ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঘোড়ার গাড়িতেই জীবিকা

প্রকাশিত: ০৯:০৪, ২৫ মে ২০১৯

 ঘোড়ার গাড়িতেই জীবিকা

এক সময় যাতায়াতের একমাত্র বাহন ঘোড়ার গাড়ির ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন যশোরের মনিরামপুরের ছয় জন। কোন এক সময় ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে রাজা-বাদশাহ কিংবা জমিদার, গাতিদার, বনেদি পরিবারের লোকজন যাতায়াত করতেন। সে সময় রাস্তাঘাট উন্নত ছিল না। এখন সময় পাল্টিয়েছে। রাস্তা-ঘাটসহ মানুষের জীবনে আধুনিকতার ছোঁয়া। এখন ঘোড়ার গাড়ি হয়ে উঠেছে জীবন-জীবিকার বাহন। ঘোড়ার গাড়িতেই জীবন-জীবিকা চলছে মাসুম বিল্লাহ, ওলিয়ার হোসেন, শাহাজাহান আলী, ফজর আলী, রেজাউল ইসলাম ও আমির আলীর। মৌসুমী ফসল ঘরে তুলতে, কাঠসহ নানা জিনিস বহনে ঘোড়ার গাড়ির কদর থাকায় ওরা এখন সবার পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছে। শুধু ফসল কিংবা দ্রব্যাদি বহন নয়, পিকনিক মৌসুমেও তাদের কদর দেখা হয়। প্রতিবছর ঘোড়ার গাড়ি সাজিয়ে দলবেঁধে পিকিনিকে যায় আনন্দপ্রিয় মানুষ। ফজর আলী বলেন, বছর চারেক আগে বন্যার পানিতে এলাকার রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। ভ্যান বা আলমসাধু, নসিমন-করিমন রাস্তায় চালানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। তারাও বেকার হয়ে পড়েন। সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই বাধ্য হয়ে ঘোড়ার গাড়ি চালানো শুরু করেন। মাসুম বলেন, মূলত এ কারণেই ঘোড়ার গাড়িতে ঝুঁকে পড়েন। তারা সাধারণত একসঙ্গেই কাজ করেন। প্রতিদিন এভাবে ৫শ’ থেকে ৮শ’ টাকা রোজগার করেন তারা। যেখানে ভ্যানগাড়ি বা অন্য যানবাহন যেতে পারে না। সেখানে অনায়াসে ঘোড়ার গাড়ি যেতে পারে বলে এলাকায় বেশ কদর রয়েছে। যা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। -সাজেদ রহমান, যশোর থেকে
×