ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিন্দনীয় অপরাধ

প্রকাশিত: ০৯:০১, ২৩ মে ২০১৯

  নিন্দনীয় অপরাধ

আজকাল গণপরিবহনে নারী ধর্ষণ ও হত্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এটা বড়ই অমানবিক, পৈশাচিক, লোমহর্ষক, নির্মম ও নিষ্ঠুর ব্যাপার- ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের নিন্দা ও উৎকণ্ঠা জানাবার কোন ভাষা নেই। এটা যে কত বড় নির্লজ্জ, নিষ্ঠুর আর নিন্দনীয় কাজ যারা এই অপকর্মটি করে যাচ্ছে তা যদি তারা একবারও ভেবে দেখত! এর যেন আর কোন শেষ নেই আর এটা দিন দিনই বেড়ে চলছে। এভাবে চলতে থাকলে সমাজটা একটা জঙ্গলে পরিণত হবে। আর আমাদের নারীসমাজ দিন দিন আরও নাজুক, শঙ্কাময়, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত আর অসহায় হয়ে পড়বে, সঙ্গে সঙ্গে দেশটা অরাজকতায় ভরে যাবে। যারা নারীদের ওপর এ ধরনের জঘন্য জুলুম আর অত্যাচার করে যাচ্ছে আর যে অপরাধ দিন দিনই বেড়ে যাচ্ছে সেটা প্রতিরোধ করে সমাজ থেকে এই জঘন্য পাপাচার আর নিষ্ঠুর কর্মকান্ডের অবসান ঘটানোর এখনই প্রকৃষ্ট সময়। সমাজে প্রতিটি মানুষেরই বেঁচে থাকার অধিকার আছে আর নারীরা বেঁচে থাকতে পারবে না যদি না দুষ্কৃতকারীদের অপকর্মকে প্রতিহত করা না হয়। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ মাদ্রাসাগুলোতেও এই ধরনের যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটছে। রক্ষক যদি ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে তাহলে তো এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটতেই থাকবে। এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধকল্পে কতিপয় ব্যবস্থা করলে এই অপরাধ কমবে বলে আশা করা যায়:- ১। গণপরিবহনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে যাতে অপরাধীদের চিহ্নিত করা যায়। ২। বাস ও গণপরিবহনের অন্যান্য মালিকদের তাদের অধীনস্থ কর্মচারীদের ওপর কঠোর নজরদারি আরোপ করতে হবে এবং কোন কর্মচারী যাত্রীদের জানমালের হুমকি হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অপরাধীদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ত্বরিত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে কারণ বিচার বিলম্ব হলে কোন বিচারই পাওয়া যাবে না। কলাবাগান, ঢাকা থেকে
×