ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ আছে’

প্রকাশিত: ১০:১০, ২৫ মে ২০১৯

 ‘বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ আছে’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বিশ্বসেরা ওয়ানডে অলরাউন্ডারের মুকুট পুনরুদ্ধার করেছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। ওয়ানডেতে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হয়েই বিশ্বকাপে খেলতে নামবেন সাকিব। এর আগে ‘বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ আছে’ তা নির্দ্বিধায় বলে দিলেন তিনি। প্রকৃত অর্থেই যে বাংলাদেশ এবার বিশ্বকাপ জেতার সামর্থ্য ও যোগ্যতা রাখে, তাও গুরুত্বের সঙ্গে বলেছেন সাকিব। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে দেয়া সাক্ষাতকারে সাকিব এমন কথা বলেন। সবাই যখন বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলতে পারে, এমন আশা দেখছেন। সেখানে সাকিবের স্বপ্ন আরও বড়। তিনি বিশ্বকাপ জেতার ভাবনায় মশগুল। সাকিব বলেন, ‘প্রকৃতই এবার আমাদের টুর্নামেন্ট (বিশ্বকাপ) জয়ের সুযোগ আছে বলে মনে করি। তবে অবশ্যই আমাদের ধারাবাহিক পারফর্ম করতে হবে। তা করতে পারলে নকআউট পর্বে উঠতে পারব এবং সেখান থেকে এগিয়ে যাওয়া যাবে। এবার আমরা ভাল করব সে বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।’ বিশ্বকাপে এবার গ্রুপপর্বে প্রতিটি দল একে-অপরের বিপক্ষে লড়াই করবে। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ চার দল খেলবে সেমিফাইনালে। ৩০ মে ইংল্যান্ড এ্যান্ড ওয়েলসে বিশ্বকাপ শুরু হবে। শেষ হবে ১৪ জুলাই। বাংলাদেশের বিশ্বকাপে খেলা শুরু হবে ২ জুন। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ রয়েছে। এরপর এক এক করে দ্বাদশতম বিশ্বকাপে ৫ জুন নিউজিল্যান্ড, ৮ জুন ইংল্যান্ড, ১১ জুন শ্রীলঙ্কা, ১৭ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০ জুন অস্ট্রেলিয়া, ২৪ জুন আফগানিস্তান, ২ জুলাই ভারত আর ৫ জুলাই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। ৯ ম্যাচে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। তাহলেই সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। সেমিফাইনালে খেললে ফাইনালে ওঠার সুযোগও থাকছে। ফাইনালে উঠলে চ্যাম্পিয়ন হওয়াও যেতে পারে। গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। এর আগের ২০১১ সালের বিশ্বকাপে রানরেটে গ্রুপ পর্ব অতিক্রম করা যায়নি। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে আবার দ্বিতীয় পর্বে ‘সুপার এইটে’ খেলে বাংলাদেশ। এবার সেই হিসেবে সেমিফাইনাল খেলার কথা। সেমিফাইনাল খেললে ফাইনাল উঠে শিরোপাও জেতা যেতে পারে। ইংল্যান্ড এ্যান্ড ওয়েলসে খেলা। তাই বাংলাদেশের ভাল সুযোগও থাকছে। দলটি ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডের মাটিতে সেমিফাইনালে খেলেছে। দিন দিন বাংলাদেশের উন্নতির গ্রাফ বেড়েই চলেছে। তাহলে এবার তো ফাইনালে খেলারই কথা। খেলতে পারলেই শিরোপা নিজেদের করে নেয়ার ভাল সুযোগই থাকছে। অবশ্য সাকিব ভাল করেই জানেন বিশ্বকাপ জেতা সহজ নয়। অনেক কঠিন পথ। এবার তো আরও কঠিন। শক্তিশালী সব প্রতিপক্ষকে হারাতে থেকে সেমিফাইনালে উঠতে হবে। এরপর ফাইনাল জেতা ও বিশ্বকাপ জয়ের আশা তৈরি হবে। এ পথ কঠিন। তবে অসম্ভব নয়। এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে হলে দলীয় নৈপুণ্য জরুরী। সাকিব তা মনেও করিয়ে দিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ শিরোপা জিতবে অবশ্যই সে আশা করি। তবে এ জন্য একসঙ্গে অনেক কিছু কাজ করতে হবে। আইপিএলে আমি বেশি খেলিনি, বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে মনোযোগ দিয়েছি। অনুশীলনে নিজের পুরোটাই নিংড়ে দিয়েছি।’ আফগানিস্তানের রশীদ খানকে পেছনে ফেলে কয়েকদিন আগেই ওয়ানডে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হয়েছেন সাকিব। টুর্নামেন্টে ভাল করতে যে অভিজ্ঞতাও জরুরী, সেটিও জানেন সাকিব। আর বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছেন। সাকিব তাই বলেছেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। দলে কয়েকজন খেলোয়াড় আছে যারা তিন-চারটি বিশ্বকাপে খেলেছে। এটা ভাল ব্যাপার কারণ কি করা উচিত তা বুঝতে পারব। আমি আত্মবিশ্বাসী। নিজেদের দিনে যে কোন দল যে কাউকে হারাতে পারে।’ বিশ্বকাপ জেতার ফেবারিট তালিকায় এবার ভারত ও ইংল্যান্ড দল আছে। কিন্তু ফেবারিট তকমা নিয়ে কী আর বিশ্বকাপ জেতা যায়। মাঠে খেলতেও হয়। সাকিব তাই মনে করিয়ে দিলেন, ‘ইংল্যান্ড ও ভারত অবশ্যই ফেবারিট। তবে এ তকমা তাদের শিরোপা জেতাতে পারবে না। বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট জিততে আপনাকে কঠোর হয়ে খেলতে হবে। অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজও ঠিক সময়মতো ভাল করছে। সত্যি বলতে, প্রতিটি দলই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। নির্দিষ্ট দিনে কে ভাল করবে তার ওপর সব নির্ভর করছে।’
×