ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়ায় ঈদের কেনাকাটায় ছুটছে মানুষ

প্রকাশিত: ০৮:৫৮, ২৪ মে ২০১৯

 বগুড়ায় ঈদের কেনাকাটায়  ছুটছে মানুষ

সমুদ্র হক, বগুড়া অফিস ॥ রিক্সার ক্রিংক্রিং, মোটরবাইক ও কারের ভে’পু, ট্রাফিক কনস্টেবলের বংশী বাদনের ফুড়ুত ফুড়ুত শব্দগুলো ঈদের কেনাকাটার শোরগোলকে চাপা দিতে পারেনি। নগরীতে বেড়েছে যানজট। এখনও সহনীয়। তবে দিনকয়েক পরে ডেডলক হতে পারে। তখন হাঁটতেই হবে। ঈদের কেনাকাটায় ছুটছে সাধারণ মানুষ। নিউমার্কেট, আধুনিক মার্কেট, শোর রুম, শপিং মলে ভিড়। ‘কৌশলে’ বাড়ানো হয়েছে পণ্যের দাম। বলা হচ্ছে ডিসকাউন্ট। ধরন আলাদা। সুন্দর ফাঁদ। বাড়তি দাম স্টিকারে লিখে তার ওপর ডিসকাউন্ট। বলা হয় ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড়। একজন ক্রেতা বললেন ‘শোরুমে প্রবেশের পর তাপানুকূলের সঙ্গে গলাকাটা দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে। উপায় নেই ঈদ বলে কথা।’ বগুড়ার মানুষ যারা ঢাকায় থাকেন তারা রমজানের আগে ঈদকে উপলক্ষ করে সাশ্রয়ী দরে কেনাকাটা সেরেছেন। মধ্যবিত্ত শ্রেণী ঈদের আগে আকাশচুম্বি দাম হওয়ার শঙ্কায় আগেভাগেই কেনাকাটা সারছেন। কেউ রাখঢাক ছাপিয়ে যাচ্ছেন হকার্স মার্কেটে। হালে সেই মার্কেটে উন্নত পোশাক মেলে। তরুণ তরুণীরা হিন্দী ছবি ও সিরিয়ালের পোশাক ফোবিয়ায় আক্রান্ত। ঈদে ছেলেদের আকর্ষণ পাঞ্জাবি। পাঞ্জাবিতে নান্দনিক নক্সার গুরুত্ব পেয়েছে বেশি। ফিট, স্লিম ও ক্যাজুয়াল তিন ধরনের পাঞ্জাবি চলছে। সমুখভাগে কারুকাজ সেমি লং পাঞ্জাবি পছন্দের শীর্ষে। মেয়েদের পোশাকে ভারতের লক্ষেèৗ থেকে এক ধরনের সেলাইবিহীন থ্রি-পিস এসেছে। দর্জির (টেইলার্স) কাছে গিয়ে শুধু সাইজমতো সেলাই করা। এই আনস্টিচড থ্রি-পিস বেশি চলছে। রেডিমেডের মধ্যে নীল-সবুজ মেজেন্টা রঙের সঙ্গে লাল হলুদ কমলা মেরুন গেরুয়া বাদামী বিভিন্ন শেড ব্যবহার হয়েছে এমন পোশাক পছন্দ। দেশীয় ও সুতি কাপড়ের কদর বেশি। ক্রেতাদের কথা গরমের সময়ের ঈদে সুতি কাপড় স্বাচ্ছন্দ্যে পরা যায়। অনেক পোশাক ভারত থেকেও এসেছে। পদ্মাবতী ড্রেসটি খুব চলছে। ফিল্মে এই ড্রেস পরেছিলেন নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোন। এই পোশাকের দাম ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে। নতুনের সঙ্গে পুরানোগুলোরও মিশ্রণ ঘটেছে। মেয়েদের থ্রিপিসের মধ্যে সারারা, লাছা, দিল্লী বুটিক, টপস, রিভা ওম্পেজ গঙ্গা ব্র্যান্ড চলছে। দাম দুই হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা। শিশুদের পোশাকের মধ্যে আছে টপস, টালিক্রম লেইনি কুর্তি নেক্সাস খোলকটার গাউন ইত্যাদি। দাম ৩ হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা। শাড়ি কর্নারে অনেক শাড়ি এসেছে। কাঞ্জিবরণ, কাতান, মনপুরা, ময়ূরকণ্ঠি, বালুচরি, জামদানি, সামারনেট, সিল্ক জর্জেট, রাজশাহী সিল্ক, হাতের কারুকাজ করা কত যে শাড়ি! দাম ৯৫০ টাকা থেকে ওপরে ৬০ হাজার টাকা। টাঙ্গাইল শাড়ি, পাবনার তাঁতের শাড়ি ঢাকাই জামদানির কদর তো আছেই। ক্রেতাদের মুখের ভাষা- আগেভাগে কিনতে হবে। ঈদের আগে মার্কেট থাকবে উত্তপ্ত।
×