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৭১টির, কমেছে ১৪৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির শেয়ার ও ইউনিট দর। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহজুড়ে ১১২ কোটি ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬৪৫ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭৭ কোটি ৯১ লাখ ৬৪ হাজার ৪০২ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ৩৪ কোটি ১১ লাখ ৬১ হাজার ২৪৩ টাকা বা ৪৩.৭৮ শতাশ বেড়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪০ পয়েন্ট বা ০.২৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৪১ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ২১ পয়েন্ট বা ০.২২ শতাংশ ও সিএসই-৫০ সূচক ৪ পয়েন্ট বা ০.৩৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৭০৮ পয়েন্ট ও ১ হাজার ১৬৭ পয়েন্টে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ২৮ পয়েন্ট বা ০.২০ শতাংশ ও সিএসআই ৪ পয়েন্ট বা ০.৬৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩ হাজার ৯৭৫ ও ১ হাজর ৪২ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৪টির, দর কমেছে ১২২টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির। গত সপ্তাহে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ব্যাংক খাতের শেয়ার। এর আগের সপ্তাহেও এই খাতটিতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল। আগের সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন ৫৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে ব্যাংক খাত শীর্ষে ছিল। তবে গত সপ্তাহে ৭৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে এই খাত শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ণ রেখেছে। আর ৫১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে গত সপ্তাহে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। এছাড়া ৩০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বীমা খাত। লেনদেন হওয়া অন্য খাতগুলোর মধ্যে ওষুধ খাতে ২৮ কোটি ৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে ২৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকার, বিবিধ খাতে ২৫ কোটি ১৩ লাখ, বস্ত্র খাতে ২৩ কোটি ৩৯ লাখ, ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ১৮ কোটি ৯৫ লাখ, ট্যানারি খাতে ১৭ কোটি ৬৯ লাখ, খাদ্য ও বিবিধ খাতে ৮ কোটি ৮৬ লাখ, সিরামিক খাতে ৭ কোটি ৬৪ লাখ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ৭ কোটি ৬২ লাখ, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ৭ কোটি ২৩ লাখ, সিমেন্ট খাতে ২ কোটি ৯১ লাখ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১ কোটি ৬৪ লাখ, সেবা ও আবাসন খাতে ১ কোটি ১৬ লাখ, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ৮৭ লাখ, পাট খাতে ৮৬ লাখ এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৮২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
×