ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাঠেই জবাব দিতে চান ওয়াহাব রিয়াজ

প্রকাশিত: ০৯:১৬, ২৩ মে ২০১৯

  মাঠেই জবাব দিতে চান ওয়াহাব রিয়াজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এই মুহূর্তে পাকিস্তান দলে সবচেয়ে আলোচিত নাম ওয়াহাব রিয়াজ। যিনি দুই বছর ওয়ানডেই খেলেননি সেই তিনি কিনা জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বকাপের চূড়ান্ত স্কোয়াডে। এমনকি তাকে দলে নেয়ার সিদ্ধান্তে নির্বাচক প্যানেলের কাছে প্রধান কোচ মিকি আর্থারও এই প্রশ্নটা তুলেছিলেন। আরেক বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ আমিরের প্রত্যাবর্তনটা হয়তো অনুমিত, কিন্তু জুনায়েদ খানের পরিবর্তে ওয়াহাবের অন্তর্ভুক্তি অনেকে সহজে মেনে নিতে পারেননি। ক্রিকেটপ্রেমী পাকিস্তানীদের মধ্যে এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে হঠাৎই স্বপ্ন পূরণ হওয়া পেসার ঘোরের মধ্যে বসবাস করতে চান না। লক্ষ্য একটাই মাঠের নৈপুণ্যে সমালোচনার জবাব দেয়া। নিন্দুকদের ধারণা ভুল প্রমাণ করতে চান লাহোরে জন্ম নেয়া ৩৩ বছর বয়সী। ওয়াহাব বলেন, গত দুইটা বছর কি কষ্টের মাঝে গেছে সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমি অতীত নিয়ে আর ভাবতে চাই না। বিশ্বকাপে কি করতে পারি, সেটা নিয়েই এখন আমার সব মনোযোগ। কোচের দায়িত্ব হচ্ছে সেরা স্কোয়াডটা নির্বাচন করা, তিনি দলের জয়ই চান। তবে আমিও বিশ্বকাপ খেলতে চাই। এখন আমার লক্ষ্য হচ্ছে কোচকে ভুল প্রমাণ করা, নিন্দুকদের ভুল প্রমাণ করা। দুই বছর পর দলে ফিরেই ওয়াহাব খেলবেন বিশ্বকাপ, এটা কি অন্যদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে? ওয়াহাব অবশ্য এমনটা মানতে নারাজ, আমার দলে ফেরাটা কোন অন্যায় হয়নি। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড সফরে আমি ডাক পেতে পারি, এমনটা শুনছিলাম শুরু থেকেই। শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। আমি সরাসরি বিশ্বকাপে খেলব, এটা আল্লাহরই ইচ্ছা ছিল। আমি চাই না এভাবে স্কোয়াডে ফেরার পর বিশ্বকাপে সবাইকে হতাশ করতে। পাকিস্তানের হয়ে ভাল করাটাই একমাত্র লক্ষ্য।’ ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তান শিরোপা জিতলেও খুব একটা ভাল করতে পারেননি ওয়াহাব। সেই টুর্নামেন্টের পর দলে জায়গাও হারিয়েছিলেন। তবে মাঝের এই লম্বা সময়টায় দলে ফেরার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেললেও পাকিস্তানের ঘরোয়া লীগে দারুণ পারফর্ম করেছেন। এবারের আসরে পাঁচ ম্যাচে ২০.৭০ গড় ও ৪.৬০ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ১০ উইকেট। তিনি বলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেই আমি ভাল পারফর্ম করিনি, এটা নিয়ে খুব হতাশ ছিলাম। কিন্তু কখনও আশা হারাইনি, এটার প্রতিদানই এবার পেয়েছি। আমি অনেকবার স্বপ্ন দেখেছি যে সরফরাজ ও কোচ আমাকে দলে ফিরিয়েছে, অনেক সময় দল থেকে বাদ পড়ার স্বপ্নও অবশ্য দেখেছিলাম। দশদিন আগে এটাও স্বপ্নে দেখেছি, ইনজামাম আমাকে ফোন দিয়ে বলছেন, আমি বিশ্বকাপে খেলব, এটাই আমার শেষ সুযোগ।’ অপ্রত্যাশিতভাবে তাকে দলে নেয়ার প্রধান নির্বাচক ইনজামাম বেশ চাপেই থাকবেন, শুধু অভিজ্ঞতার জোরেই তিনি আমাকে দলে ফিরিয়েছেন। তার ওপর তাই চাপ থাকবেই। গত দুই বছরে বোলার হিসেবে আমি আরও পরিপক্ব হয়েছি। বিশ্বকাপের একটা ম্যাচ দেখে যদি কেউ আমাকে মূল্যায়ন করে, সেটা ঠিক হবে না।’ ওয়াহাব আরও বলেন, ইংল্যান্ডের পিচ ব্যাটিং সহায়ক হবে, তাই সেখানে বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনতে হবে। রিভার্স সুইং বিশ্বকাপে বড় ভূমিকা পালন করবে। যেহেতু এই ব্যাপারে আমি অভিজ্ঞ তাই ইনিংসের শেষের দিকে এটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।
×