স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ পদ্মা সেতুর ১৩তম স্প্যান বসছে আজ শুক্রবার। ৩বি নামের স্প্যানটি মাওয়া প্রান্তে ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারে বসানো হবে। ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে মাওয়া কনস্ট্র্রাকশন ইয়ার্ডের বাইরে। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন বহন করে নিয়ে যাবে স্প্যানটিকে। পদ্মাসেতুর দায়িত্বশীল এক প্রকৌশলী জানান, শুক্রবার সকাল ৮টায় স্প্যানটি মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনে করে রওয়ানা হবে। এরপর ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের সামনে পৌঁছে এর ওপর স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে এদিনেই স্প্যানটি বসানো হবে। আর যদি আনুষঙ্গিক কাজ করতে দেরি হয় তাহলে শনিবার সকালে স্প্যানটি বসানো হবে।
এর আগে ২০ মে বসানোর কথা থাকলেও পদ্মায় নাব্য সঙ্কট আর লিফটিং ক্রেনের স্বল্পতার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। স্প্যানবহনকারী ক্রেনের রুটে পদ্মায় নাব্যতা-সঙ্কট রয়েছে। এছাড়া স্প্যানটি ভাসমান ক্রেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য লিফটিং ক্রেন প্রয়োজন। লিফটিং ক্রেন ২৬ নম্বর পিলারের পাইলিংয়ের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। পাইলিং কাজ শেষ হলে ১৩তম স্প্যান বসানো হবে। এই স্প্যানটি বসানো হলে সেতুর ১৯৫০ মিটার দৃশ্যমান হবে। জাজিরা প্রান্তে সেতুর ১৩৫০ মিটার ও মাওয়া প্রান্তের একটি স্থায়ী ও একটি অস্থায়ী স্প্যান মিলে মোট ৩০০ মিটার এবং সেতুর মাঝ বরাবর ৫-এফ স্প্যান অস্থায়ীভাবে বসানো শেষ হওয়ায় সেতুর মোট ১৮০০ মিটার আগেই দৃশ্যমান আছে। তবে ¯প্যানগুলো ভিন্ন ভিন্ন মডিউলে বসানোর কারণে দৃশ্যমান অংশগুলো এক সারিতে নয় বরং বিচ্ছিন্নভাবে থাকবে।
এছাড়া সেতুতে রোডওয়ে স্লাব ও রেলওয়ে স্লাব বসানোর কাজ চলছে জোরেশোরে। এরই মধ্যে সেতুতে মোট ৩১২ রেলওয়ে স্লাব ও ১৬ রোডওয়ে স্লাব বসানো সম্পন্ন হয়েছে। আর বসানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে ২০০০টি রেলওয়ে স্লাব ও ৮০০টি রোডওয়ে স্লাব।
জানা যায়, পদ্মা সেতুর অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ, আর নদীশাসন কাজের অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে পদ্মাসেতু প্রকল্পের অগ্রগতি এখন ৬৭ শতাংশ। সেতুর মূল ২৬২ পাইলের মধ্যে ২৩৬ পাইল ড্রাইভিং শেষ হয়েছে। বাকি থাকা ২৬ পাইল জুলাই মাসের মধ্যে শেষ হবার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর দায়িত্বশীল এক প্রকৌশলী
এছাড়া মূল সেতুর ৪২ পিলারের মধ্যে ২৫ পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে আরও ছয়টি পিলারের কাজ শেষ হবে। আর বাকি ১১টি পিলারের কাজ চলমান। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ২৩ স্প্যান ছিল। এর মধ্যে ১২ স্প্যান পিলারের ওপর বসানো হয়েছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: