ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝিকরগাছায় ভিজিডির চালবঞ্চিত ৫০ কার্ডধারী

প্রকাশিত: ০৮:৪৫, ২৫ মে ২০১৯

 ঝিকরগাছায় ভিজিডির  চালবঞ্চিত ৫০  কার্ডধারী

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ঝিকরগাছায় তালিকায় নাম থাকলেও ৫০ জন নারীকে ভিজিডির কার্ডের চাল দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। হাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদে ২০১৯-২০ সালের ভিজিডি কর্মসূচীর জন্য উপকারভোগী ১৬৩ জন মহিলা তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ওই তালিকার প্রত্যেক কার্ডধারী প্রতি প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল পাওয়ার কথা। কিন্তু ৫০ জন ভিজিডির চাল পাচ্ছে না। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউপি ভিজিডি মহিলা বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও হাজিরবাগ ইউপি সচিব আবু সাঈদ বলেন, তালিকার বিষয়ে আমি সঠিক কিছু বলতে পারব না। এই বিষয়টি ভিজিডি’র ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে তালিকা তৈরি হয়ে আমার কাছে আসে। হয়তো তালিকাতে ১৫ জনের বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। সেটার বিষয়ে রেজুলেশন তৈরি করে জমা দেয়া হয়েছে। ইউপি ভিজিডি মহিলা বাছাই কমিটির সভাপতি ও হাজিরবাগ ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু বলেন, আমাদের তালিকা তৈরি করার সময় ১২ জনের মতো সরকারী অনুদানভোগীর নাম ওই তালিকাতে চলে এসেছে। যেটা মেম্বরদের কোটা অনুযায়ী। যার জন্য আমি রেজুলেশন তৈরি করে জমা দিয়েছি। তাদের স্থানে নতুন মানুষের চাল দিয়েছি। উপজেলা ভিজিডি কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন আখতার সুলতানা বলেন, গত ২০১৭-১৮ ভিজিডি চক্রে হাজিরবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কয়েকজনের চাল বিতরণ করা বন্ধ করে রেখেছিল। পরবর্তীতে অফিসের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সেটা মীমাংসা করা হয়। বর্তমান ২০১৯-২০ ভিজিডি চক্রে হাজিরবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে চাল বিতরণ বন্ধ করেছেন। এছাড়া তিনি ১৩ জনের নাম পরিবর্তনের জন্য ইউনিয়ন কমিটি থেকে যে রেজুলেশন পাঠিয়েছেন তাতে কোন যৌক্তিক কারণ না থাকায় উপজেলা কমিটির সভা করা হয়নি। উপজেলা কমিটির অনুমোদন ব্যতীত মূল তালিকার পরিবর্তন আনা যাবে না। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে পূর্বের তালিকা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি হয়তো আমার কথা না মেনে তার ইচ্ছাকে বড় করে দেখেছেন। ইউএনও স্যারের নিকট একজন উপকারভোগী অভিযোগ করেছেন। সেটা আমার কাছে তদন্তের জন্য দেয়া হয়েছে। আমি অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে তদন্ত পূর্বক ইউএনও স্যারকে প্রতিবেদন দেব। উপজেলা ভিজিডি কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ওপর তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দিনাজপুরে হোটেলে ১০ বস্তা চাল স্টাফ রিপোর্টার দিনাজপুর থেকে জানান, নবাবগঞ্জে একটি খাবার হোটেল থেকে গরিব ও দুস্থদের মাঝে বিতরণের ১০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর বাজারের রাজু দই মিষ্টি ভান্ডার ও হোটেল থেকে এই চালগুলো উদ্ধার করা হয়। এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি। নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মশিউর রহমান জানান, চালের বস্তাগুলো দাউদপুর ইউনিয়নের ২, ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য জামেনা খাতুন অসৎ উদ্দেশে সেখানে মজুদ করে রেখেছিল। সে তার স্বামী উত্তর মুরাদপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার টিপসই দিয়ে উপকারভোগী উত্তর মুরাদপুর গ্রামের আনোয়ারের স্ত্রী হাবিবা বেগম ও হালুয়াঘাট গ্রামের শনিরুল ইসলামের স্ত্রী লাভলী বেগমের ৫ মাসের ১০ বস্তা চাল উত্তোলন করে নিয়েছিল। বৃহস্পতিবার ওই চাল ইউনিয়ন পরিষদে বিতরণ করা হয়েছিল। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জামেনা খাতুন জানান, তিনি অসৎ উদ্দেশে চালগুলো রাখেননি। উপকারভোগী ২ জন তাকে তাদের চালগুলো উত্তোলন করতে বলেছিল বলে উত্তোলন করে ওই হোটেলে রাখা হয়েছিল। উপকারভোগীরা সুবিধামতো সেখান থেকে নিয়ে যাবে এই মনে করে। এ বিষয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ইউএনও মশিউর রহমান জানান।
×