ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁপাইয়ে ইটভাঁটির ধোঁয়ায় আমের ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ২৫ মে ২০১৯

 চাঁপাইয়ে ইটভাঁটির ধোঁয়ায় আমের ব্যাপক ক্ষতি

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় প্রচন্ড দাবদাহর কারণে এলাকার আমবাগানগুলোতে ফ্রুটবোরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। দাবদাহের জন্য পোকার আক্রমণ অন্যদিকে কিছু কিছু এলাকায় ইটভাঁটির বিষাক্ত ধোঁয়ায় পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন আমবাগানের আম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম আমিনুজ্জামান জানান, প্রচন্ড গরম আবহাওয়া দেখা দিলে আমবাগানে ফ্রুটবোরার আক্রমণ শুরু হয়। আবহাওয়া পরিবর্তন না হলে এ ফ্রুটবোরার আক্রমণের প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। বৃষ্টি পরিমাণমতো হলেই ফ্রুটবোরার আক্রমণ বন্ধ হয়ে যাবে। এ পোকার আক্রমণে আমের নিচ ভাগ ফুঁটো করে দিচ্ছে এবং সেসব আম পরবর্তীতে পচন ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে শিবগঞ্জে যেসব ইটভাঁটি রয়েছে সেগুলো সরকারী বিধিবিধান মেনে না চলার কারণেই আম ও অন্যান্য ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন। আমবাগান মালিকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ইটভাঁটির পার্শ্ববর্তী এলাকার আমবাগানগুলো সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে আমের নিচের অংশ সরু হয়ে গেছে এবং আম আকারে ছোট হয়েছে। এছাড়া আমের নিচ অংশে পচন ধরেছে। শুধু তাই নয় আমের গায়ে কালো দাগ হয়ে যাচ্ছে। যেগুলো গাছে রয়েছে সেগুলোর স্বাদ তিতো হয়ে যাওয়ায় খাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে আম বাগান মালিকরা পরিবেশ অধিদফতর, স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের কাছে অভিযোগ করেও তেমন কোন ফল পাচ্ছে না। এতে করে ইটভাঁটি সংলগ্ন আমবাগানের মালিকরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয় গত ৩ বছর থেকে জিকজ্যাক চিমনির মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে ইট পোড়ানোর ব্যবস্থা করলেও সঠিক নিয়ম না মানার কারণে ওইসব জিগজ্যাক পদ্ধতির ভাঁটির আশপাশের এলাকায় আম এবং অন্যান্য ফসলের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন চলতি বছর শিবগঞ্জের বিভিন্ন ইটভঁটিতে নানা রকম অনিয়মের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত ভাঁটি মালিকদের জরিমানা ও বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ করেছেন। এছাড়াও ভাটা মালিকদের সরকারী নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ প্রদান করেছেন। উপজেলার এসকল আম চাষী ও ব্যবসায়ীদের জোরালো দাবি ইটভাঁটিগুলোতে যেন আরও নজরদারি বাড়ানো হয়।
×