ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিষিদ্ধ সিএফএস গ্যাসের উৎস চীনে

প্রকাশিত: ১০:০১, ২৪ মে ২০১৯

 নিষিদ্ধ সিএফএস গ্যাসের উৎস  চীনে

গবেষকরা বলেছেন যে, তারা বিপজ্জনক, ওজোন-ধ্বংসাত্মক বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস সম্প্রতি রহস্যজনকভাবে বৃদ্ধির অধিকাংশ উৎসগুলো নিখুঁতভাবে নির্ণয় করেছেন। খবর বিবিসি অনলাইনের। সিএফসি-ইলেভেন মূলত ব্যবহার করা হয় ঘরবাড়ির অন্তরণ সামগ্রী হিসেবে। এর বৈশ্বিক উৎপাদন ২০১০ সালে বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু গত ৬ বছর ধরে এর হ্রাস হার অত্যন্ত নেমে গেছে বলে বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন। এ নতুন সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এর বেশির ভাগ কারণ হচ্ছে চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে নতুন গ্যাস উৎপাদন। ট্রাস্টিক্লোরোফ্লুরেমিথাইন নামেও পরিচিত সিএফসি-ইলেভেন ও ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (সিএফসি) রাসায়নিক গ্যাস প্রাথমিকভাবে উৎপাদন করা হয় ১৯৩০-এর দশকে হিমায়িতকরণের কাজে ব্যবহারের জন্য। তারপর বিজ্ঞানীদের অনেকগুলো দশক লেগেছে বিষয়টা আবিষ্কার করতে যে, সিএফসি যখন বায়ুম-লে মিশে যায় তখন এগুলো ক্লোরিন এ্যাটম বিমুক্ত করে এবং দ্রুত ওজোনস্তর ধ্বংস করে যা অতি বেগুনী রশ্মির আলো থেকে আমাদের রক্ষা করে। এ্যান্টার্কটিকায় ১৯৪০-এর দশকে ওজোনস্তরে একটা গেপিং হোল আবিষ্কৃত হয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ১৯৮৭ সালের মন্ট্রিয়ল প্রোটোকলের সঙ্গে একমত পোষণ করে। ওই প্রোটোকলে বেশিরভাগ ক্ষতিকর রাসায়নিক গ্যাস নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রস্তাব করা হয় যে, উত্তর গোলার্ধে আবিষ্কৃত গর্তটি ২০৩০-এর দশকের মধ্যে এবং এ্যান্টার্কটিকায় ২০৬০-এর দশকের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে স্থায়ী অবস্থান নিতে পারে। সিএফসি-ইলেভেন আশানুরূপভাবে হ্রাস পাচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে। কিন্তু ২০১৮ সালে এক গবেষক দল বায়ুম-ল পর্যবেক্ষণ করে দেখেন যে, তার হ্রাস হার ২০১২-এর পর প্রায় ৫০ শতাংশ শ্লথ হয়ে পড়েছে। তারা কারণ দেখিয়েছেন, তারা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন নতুন গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে এবং এগুলো পূর্ব এশিয়া থেকে আসছে। সমীক্ষার লেখকরা যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, নতুন উৎপাদনের উৎসগুলো বন্ধ করা না গেলে এক দশকের মধ্যে ওজোন স্তরের দূষণমুক্তি বিলম্বিত হবে। ২০১৮ সালে চীনে এনভায়রনমেন্টাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির পরবর্তী নিরূপণ কাজ দৃশ্যত ইঙ্গিত দেয় যে এ দেশটি সত্যিকারভাবে এ উৎসের মূলে রয়েছে। তাদের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে যে তাদের যোগাযোগে আসা প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদিত বেশিরভাগ পলিউরেথাইন ইনসুলেশনে অবৈধ রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
×