ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুতনির্ভর যানবাহন ব্যবহারে উৎসাহ দেবে সরকার

প্রকাশিত: ০৮:৫১, ২৪ মে ২০১৯

 বিদ্যুতনির্ভর যানবাহন ব্যবহারে  উৎসাহ দেবে সরকার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ইলেকট্রিক্যাল ভেহিকল বা বিদ্যুতনির্ভর যানবাহন ব্যবহারে উৎসাহ দেবে সরকার। বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতার চাইতে চাহিদা কম হওয়ার কারণে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশের স্থাপিত বিদ্যুতের ক্ষমতা ১৮ হাজার মেগাওয়াট। এর বিপরীতে সর্বোচ্চ চাহিদার সময় ব্যবহৃত হচ্ছে ১২ হাজার মেগাওয়াটের কিছু বেশি। অব্যবহৃত ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের মধ্যে ৪ হাজার মেগাওয়াট যানবাহনে ব্যবহার করতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে বিদ্যুত বিভাগ। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘দি ক্লিন এ্যান্ড ইফিসেয়েন্সি ভেহিকল’ প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হবে বলে বিদ্যুত বিভাগের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তা জানান। বিদ্যুত সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ প্রসঙ্গে বলেন, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ইলেকট্রিক্যাল যানবাহনে বিদ্যুত সরবরাহ করতে আমরা প্রস্তুত। তিনি বলেন, আমাদের এখন পর্যাপ্ত বিদ্যুত রয়েছে। প্রতিবছর বিদ্যুত উৎপাদন ১০ থেকে ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে সারাদেশে ইজিবাইক ৪ থেকে ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুত ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যুতে গাড়ি চালানো গেলে খরচ অনেক কমে যাবে। গাড়িতে সিএনজির চাইতে বিদ্যুত ব্যবহার করতে ৫০ শতাংশ খরচ কমে আসবে। একইভাবে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেলের চাইতে অনেক কম খরচ হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, যানবাহনে বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি ব্যবহারের ওপর ইউএস এনার্জি ডিভিশন এবং ইদাহো ন্যাশনাল ল্যাব, ইউএসএ এর যৌথ এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, অকটেন বা পেট্রোলচালিত প্রাইভেটকারে কিলোমিটার প্রতি খরচ হয় ৮ টাকা, ডিজেলে খরচ হয় ৬ টাকা। সিএনজিতে খরচ হয় তিন টাকা ৩০ পয়সা এবং বিদ্যুতে খরচ হয় দেড় টাকা। এই কর্মকর্তা জানান, এই হিসাব করলে আমরা যদি যানবাহনে জ্বালানি তেল বা সিএনজির পরিবর্তে বিদ্যুত দিয়ে যানবাহন চালানো গেলে খরচ অর্ধেকের বেশি কমে যাবে।
×