ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রযুক্তি ও বাণিজ্য যুদ্ধে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা

প্রকাশিত: ০৮:১৩, ২৫ মে ২০১৯

 যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রযুক্তি ও বাণিজ্য যুদ্ধে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য ও প্রযুক্তি যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর প্রভাব পড়েছে স্টক মার্কেটে। বৈশ্বিক শেয়ার মার্কেট সূচকে ধস নেমেছে। এর ফলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এর ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ঝুঁকি বাড়ছে বলে সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশ দুটির সরকার প্রধানদের অব্যাহত বাগযুদ্ধে বৃহস্পতিবার এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে। মার্কিন অর্থনীতির খারাপ অবস্থা এবং ব্রিটেনের রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্যই মূলত শেয়ারবাজারের এ অবস্থা। শুক্রবারও এশিয়া প্যাসিফিকে বিক্রি অব্যাহত ছিল। জাপানের বাইরে এমএসসিআইর সূচক শূন্য দশমিক দুই শতাংশ নেমে গেছে, যা চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সপ্তাহের তিনদিন পরপর সূচকে পরিবর্তন হলো। টোকিওতে নিক্কেইর শেয়ার শূন্য দশমিক সাত শতাংশ নেমেছে। চীনের বিখ্যাত টেলিকম কোম্পানি হুয়াওয়ের সঙ্গে জাপানী বহুজাতিক কোম্পানি প্যানাসনিকের সম্পর্কচ্ছেদের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বৃহস্পতিবার হুয়াওয়ের প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ করেন। কারণ হুয়াওয়ে এর আগে বলেছিল চীনা কমিউনিস্ট সরকারের সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। বাগযুদ্ধের অংশ হিসেবে চীন দাবি করেছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন পথ পরিবর্তন করেছে। লন্ডনে দেশটির চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স বলেন, ব্রিটেনের ফাইভজি নেটওয়ার্কের কাজে যদি হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে বিনিয়োগে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে যুক্তরাজ্য। চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপত্র গাও ফেং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি বাণিজ্য আলোচনা এগিয়ে নিতে চায়, তবে তাদের আন্তরিকতা থাকতে হবে এবং তাদের ভুল পদক্ষেপ সংশোধন করতে হবে। আমরা প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব এবং যথাযথ উদ্যোগের প্রস্তুতি নেব। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের বিষয়টি চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার মধ্যেই সমাধান হতে পারে। এ সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েকে ‘খুবই বিপজ্জনক’ বলে আখ্যায়িত করেন। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, তারা যেটা করেছে, সেটা সামরিক দৃষ্টিকোন এবং নিরাপত্তার দিক থেকে দেখুন, এটা খুবই বিপজ্জনক। আমরা যদি একটি চুক্তিতে উপনীত হই, আমি মনে করি হুয়াওয়ে কোন না কোনভাবে চুক্তির সম্ভাব্য অংশ হতে পারে। আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ এক ব্লগে তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। আইএমএফ জানায়, চীন-মার্কিন বাণিজ্য উত্তেজনায় দুই দেশের বহু উৎপাদনকারী এবং ভোক্তা নেতিবাচকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য কমেছে। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবধান কার্যত অপরিবর্তিত রয়েছে। -গার্ডিয়ান
×