ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিরাপদ ঈদযাত্রায় মন্ত্রণালয়ের ৩২ উদ্যোগ

মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধে কঠোর অবস্থান

প্রকাশিত: ১০:২৪, ২৩ মে ২০১৯

 মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধে কঠোর অবস্থান

রাজন ভট্টাচার্য ॥ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ২২টি মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে গত কয়েকবছর ধরেই। কিন্তু এসব শুধু কাগজকলমে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনাও রয়েছে। তারপরও কোন মহাসড়ক নিষিদ্ধ যানবাহন মুক্ত নয়। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলো মহাসড়কে অবাধে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল। পরিসংখ্যানও বলছে, মহাসড়কে যেসব গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার সেগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই নিষিদ্ধ ঘোষিত ও স্বল্প গতির যান। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে দেশের সকল মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে সরকার। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞসহ সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা বলছেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া এর বাস্তবায়ন খুবই কঠিন। তাই সবকিছুর উর্ধে উঠে জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে নির্দেশ বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন তারা। এতে সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়বে। তেমনি জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কম হবে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা মিলিয়ে মোট সড়কের পরিমাণ ২১ হাজার ৩০২ কিলোমিটার। এরমধ্যে ৯৬টি জাতীয় মহাসড়কের দৈর্ঘ্য তিন হাজার ৮১২ কিলোমিটার। ১২৬টি আঞ্চলিক সড়কের দৈর্ঘ্য চার হাজার ২৪৬ কিলোমিটার। ৬৫৪টি জেলা সড়কের দৈর্ঘ্য ১৩ হাজার ২৪২ কিলোমিটার। এরমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জাতীয় মহাসড়ক। সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে বেশিরভাগ সড়ক সংস্কার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাদবাকি কাজ শেষ হওয়ার কথাও জানান সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এবারে নিরাপদ ঈদ যাত্রায় সড়ক মহাসড়কগুলোতে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচলে কঠোর হওয়ার পাশাপাশি জনস্বার্থে অন্তত ৩২টি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। কর্মকর্তারা মনে করেন, এসব পদক্ষেপ শতভাগ বাস্তবায়ন করা গেলে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর সড়কে জনদুর্ভোগ কম হবে। এসব বিবেচনায় ঈদের অন্তত এক সপ্তাহ আগে সকল মহাসড়কের সংস্কার কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের অজুহাতে কোন এলাকায় সড়ক সংস্কার না হলে সংশ্লিষ্ট সড়ক বিভাগের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঈদ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় সব রকমের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, অন্য সময়ের তুলনায় এবারের ঈদ যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। তিনি বলেন, সড়ক সংস্কারের জন্য আমাদের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। আশাকরি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব ধরনের সংস্কার কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটে এবার জনদুর্ভোগ কম হওয়ার কথাও জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে জানিয়ে কাদের বলেন, ঈদ সামনে রেখে এবারকার প্রস্তুতি অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে ভাল। আমাদের সবচেয়ে বড় সঙ্কটের জায়গা দুটি রুট। একটা হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর-টাঙ্গাইল উত্তরাঞ্চলের। এখানে সঙ্কটটা হয়, এখানে যানজট হয়। মানুষের দুর্ভোগ হয়। ঘরমুখী যাত্রীরা সীমাহীন কষ্টের মধ্যে বাড়ি যান। তিনি বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রামেও সমস্যা হয় মূলত তিনটি ব্রিজের কারণে। আমার অনুপস্থিতিতে কাঁচপুর ব্রিজের শুভ উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী করেছেন। আগামী ২৫ মে মেঘনা-গোমতি সেতু উদ্বোধন হবে। এরপর ঢাকা-চট্টগ্রামে ঈদের সময় যে দুর্ভোগ ভোগান্তি এইগুলো কমে যাবে। সম্পূর্ণ সহনীয় মাত্রায় থাকবে- এটা আমরা বলতে পারি। আমাদের গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইল অংশে.. এখানেও ভোগান্তি কম হবে। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ রকমের চেষ্টা করব এই রুটে দুর্ভোগ কমিয়ে আনার। স্বাস্থ্যগত কারণে নিজে প্রত্যক্ষভাবে সক্রিয় থাকতে না পারলেও কাজের অগ্রগতি থেমে থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে চলতি মাসের নয় তারিখে একটি সভা করে মন্ত্রণালয়। ওই সভায় ৩২টি পদক্ষেপ নেয়া হয়। পদক্ষেপগুলোর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে সড়ক- মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত। প্রতি বছরই সড়ক মেরামত ইস্যুতে নানা আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তাই প্রথমেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সড়ক মেরামতের বিষয়টি আলোচনায় আসে। এছাড়া জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলো যানজট মুক্ত রাখা, টার্মিনালগুলোয় শৃঙ্খলা রক্ষায় ভিজিলেন্স টিম গঠন, দুর্ঘটনার পর সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণ, সড়কে অস্থায়ী বা ভাসমান বাজার অপসারণ, মহাসড়কের অপব্যবহার বন্ধ করা, বিকল্প সড়ক ব্যবহার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বন্ধ করা, নসিমন-করিমন, ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার বন্ধ করা, এক্সেল লোড কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, টোল প্লাজার সব বুথ খোলা রাখা, সিএনজি স্টেশন চালু রাখা, ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার বন্ধ রাখা, জরুরী সার্ভিসগুলো প্রস্তুত রাখা, বিআরটিসির স্পেশাল সার্ভিস চালু, বিভিন্ন ঘাটে ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি, বিনা প্রয়োজনে মহাসড়কে গাড়ি না থামানো, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাস, ট্রাক, লরি ও কাভার্ডভ্যান বন্ধ রাখা, ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন দিনে অর্থাৎ রেশনিং পদ্ধতিতে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দ্রুত অপসারণের জন্য রেকার ও ক্রেন প্রস্তুত রাখা, বড় ধরনের দুর্ঘটনা মোকাবেলায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করা, অনভিজ্ঞ চালক দিয়ে মহাসড়কে গাড়ি না চালানো, টয়লেটগুলো ব্যবহার উপযোগী রাখা, কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম চালু করা, যানজট নিরসনে আব্দুল্লাহপুর-গাজীপুর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানের গ্যাপ যৌক্তিকভাবে কমিয়ে আনা, আব্দুল্লাহপুর-জয়দেবপুর চৌরাস্তার দুই পাশে যানবাহন চলাচলের জন্য দু’টি লেন করে চার লেন উন্মুক্ত রাখা এবং শিল্প কারখানার পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মহাসড়কে পার্কিং করে লোড-অনলোড না করা। কর্তৃপক্ষ বলছে, ঈদযাত্রায় ভাঙ্গাচোরা সড়কের জন্য ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে। বিষয়টি মাথায় রেখেই ঈদের অন্তত সাত দিন আগেই মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করতে মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন সড়ক মেরামত করা চলছে। পাশাপাশি ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রায় সড়ক-মহাসড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-মানিকগঞ্জ-পটুয়াখালী-আরিচা, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ও আব্দুল্লাহপুর-গাজীপুর মহাসড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। পাশাপাশি ফেরিঘাটগুলোয় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন থাকে। ফেরিসংখ্যা বাড়িয়ে বিষয়টি নিরসনের জন্য পুলিশের বিভাগীয় কমিশনার, হাইওয়ে রেঞ্জ ডিআইজি, র‌্যাব, জেলা প্রশাসক, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর এবং পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব লিয়াকত আলী বলেন, ‘এই ঈদে সাধারণ মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রায় ৩২টি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি এর ফলে সড়কে তেমন ভোগান্তি হবে না। ঈদের সময় পরিবহনগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রবণতা দেখা দেয়। এই অনিয়ম বন্ধে টার্মিনালগুলোতে ভিজিলেন্স টিম গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিক সৃষ্ট যানজট দূর করতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘অনভিজ্ঞ চালকরা যাতে যানবাহন না চালায় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বড় ধরনের দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টার ব্যবহারের জন্যও বলা হয়েছে। এ ধরনের কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বাংলাদেশ বিমান, সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনীও দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া যানজটের সময় নারী ও শিশুদের ব্যবহারের সুবিধার্থে সড়ক-মহাসড়কের আশপাশের টয়লেটগুলো ব্যবহার উপযোগী রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’ ঈদের আগে বিভিন্ন মহল সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা, ভাসমান বাজার ও কোরবানির পশুর হাট বসায়। এছাড়া ধান, পাট, খড়সহ বিভিন্ন জিনিস মহাসড়কে রেখে শুকানো হয়। তাছাড়া পশুবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজির ঘটনাও ঘটে। এ ধরনের কোন পরিস্থিতি দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঈদযাত্রীদের বড় একটি অংশ গার্মেন্টসকর্মী। ঈদের আগ মুহূর্তেই অধিকাংশ গার্মেন্টস একসঙ্গে ছুটি দেয়। ফলে একসঙ্গে অনেক মানুষ বাড়িতে রওনা দেয়। এ বছর গার্মেন্টসগুলো পৃথক পৃথক সময়ে বন্ধ ও খোলার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বিজিএমইকে অনুরোধ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সড়কে দুর্ঘটনা রোধে লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি, নছিমন- করিমন, ভটভটি, ইজিবাইক, মাহিন্দ্র- থ্রি হুইলারসহ ঝুঁকিপূর্ণ পরিবহন বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঈদের আগের তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও এক্সেল লোড বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সেতুগুলোতে টোল আদায়ে যাতে দীর্ঘ যানজট না হয় সেজন্য সব বুথ খোলা রাখতে হবে। এছাড়া ঈদের আগের চার দিন ও পরের চার দিন ২৪ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন চালু রাখতে বলা হয়েছে। সড়কপথে যাতায়াত নির্বিঘœ করতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ’ গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এটি মনিটরিং করবেন। সড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষে সড়ক-মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধে বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্ট কার্যকর থাকবে। বর্ষার অজুহাতে কোন এলাকায় সড়কে দুর্ভোগ সৃষ্টি হলে সংশ্লিষ্ট সড়ক বিভাগের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। তিনি আরও জানান, ঈদের সময় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে টোলপ্লাজাসমূহের সকল বুথ চালু রাখা হবে। কঠোরভাবে ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অটোরিক্সা এবং সকল শ্রেণীর অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি এবারের ঈদে এক হাজার ১০০ বাস দিয়ে সেবা দেবে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ঈদ যাত্রায় মহাসড়কে লক্কড় ঝক্কড় কোন পরিবহন চলাচল করতে পারবে না। এছাড়া লাইসেন্স ছাড়া কেউ গাড়ি চালাতে পারবেন না। তিনি বলেন, সড়কে যাত্রী নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সব রকমের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, এবারের ঈদ যাত্রায় আমরা বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রতি টার্মিনালকেন্দ্রিক ইতোমধ্যে ভিজিলেন্স টিম গঠনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, লক্কড়-ঝক্কড় পরিবহন যেন কোনভাবেই মহাসড়কে উঠতে না পারে এ ব্যাপারে পুলিশের পাশাপাশি আমরাও সচেতন থাকব। কেউ যাত্রী হয়রানি করতে না পারে তাছাড়া বাড়তি ভাড়াও যেন কোন অবস্থাতে করতে না পারে সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
×