ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পরিবহন মালিকের দায়

প্রকাশিত: ০৮:৫৯, ২৩ মে ২০১৯

 পরিবহন মালিকের দায়

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রায় সব ধরনের কাজে বেড়েছে নারীদের অংশগ্রহণ। পড়াশোনা, অফিস আদালতসহ সরকারী-বেসররকারী সব কাজে নারীরা যুক্ত হচ্ছে। ফলে নিয়মিত যাতায়াতের জন্য দরকার হয় গণপরিবহন। কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো আমাদের দেশের বেশিরভাগ গণপরিবহনেই নারীদের জন্য নিরাপদ নয়। বিভিন্ন সংস্থার জরিপে দেখা গেছে শারীরিক স্পর্শ, অশ্লীল ইঙ্গিত অথবা মুখের কথার দ্বারা বেশিরভাগ নারীই যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আর এক্ষেত্রে গণপরিবহনে নারীরা সবচেয়ে বেশি যৌন হয়রানির শিকার হন চালক-হেলপারসহ পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্বারা। তবে গণপরিবহনে পুরুষ যাত্রীদের দ্বারাও যে নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন না, তা কিন্তু নয়। শুধু যৌন হয়রানিই নয় বরং ধর্ষণ এবং ধর্ষণ শেষে হত্যা করার মতো ঘটনাও আমরা দেখেছি। এসব কিছু থেকে খুব সহজেই অনুমেয় যে গণপরিবহনে নারীর প্রতি নিপীড়নের মাত্রা ঠিক কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। কখনও বা ফাঁকা বাসে, আবার কখনও প্রচন্ড ভিড়ের মধ্যে কিংবা একজন পুরুষের সহযাত্রী হিসেবেও নারীরা নিরাপদ নয় বিকৃতমস্তিষ্ক মানুষগুলোর জন্যে। দিনের বেলা তো বটেই, রাতের বেলা গণপরিবহনে সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ। প্রতিনিয়ত নারীরা এক ধরনের অসহায়ত্ব আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের দেশের গণপরিবহনগুলোতে চলাচল করেন। অনেক সময় তাদের সঙ্গে ছোটখাটো কোন অপরাধ সংঘটিত হলেও সামাজিকতা ও নিজের আত্মসম্মানের ভয়ে আইনের আশ্রয় নেয়া তো দূরের কথা কারও কাছে মুখ পর্যন্ত খোলেন না। ফলে অনেক ঘটনায় জনসম্মুখে আসে না। সময় এসেছে এ অবস্থা থেকে উত্তরণের। সচেতনতা বাড়াতে হবে আমাদের নিজেদের মধ্যেও। গণপরিবহনে কেউ কোন যৌন হয়রানিমূলক আচরণ করলে চুপ না থেকে সরাসরি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। পাশাপাশি গণপরিবহন সংশ্লিষ্ট লোকজন নারী যাত্রীদের সঙ্গে অশালীন কোন আচরণ বা যৌন হেনস্তার মতো এমন ঘৃণ্য কাজে জড়িয়ে পড়লে প্রথমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে পরিবহন মালিকদের। আর গণপরিবহনে চলাফেরা করার ক্ষেত্রে নারীদের হতে হবে সচেতন। কেউ কোন অশালীন আচরণ করতে চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে প্রতিবাদ। প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নিতে হবে। এসব অপরাধ রোধে এগিয়ে আসতে হবে পরিবহন মালিকদেরও। এ ছাড়াও গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। রাতের বেলা বাসে পর্যাপ্ত আলো থাকাটা জরুরী, সিসিটিভি ক্যামেরাও বসানো যেতে পারে বাসের মধ্যে। বিশেষ করে রাতে রাস্তায় নিরাপত্তা বাহিনীর টহল বাড়াতে হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
×