ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভাইরাল ফিভার আটকানোর উপায়

প্রকাশিত: ০২:৩৯, ২৫ মে ২০১৯

ভাইরাল ফিভার আটকানোর উপায়

অনলাইন ডেস্ক ॥ দ্রুত বদলাচ্ছে তাপমাত্রা। গরমের পারদ চড়ছে চরচর করে। ঘামে জবজবে শরীরটাকে শাওয়ারের তলায় না যেন দাঁড় করালেই নয়। স্কুল থেকে ঘেমেনেয়ে ফেরা বাচ্চাটাও স্নানঘরে যেতে চাইছে একটু ঠান্ডা হতেই। কিন্তু কয়েক রাত যেতে না যেতেই শরীরের দফারফা। সর্দিজ্বরের জেরে শয্যা নিতেই হবে। রোগ সামান্যই, কিন্তু কাহিল করে ছাড়বে আপনাকে এই ফ্লু। চিকিৎসকেরা বলছেন গরমের সময় শরীরে তাপমাত্রার হঠাৎ রদবদল এই সংক্রমণ ডেকে আনে। ধরা যাক তীব্র রোদ থেকে হঠাৎ এসিতে ঠোকা, অথবা রোদ থেকে ফিরেই গায়ে জ্বল ঢালা। তাপমাত্রার এই ওঠানামায় শরীর ধাতস্থ হতে পারে না। এর ফলে বুকে কফ জমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে আবার সহজেই থাবা বসায় রাইনো ভাইরাস। কাজেই তার জেরে টানা তিন-চার দিনে ভাইরাল ফিভার তো রয়েছেই। রয়েছে সংক্রমণের ভয়ও। কী ভাবে আটকাব সর্দি জ্বর : যে কোনও তাপমাত্রাতেই শরীরকে ধাতস্থ হতে দিতে হবে। এসি মেট্রো বা এসি শপিং মলে ঢুকে অন্তত পনেরো সেকেন্ড শ্বাস বন্ধ রাখুন। রোদ থেকে ফিরে কখনই সাথে সাথে গায়ে ঠান্ডা জলে চান করবেন না। শরীরকে ঘরের তাপমাত্রায় কিছু ক্ষণ ঠান্ডা করুন। পাখার হাওয়ায় গায়ের ঘাম শুকিয়ে গেলে স্নানে যান। ভাইরাল ফিভার আটকানোর উপায় : শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি থাকলে খুব সহজেই ঠান্ডা লেগে যায়। খেয়াল রাখুন, যাতে প্রতি দিনের খাবারের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। সচেতন ভাবে মুখ থেকে নিজের হাত দূরে রাখুন। কারণ, হাত থেকেই নানা জীবাণু শরীরে ঢোকে। ২০১৬ সালের একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, এক জন মানুষ সারা দিনে গড়ে ১৬ বার নিজের মুখে হাত দেন। নিজের মোবাইল ফোনটি দিনে এক বার ডিসইনফেকট্যান্ট দিয়ে অবশ্যই পরিষ্কার করুন। শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে জিঙ্কের প্রয়োজন থাকলে, তা মেটান। জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার রাখুন পাতে। এতে ভাইরাস রোধ করা যায় সহজে। প্রোবায়োটিক-যুক্ত খাবার খেলে ফ্লু রুখে দেওয়া সহজ হয়। তাই টক দই রাখুন প্রতি দিনের খাবারে। জ্বরে আক্রান্ত হলে সারা দিনে অন্তত চার লিটার জল খান। শুধু জলই খেতে হবে এমন কোনও কথা নই, স্যুপ বা ডাল জাতীয় তরলেও ভাল কাজ দেয়। নিজে কিনে কাফ সিরাপ খাবেন না ভুলেও। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×